পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেনাপোল অফিস : দেশের সর্ববৃহত স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে আমদানি রফতানি বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ক্রমেই আমদানি বাণিজ্য কমে রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ধ্বস নামতে শুরু করেছে। বর্তমানে ওপারে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ৫ হাজার পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকে আছে সেখানকার সিন্ডিকেটের কারণে।
বেনাপোল বন্দরের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে পৌর সভার লোকজন সিরিয়ালের নামে ট্রাক দিনের পর দিন আটকে রেখে ড্যামারেজ বাবদ হাজার হাজার টাকা চাদাবাজি করছে বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। বেনাপোল চেকপোস্টে নানা ধরনের বাড়তি নিয়মকানুন চালু করায় ভারত থেকে পণ্য বোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতে বিলম্ব হচ্ছে। বর্তমানে এলসি ওপেন করার পর ভারত থেকে পণ্য আসতে ১৫/২০ দিন সময় লাগছে। বেনাপোল চেকপোস্টে ভারতীয় এক একটি ট্রাক এন্িট্র করতে ২০ মিনিট করে সময় লাগায় সারাদিনে ট্রাক আসা কমে গেছে। ইতিপূর্বে প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৫’শ ট্রাক পণ্য আমদানি হতো ভারত থেকে। সময় ক্ষেপনের কারনে বর্তমানে ট্রাক’র আমদানি সংখ্যা কমে গিয়ে দাড়িয়েছে ২৫০ ট্রাকে। চেকপোস্টে বিজিবি, কাস্টমস ও বন্দর আলাদাভাবে রেজিস্ট্রাট খাতায় ট্রাক এন্ট্রি করায় এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হযেছে বলে অভিযোগ করা হয়। অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য চট্রগ্রামে যে মূল্য বেনাপোলে তার চেয়ে বেশী মূল্যে শুল্কায়ন করায় আমদানিকারকরা বেনাপোল বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে চট্রগ্রাম দিয়ে আমদানি করছে। তাছাড়া পণ্যের প্যাকিং ম্যাটারিয়াল’স ও পণ্যের মূল্য এক সাথে সংযোগ করে শুল্কায়ন করায় পণ্য আমদানি কমে গেছে।
নানা জটিলতার কারনে অধিকাংশ আমদানিকারকরা বৈধ পথে আমদানি কমিয়ে চোরাই পথে পণ্য আমদানি করছেন। ফলে সরকারের রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ধ্বস নামতে শুরু করেছে।
রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পুরনের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুইয়ার নিদের্শে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন আমদানি রফতানি বাণিজ্য বাড়াতে দু দেশের ব্যবসায়ী ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেও আমদানি বাণিজ্য বাড়াতে পারছেন না। বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে অবিলম্বে যৌথ টাস্ক ফোর্স গঠন করলে আমদানি রফতানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। সইে সাথে বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়।
বেনাপোল কাস্টমস সিএন্ড এফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বেনাপোল চেকপোস্টে আমদানিকৃত পণ্যবোঝাই ট্রাক এনট্রির নামে অহেতুক সময় নস্ট করায় সারা দিনে ট্রাক ঢোকা কমে গিয়ে রাজস্ব আদায়ে ধস নামতে শুরু করেছে। কাস্টমস চেকপোস্টের একটি পয়েন্টে ট্রাক এনিট্র করলে সময় যেমন বাচবে তেমনি বাড়বে আমদানি- রফতানি বাণিজ্য।আমদানিকৃত পণ্য’র ওপর মনগড়া মূল্য চাপিয়ে শুল্কায়ন করন ব›ধসহ বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হলে এই বন্দর থেকে প্রতিবছর সরকারের ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় সম্ভব বলে ব্যবসায়ীরা অভিমত দিয়েছেন।
বেনাপোল বন্দরে কিভাবে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও আমদানি রফতানি বাণিজ্যে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনা যায় সে নিয়ে কাস্টমস ও বন্দর ব্যবহারকারী বিভিণœ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মংগলবার কাস্টমস কমিশনারের কার্যালয়ে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী। রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও আমদানি রফতানি বাণিজ্যে গতিশীলতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বক্তব্য রাখেন, কাস্টমস এর অতিরিক্ত কমিশনার জাকির হোসেন, যুগ্ন কমিশনার আমিনুল এহসান, ডেপুটি কমিশনার মারুফুর রহমান,বেনাপোল সিএন্ডএফ এজন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, সাবেক সভাপতি শামসুর রহমান, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি নুরুজ্জামান, আমদানি রফতানিকারক সমিতির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মহসিন মিলন, কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক নাছির উদ্দিন, কামাল উদ্দিন শিমুল, ও আ: লতিফ। সভায় জরুরী ভিওিতে দু দেশের কাস্টমস ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে যৌথ সভা করে বিরাজমান সমস্যা নিরসন করার সিদ্ধান্ত হয়।অন্যদিকে ভারতীয় বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী সংগঠন গুলো বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরীর সাথে বৈঠক করেছেন একই দিনে।তারা দু দেশের মধ্যে কিভাবে আমদানি রফতানি বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয়ে বিভিণœ পয়েন্ট তুলে ধরেন কমিশনারের কাছে। তারাও যৌথ টাস্ক ফোস গঠনেরও জোর দাবি জানান। বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বাণিজ্যে স্থবিরতা দুর করা হবে। রাজস্ব আদায়বৃদ্ধি করতে সারা দেশের কাস্টমস হাউসে আইডেনটিকাল পণ্যের একই মুল্যে শুল্কায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করায় বিষয় কাজ করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।