পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এহসান আব্দুল্লাহ : ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত। গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্তের পর হাড় কাপানো শীত শেষে রাজত্ব করতে আসে এই রাজা। তাই বসন্ত এলে আয়োজনের কোন কমতি থাকা যেন অন্যায়। সকলেই মহাযজ্ঞে বরণ করে নেয় রাজাকে।
তারই দেখা মেললো গতকালের বইমেলায়। বসন্তকে বরণ করে নেয়া উপলক্ষ্যে গতকাল একদিন আগেই তরুণীরা মাথায় রং বেরংয়ের টায়রা পড়ে আর শাড়িতে জড়িয়ে এসেছেন বইমেলায়। তরুণরা তেমন একটি বসন্তের সাজে না সাজলেও অনেকে আবার সঙ্গে থাকা তরুণীর সাথে মিলিয়ে পড়ে এসেছেন পাঞ্জাবী।
একটি উৎসব উৎসব চেহারা নিয়ে সকলেই ঘুড়ে দেখছিলেন মেলা প্রাঙ্গন। সেই সাথে ছিল বইকেনার জিজ্ঞাসা। কাল বসন্তের দিনে প্রিয়জনকে ফুলের সাথে সাথে কি বই দেয়া যায় তা নিয়ে ভাবছিলেন অনেকে। সেজন্য অনেক সময় নিজে সিদ্ধান্ত নিতে না পেরে বিক্রেতার সাহয্যও নিচ্ছিলেন অনেকে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, কাল প্রিয়জনকে বসন্তের উপহার হিসেবে বই দেয়ার জন্যই মূলত আজকে আসা। কারণ এই সময় বইয়ের চেয়ে ভালো উপহার কিইবা হতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত হুমাইরা বলেন, কাল বসন্ত তাই এখন থেকেই একটা ফেস্টিভ ফেস্টিভ লুক কাজ করছে সবখানে। আর বান্ধবীরা মিলে সকলে আজকেই শাড়ী পরে এসেছি কারণ কাল মেলায় বসন্ত উপলক্ষ্যে ভীড় থাকবে তাই তখন ঠিক ভাবে ঘুরতে পারবো কিনা জানিনা।
বিক্রেতারা জানান অন্যান্য দিনের চেয়ে আজকের বেচাকেনা ও চলছে অনেক ভালো। যারা আসছেন কেউই খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেননা।
অন্বেষা প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী উৎপল বিশ্বাস বলেন, আজকে অনেক বেচাকেনা হচ্ছে। অধিকাংশই গ্রাহক সে তুলনায় আজ দর্শনার্থী কম। তবে কাল গ্রাহক দর্শনার্থী সবই সমান থাকবে বলে মনে হয়।
মেলায় গতকাল নতুন বই এসেছে ১২৬টি। বিকেল ৪:০০টায় মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় শিক্ষা সংস্কৃতি সমাজ ও রাষ্ট্র শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আবুল মোমেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন রাশেদা কে চৌধূরী, আতিউর রহমান এবং এ. এম. মাসুদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মনজুর আহমেদ।
প্রাবন্ধিক বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে বিদ্যমান বাস্তবতায় নানা নেতিবাচক চিত্রের পাশাপাশি প্রাণবন্ত সজীব বিকশমান তারুণ্যের ঝিলিক আমরা এ সমাজেও দেখতে পাই। তা যতই ক্ষীণ ও দুর্লভ হোক তবুও বলব সব সম্ভাবনার অবসান হয়নি, কেবল বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজে সাংস্কৃতিক অবক্ষয় ও শিক্ষার বন্ধ্যাত্ব প্রকট হয়ে উঠছে। শিক্ষার সাথে মানবিক সংস্কৃতির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। স্কুল-কলেজগুলো ডিগ্রি-সনদপত্র বিতরণ-বিপণনের কেন্দ্রে রূপান্তরিত। অভিভাবকরা অর্থোপার্জন, সস্তা বিনোদন, ধর্মসংস্কারের ক্ষুদ্র গÐিতে বাঁধা জীবনের ফাঁদে আটকে গেছেন। এই অবস্থার অবসানকল্পে প্রয়োজন নতুন মানবিক শিক্ষা আন্দোলন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।