Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জনতার উত্তাল তরঙ্গে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:২৬ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার : জনতার উত্তাল তরঙ্গের মধ্য দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনা হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, তারা (সরকার) মনে করছে দেশনেত্রীকে কারাগারে নিয়ে আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে, দেশের মানুষকে স্তব্ধ করা যাবে, মানুষকে দমিয়ে রাখা যাবে। কিন্তু সেটা যাবে না। দেশনেত্রীকে কারাগার থেকে বাংলাদেশের মানুষ অবশ্যই মুক্ত করে নিয়ে আসবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গতকাল (মঙ্গলবার) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) ভুলে যায় অতীতে তাদের নেতাকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে নেয়া হয়েছিল। সেদিনও তাকে কারাগার থেকে বের করে নিয়ে এসেছিল। আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের ১৭ কোটি মানুষের নেত্রী। এই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, দুইবারের বিরোধী দলীয় নেতা, এখনো যখন রাজপথে আসেন লাখ লাখ মানুষ তার পেছনে আসেন। আর এই নেত্রীকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়ে ২০০ বছরের একটি পুরোনো, জরাজীর্ণ, পরিত্যক্ত ভবনে রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক এবং আমাদের সংবিধানেও আছে কোন রাজনীতিক যদি কখনো সাজাপ্রাপ্ত হয় তাহলে তাকে কোন সলিটারি কনসাইনমেন্টে পাঠানো যাবে না। কিন্তু দেশনেত্রীকে সম্পূর্ণ একা পরিত্যাক্ত একটি কারাগারে পাঠিয়ে দিয়ে এই অবৈধ সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত করেছে। এর জন্য তাদের বিচার হবে।
সরকারকে অবৈধ ও গণবিচ্ছিন্ন দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই অবৈধ ও গণবিচ্ছিন্ন সরকার রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। এজন্য দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা, সারাদেশে ১৫ লাখ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। আন্দোলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। গত সোমবার তার বিরুদ্ধে অনেক কটূকথা বলা হয়েছে। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমাদের এই সংগ্রাম, এই লড়াই দেশনেত্রীকে মুক্ত করে নিয়ে আসার লড়াই। এই লড়াই আমাদের নেতাকর্মীদের মুক্ত করে নিয়ে আসবার লড়াই, বাংলাদেশের মানুষকে মুক্ত করার লড়াই, গণতন্ত্রকে মুক্ত করার লড়াই।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে একটি মিথ্যা মামলা, বানোয়াট মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়েছে। তারপর কারাগারেও তাকে অন্যায়ভাবে তার প্রথম শ্রেণির ডিভিশন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কারা কোড ২০০৬ সালের রিভাইজ এডিশনের ৬১৭ ধারায় বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়াকে গেইট থেকেই সরাসরি ডিভিশন দেওয়ার কথা। এই ডিভিশন দেওয়ার দায়িত্ব কারাগারের সুপারিনটেন্ডেন্টের। ২০০৭ সালে আমরা অনেকেই কারাগারে গিয়েছি প্রত্যেকেই গেইট থেকে সরাসরি ডিভিশন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী তাকে কেন তিন দিন যাবৎ সাধারণ কয়েদির মতো রাখা হয়েছে এর জবাব আমরা চাই। যারা এই কাজ করেছে তাদের আমরা বিচার চাই। তিনি বলেন, আমরা বুঝতে পারি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলা এবং পরবর্তী কারাগারে রাখার ব্যাপারে প্রমাণিত সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বেগম খালেদা জিয়ার সাথে শত্রæতা করছে। অন্যায়ভাবে তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। ডিভিশন না দিয়ে সরকার তাদের নগ্ন চরিত্র প্রকাশ করেছে। একই উদ্দেশ্য বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপিকে বাইরে রেখে আগামী সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ করতে চাই। খালেদা জিয়া এবং বিএনপিকে ছাড়া আগামী সংসদ নির্বাচন ইনশাআল্লাহ করতে দেওয়া হবে না। বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার কারাগারের বাইরে যে জনপ্রিয়তা ও ক্ষমতা ছিল, কারাগারে যাওয়ার পরে তিনি আরও বেশি ক্ষমতাশালী ও জনপ্রিয় হয়েছেন। জাতীয় নেতা থেকে আন্তর্জাতিক নেতাই পরিণত হয়েছেন। তাই বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে ছাড়া এদেশের জনগণ আগামী নির্বাচন হতে দেবে না।
বিএনপির ভাঙনের বিষয়ে মোশাররফ বলেন, সরকার বিভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছে যে, বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডনে এই সময়ে নাকি বিএনপির মধ্যে ভাঙন হবে, দুর্বল হবে। আমরা তাদেরকে বলতে চাই, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পরে বিএনপির নেতৃত্ব, নেতাকর্মীরা কতো ঐক্যবদ্ধভাবে আরও বেশি শক্তি নিয়ে রাস্তায় রয়েছে। মানববন্ধন জনসমুদ্রে রূপান্তরিত হয়েছে। এটা দেখে সরকার ভয় পেয়ে অবস্থান কর্মসূচি নির্ধারিত জায়গায় করতে দেয়নি। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করে এদেশে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা কায়েম করে আগামী নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী শক্তি অংশগ্রহণ করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, এতো অল্প সময়ের নোটিশে আজকের অবস্থান কর্মসূচিতে হাজার হাজার জনমানুষের সমাবেশ হলো এতে প্রমাণিত হয় বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে খুব শীঘ্রই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। একটা ভুয়া বানোয়াট মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে তিনি আছেন সেটা নির্জন একটি কারাগার, এটাকে বলা হয় সলিটারি কনসাইনমেন্ট, সংবিধান এবং আইনের বরখেলাপ করে সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী এ ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করেছে। নির্জন ও পরিত্যাক্ত, অবাস অযোগ্য দালানের মধ্যে রেখে প্রমাণ করছে তারা প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করে আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে আন্দোলন ছাড়া অন্য বিকল্প নাই মন্তব্য করে তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে মুক্তির ব্যবস্থা করবো। সাথে সাথে আইনি ব্যবস্থা অব্যাহত রাখবো।
