পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তিন কিশোর অস্ত্র ব্যবস্য়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলো রুবেল হোসেন (২২), সোহাগ আলী (২৩) ও মো. সোহাগ (১৯)।
র্যাব জানায়,কিশোর বয়স থেকে ওরা আগ্নেয়াস্ত্র নাড়া চাড়া শুরু করে। প্রথমে ছিনতাই। ধীরে ধীরে চাঁদাবাজি, খুন, ডাকাতির মতো অপরাধে জড়িয়ে যান। কৈশোর পেরিয়ে যাওয়ার পর হয়ে যান পুরোদস্তর অস্ত্র ব্যবসায়ী। অস্ত্র আবার ভাড়াও দিতেন তাঁরা। অস্ত্র ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে ঘটনার গুরুত্ব ও সময় বুঝে দর-কষাকষি করতেন। রাজনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য অস্ত্র ভাড়া দিতে দাম বেশি হাঁকা হতো। কিশোর অপরাধী থেকে অস্ত্র ব্যবসায়ী এমন তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এসব তথ্য জানতে পারে।
র্যাব-২-এর অধিনায়ক লে কর্নেল আনোয়ার উজ জামান দাবি করেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাতমসজিদ এলাকায় অভিযান চালানো হয়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। রুবেলের কোমরে গোঁজা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি একটি ৭ পয়েন্ট ৬৫ এমএম পিস্তল, দুটি গুলি, সোহাগ আলীর পরনে প্যান্টের ডান পকেটে ১০০টি গুলি এবং মো. সোহাগের কোমরে গোঁজা প্লাস্টিকের ব্যাগে ৮৫টি গুলি পাওয়া যায়। সোহাগ আলীর বিরুদ্ধে আদাবর থানায় একটি মামলা রয়েছে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, অস্ত্র বিক্রির জন্য রুবেল, সোহাগ আলী ও মো. সোহাগ সাতমসজিদ রোড এলাকায় রাতে অবস্থান করছিলেন। অস্ত্র ও গুলিগুলো অন্য একটি দলের কাছে বিক্রির কথা ছিল। বিক্রেতাদের ধরা গেলেও ক্রেতারা পালিয়ে যায়। তাদের ধরার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন জানান, প্রতিবেশী একটি দেশের সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র ও গুলির চালান দেশে আনা হতো। একটি ৭ পয়েন্ট ৬৫ এমএম পিস্তল প্রায় ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। গুলির জন্য আলাদা দাম দিতে হয় ক্রেতাদের।
তবে রুবেল ও মো. সোহাগ অস্ত্র বিক্রির চেয়ে ভাড়াই দিতেন বেশি। একটি ৭ পয়েন্ট ৬৫ এমএম পিস্তল দৈনিক পাঁচ হাজার টাকা থেকে ছয় হাজার টাকায় ভাড়া দিতেন তাঁরা। একটি পিস্তলের সঙ্গে দুটি করে গুলি দেওয়া হতো। অনেকের কাছে আবার সপ্তাহ চুক্তিতে পিস্তল ভাড়া দেওয়া হতো। সে ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দিয়ে একটি পিস্তলের ভাড়া পড়ত ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকায়। গুলির জন্য আবার অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। রাজনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য অস্ত্রের ভাড়া কিছুটা বেশি হয়। ঘটনার গুরুত্ব বেশি হলে ভাড়া আরও বেড়ে যায়। তাঁরা দেশীয় শুটারগান ও পাইপগানও ভাড়া দিতেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।