পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপিতে ভাঙ্গনের সুর বেজে উঠছে দাবি করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি ভাঙ্গা এখন সময়ের ব্যপার মাত্র। বিএনপির গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই দলের ভাঙ্গনের সুর বেজে উঠেছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, ফেরারি আসামি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন হওয়ার পর থেকে বিএনপির মধ্যে কানাঘোষা শুরু হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, যারা যারা আপনাদের দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য চেষ্টা করছেন, তাদের বলছি ঐক্য থাকবে না। আপনাদের দলের সিনিয়র নেতারা বিকল্প চিন্তা ভাবনা করতে বাধ্য। আপনারা দলের গঠনতন্ত্র যে দিন সংশোধন করেছেন সেদিন থেকে আপনাদের দলে ভাঙ্গনের সুর আমরা শুনতে পাচ্ছি।
বিএনপির পক্ষ থেকে সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, সরকার আপনাদের দল ভাঙ্গবে না, সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরণের প্রচেষ্টার প্রয়োজন হবে না। এটা আমি স্পষ্ট বলতে পারি। কোন রকম উদ্দেশ্য নাই আপনাদের দল ভাঙ্গার জন্য। তিনি বলেন, কিন্তু আপনাদের পদক্ষেপ গুলোর মধ্যে এক দুর্নীতিবাজ জেলে আরেক দুর্নীতিবাজ ফেরারি আসামী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ায় আপনাদের দল ভাঙ্গার পেরেকটা আপনারাই পুঁতে দিয়েছেন, বলিষ্টভাবে পুঁতে দিয়েছেন।
কামরুল বলেন, কয় দিন পর আপনাদের দল ভাঙ্গবে এটা এখন দেখার বিষয়। দেশের উৎফুল্ল জনতা এবং সাংবাদিকরা অপেক্ষায় আছে, আসলে এটা অবসম্ভাবি। আপনাদের দলের বিবেকবান নেতারা কোন সময় একজন ফেরারি আসামিকে নিয়ে থাকতে পারে না। বিবেকবান সমর্থক ও যারা দুর্নীতিবাজ পছন্দ করে না, তারা কোনভাবেই পাশে থাকবে না। যারা দুর্নীতি পছন্দ করে না তারা পদক্ষেপ নেবেই, এটা সময়ের ব্যপার মাত্র।
তিনবারের প্রধানমন্ত্রী জেলে থাকার ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সাবেক তিনবারের প্রধান মন্ত্রী কারাগারে আছেন। এটা নিয়ে তারা বিভিন্ন কথাবার্তা বলতে পারে, তাদের লজ্জা না হতে পারে কিন্তু রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমরা লজ্জা বোধ করি এবং অত্যন্ত দু:খ প্রকাশ করছি। তিনি বলেন, এটা কোন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার রায় নয়, এই মামলাটি ছিল তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সময়ের। আজকে এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে নয় বছরের পুরোনো মামলা। চার্জ গঠনের সময় থেকে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে এটার চার্জ শুরু হয়েছে এবং অত্যন্ত দ্রæত সময়ের মধ্যে এই মামলার বিচার কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা।এ্যাডভোকেট কামরুল বলেন, বিএনপির আইনজীবীরা প্রচ্ছন্নভাবে, উদ্দেশ্য মূলকভাবে এই মামলার বিচার কার্য নির্বাচনের বছরে শেষ করেছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আজকে নির্বাচনের বছর অহেতুক মাঠ গরম করার জন্য সময় ক্ষেপণ করে এই মামলার রায়টা এই সময় পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। এটা তাদের অসৎ উদ্দেশ্য ছিল।
বিএনপি নির্বাচনে না আসলে আওয়ামী লীগের কিছু যায় আসে না বলে জানিয়ে কামরুল বলেন, সংবিধান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। সংবিধান অনুযায়ি শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনে যদি বিএনপি না আসে তাহলে আমাদের কিছু করার নাই। আগামী নির্বাচন সঠিক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে এটা নিয়ে কোন সন্দেহ নাই।
লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সামসুল হক টুকু, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।