মীর্জা আব্বাস বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বন্দি মানে বাংলাদেশের গণতন্ত্র বন্দি। খালেদা জিয়াকে আটক রেখে এই দেশকে পরাধীন করার চক্রান্ত চলছে। বাংলাদেশের জনগণ এটা কখনোই হতে দেবে না। বিএনপির ভাঙনের বিষয়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই বগল বাজাচ্ছেন, বিএনপিতে নাকি ভাঙন ধরবে। সেই গুড়ে বালি। ভুলে যাবেন এসব কথাবার্তা, বিএনপিতে ভাঙন ধরানোর ক্ষমতা বাংলাদেশের কোন শক্তির ক্ষমতা নাই। এই বিএনপিকে কেউ ভাঙতে পারবে না। অনেকে ভেবেছিলেন কিছু একটা হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ কিছুই হবে না। সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে আব্বাস বলেন, সরকারকে ধন্যবাদ দিতে চাই, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আমরা দেশনেত্রী বানিয়েছিলাম। আর আপনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নেলসন মেন্ডেলা বানিয়ে দিয়েছেন।
অবস্থান কর্মসূচিতেও মানুষের ঢল: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনের পর এবার অবস্থান কর্মসূচিতেও ঢল নামে বিএনপি নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের। নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল ১১টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচিতে সড়কের একপাশে ফকিরের পুল থেকে নাইটেঙ্গল রেস্তোরা পর্যন্ত হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থকরা অংশ নেয়। বিএনপি সকাল ১১টায় এই কর্মসূচির কথা বললেও নির্দিষ্ট সময়ের এক ঘণ্টা আগে থেকেই নেতাকর্মীরা কর্মসূচি স্থলে জমায়েত হতে থাকেন। বেলা ১১টার সময় মানুষের উপস্থিতি দীর্ঘ হতে থাকে। এক পর্যায়ে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া মানুষের ভীড় ফকিরাপুল থেকে কাকরাইল নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত পৌছে যায়। সকলেই সমস্বরে শ্লোগান দিতে থাকেন ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, মুক্তি চাই’, ‘খালেদা জিয়ার কিছু হলে আগুন জ্বলবে’ ইত্যাদি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী ও কৃষিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেনি-পেশার নেতা-কর্মীরা এতে সমবেত হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন। বিপুল সংখ্যক মহিলা কর্মী-সমর্থকরাও অংশ নেন। মানববন্ধনের মতো এদিনও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর পরিচালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, এড. খন্দকার মাহবুব হোসেন, প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ফজলুল হক মিলন, ঢাকা মহানগরের মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, কাজী আবুল বাশার, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, ছাত্র দলের মামুনুর রশীদ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। ২০ দলীয় জোটের শরিক লেবার পার্টির একাংশের মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিমও বক্তব্য দেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মাহমুদুল হাসান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, কবীর মুরাদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ, শিরিন সুলতানা, আনোয়ারুল আজিম, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মীর সরফত আলী সপু, নুরী আরা সাফা, আমিনুল হক, বেবী নাজনীন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আবদুস সালাম আজাদ, শামীমুর রহমান শামীম, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, হারুনুর রশীদ, আমিরুজ্জামান শিমুল, বজলুল করীম চৌধুরী আবেদ, অঙ্গসংগঠনের সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, মোরতাজুল করীম বাদরু, রফিকুল আলম মজনু, মাহবুবুল হাসান পিংকু ভূঁইয়া, আসাদুজ্জামান আসাদ, নাজমুল ইসলাম, আলমগীর হাসান সোহান, ছাত্রদলের সাবেক নেতা হাবিবুর রশীদ হাবিব, শহীদুল্লাহ ইমরান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। ২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে ছিলেন, লেবার পার্টির একাংশের হামদুল্লাহ আল মেহেদি, ন্যাপের গোলাম মোস্তাফা ভুঁইয়া, শহীদুন্নবী ডাবলু, এনপিপি‘র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এনডিপি‘র মঞ্জুর হোসেন ঈসা প্রমুখ নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন উপলক্ষে মানববন্ধন উপলক্ষে সকাল থেকে কার্যালয়ের কাছাকাছি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি দুইদিন বিক্ষোভ কর্মসূচির পর শনিবার ঢাকাসহ সারা দেশে তিন দিনের টানা কর্মসূচি ঘোষণা করে, যার দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি অবস্থান কর্মসূচি। সোমবার ছিলো মানববন্ধন যা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে হয়েছে। আজ ঢাকাসহ সারাদেশে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রতীকী অনশন করবে বিএনপি
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে দেশে গণ বিস্ফোরণ ঘটবে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেছেন, খালেদা জিয়া মুুক্তি পেলে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। গতকাল (মঙ্গলবার) নগরীর নুর আহমদ সড়কে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে। নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপি সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, গতকালও পুলিশী বেষ্টনীর মধ্যে অবস্থান কর্মসুচি পালন করে রাজশাহী মহানগর বিএনপি। গতকাল সকালে নগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি অফিসের সামনে প্রধান সড়কে অবস্থান কর্মসুচিতে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পূণর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল
