পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর বাঙালিরা প্রথম পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলন করে ভাষা নিয়ে। তবে প্রথম কেন ভাষা নিয়ে আন্দোলন শুরু হয় এই প্রশ্ন ছিল সবার মনে। বিশেষ করে বিদেশি শক্তিগুলোর কাছে এটা বোধগম্য ছিল না। মূলত পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের ভাষার দাবির সঙ্গে জড়িত ছিল অন্যান্য ক্ষেত্র। বাংলা ভাষাভাষীদের আশংকা ছিল বাংলার বদলে উর্দুর প্রতিস্থাপন পূর্ব পাকিস্তানবাসীদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, রাষ্ট্রীয় ও সাংস্কৃতিক সব ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলবে। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর বাংলার মূল কেন্দ্র কলকাতা পূর্ব পাকিস্তানের বাইরে পড়ে যায়। ফলে বাংলার এই অঞ্চল থেকে ধনী ও প্রভাবশালী হিন্দুরা কলতাতায় চলে যায়। অন্যদিকে ভারতের ধনাঢ্য মুসলমানরা পশ্চিম পাকিস্তানে গিয়ে বসতি স্থাপন করে। এভাবে পশ্চিম পাকিস্তানে ধনাঢ্য মুসলমানদের আবাস গড়ে উঠে। আর মুসলিম লীগের নেতৃত্বও ছিল তাদের হাতে। তাই দেশ ভাগ হওয়ার পর রাজনীতির পাশাপাশি চাকরিরও ক্ষেত্রে উর্দুভাষীদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। অথচ পাকিস্তানের জনসংখ্যার বেশিরা ভাগ ছিল বাংলাভাষী। আর এত বৃহৎ সংখ্যক বাংলা ভাষাভাষীকে উপেক্ষা করে চাপিয়ে দেয়া হয় উর্দু ভাষা। ’৫১-র আদমশুমারিতে দেখা যায় পাকিস্তানের জনসংখ্যার ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল বাঙালি। অন্যদিকে মাত্র ৭ দশমিক ২ শতাংশ ছিল উর্দুভাষী। কিন্তু সে বিষয়টি উপেক্ষা করে বাঙালিদের ওপর উর্দু ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তনিরা। এমন বেআইনি সিদ্ধান্ত কোনভাবে মেনে নিতে পারেনি বাংলাভাষীরা। তারা পাকিস্তান সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেন। একপর্যায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি অধিকার প্রতিষ্ঠা করলেন। ১৯৫২ সালের এই মাসটিজুড়ে ছিল আন্দোলন। বঞ্চনা ও ক্ষোভের আগুনে উত্তাল হচ্ছিল ঢাকা। ভাষার অধিকারের পক্ষে লেখালেখি চলছিল পত্রপত্রিকায়। এ সময় বাঙালির দাবির পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেয় ঢাকার ইংরেজি দৈনিক পাকিস্তান অবজারভার। উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল পত্রিকাটি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের আজকের দিনে (১২ ফেব্রæয়ারি) প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে তীব্র সমালোচনা করা হয় খাজা নাজিমুদ্দিনের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।