রাবি রিপোর্টার জানান, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়ার প্রতিবাদ এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে তৃতীয় দিনের মতো মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচীর মাধ্যমে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় (রাবি) জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ^াসী শিক্ষক ফোরাম।
নাটোর জেলা সংবাদদাতা জানান, নাটোরে বিএনপির সকল শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকান্ডে পুলিশের অগণতান্ত্রিক আচরনের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপি। মঙ্গলবার নাটোর জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিনুল হক ।
খাগড়াছড়ি জেলা সংবাদদাতা জানান, খাগড়াছড়িতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রায় দুই ঘন্টা ধরে চলা এই কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু ইউসুফ চৌধুরী, জেলা বিএনপির যুগ্ন-সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মালেক মিন্টুসহ প্রমুখ।
মেহেরপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে অবস্থান ধর্মঘট পালিত হয়েছে। কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, ইলিয়াছ হোসেন, আনছারুল হক ও পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস প্রমুখ।
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, ফরিদপুরের অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বিএনপির উপজেলা কার্যালয় খন্দকার টাওয়ারের সামনের সড়কে এ উপলক্ষ্যে একটি অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি খোন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম,সাধারণ সম্পাদক মুন্সী হাবিবুর রহমান হাবিবসহ প্রমুখ।
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মাদারীপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে জজকোর্ট চত্বরেঅবস্থান সকাল ১১টায় ধর্মঘট পালিত হয়।এতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলী জাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড জামিনুর প্রমুখ আইনজীবি নেতৃবৃন্দ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপি ও এর সংগঠনের অবস্থান কর্মসূচি পুলিশী বাধায় পন্ড হয়ে যায়। সকাল ১০টার অবস্থান কর্মসূচীতে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বক্তব্য রাখার পর বেরসিক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে বাধা প্রদান করে।
ছাতক (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ছাতকে বিএনপি অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে। কর্মসূচীতে পৌর বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ তিতুমীর, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুর রহমানসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গাবতলী (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গাবতলী থানা ও পৌর বিএনপি-অঙ্গদল উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় সামনে থেকে অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও গাবতলী থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোরশেদ মিল্টন, পৌর বিএনপির সভাপতি ডাঃ ছাবেদ আলীসহ প্রমূখ।
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ঘাটাইল উপজেলায় অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে পৌর বিএনপি। দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খান আজাদের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিএনপির নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর নেতেৃত্ব এ অবস্থান ধর্মঘট পালিত হয়।
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, নবীগঞ্জ বিএনপি ও সকল অঙ্গ সংগঠন। অবস্থান কর্মসূচি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া বলেন বলেন- দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি কোন হরতাল ভাংচুর সহিংস আন্দোলনে না যাওয়ায় আওয়ামীলীগ হতাশ হয়েছে।
নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, নাঙ্গলকোট উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম সড়কের মগুয়া নামক স্থানে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন-নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদল সভাপতি মনিরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি মোদাচ্ছের হোসেন মজুমদার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোমিন প্রমুখ



 

Show all comments
  • খালেদ ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৫:৩৯ এএম says : 0
    ইনশা আল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • Samsuzzaman Bhuiyan ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ২:৪৮ পিএম says : 0
    Good luck always
    Total Reply(0) Reply
  • Mohd Taj Uddin Ahmed ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ২:৪৯ পিএম says : 0
    এগিয়ে যাও।
    Total Reply(0) Reply
  • Robert Hassan ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ২:৫৪ পিএম says : 0
    Five years ago your party said same things but results was negative. It could be the best way to do for public welfare beside revolutionary activities.
    Total Reply(0) Reply
  • Nasir Parvez ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ২:৫৫ পিএম says : 0
    দেখা যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Shahin Alam ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ২:৫৮ পিএম says : 0
    আল্লাহ বিচার করবে। ইন্না বাতশা রব্বিকা লা শাদিদ!!! নিশ্চয়ই আপনার প্রভুর বিচার বড় শক্ত বিচার। (আল কুরআন)
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