পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি উত্তর) বিভাগ । এরা সবাই চলমান এসএসসি পরীক্ষা ২০১৮ এর প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত । তাদের নিকট হতে প্রশ্ন ফাঁসের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ডিভাইস ও বিভিন্ন ব্রান্ডের মোট ২৩ টি মোবাইল সেট ও নগদ ২ লাখ ২হাজার ৪০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। গতকাল রোববার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ এ তথ্য জানান। পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ রাহাত ইসলাম, মোঃ সালাহউদ্দিন, মোঃ সুজন, মোঃ জাহিদ হোসেন, সুফল রায় ওরফে শাওন, মোঃ আল-আমিন, মোঃ সাইদুল ইসলাম, মোঃ আবির ইসলাম নোমান, মোঃ আমান উল্লাহ, মোঃ বরকত উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, মোঃ শাহাদাত হোসেন স্বপন,ফাহিম ইসলাম ও তাহসিব রহমান।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোঃ আব্দুল বাতেন পিপিএম বলেন, এসএসসি-২০১৮ পরীক্ষা শুরুর পূর্বে ফেসবুকে একটি চক্র চ্যালেঞ্জ করে তারা এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করবেই এবং কেউ তাদেরকে ধরতে পারবে না। এ ধরণে সংবাদের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ১০ ফেব্রæয়ারি রাজধানীর বিভিন্নস্থান হতে তাদেরকে ফ্রেফতার করে। তিনি আরও জানান,এই চক্রের সদস্যরা পরীক্ষা শুরুর কিছুদিন পূর্বে ফেসবুক মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসআপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রæপ পেজ ওপেন করে তাতে বিভিন্ন ফেক প্রশ্নপত্রের সেট ছাড়ে পরীক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের দেয়া প্রশ্নপত্র সেটের মধ্য থেকে অনেক প্রশ্ন হয়ত পরীক্ষায় কমনও আসে ।
প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় এটা ঠিক। তবে এটা হয় পরীক্ষা শুরুর ঠিক ১৫/৩০ মিনিট পূর্বে । কারন প্রশ্নপত্র প্যাকেটে সীলগালা করে সংরক্ষিত থাকে ডিসি অফিসে। সেখান থেকে পরীক্ষার দিন যায় কেন্দ্রে। কেন্দ্রে প্রশ্নপত্রের সীলগালা করা প্যাকেটটি খোলা হয় পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে। এরপর প্রশ্নপত্র নিয়ে যাওয়া হয় হলে যেখানে ৫০/১০০ জন পরীক্ষার্থী বসে পরীক্ষা দেয় । কেন্দ্রে প্যাকেট খোলার পর হলে নেওয়ার পথে কুচক্রের কোন কোন সদস্য গোপনে মোবাইল বা অন্য কোন ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের বিভিন্ন সেটের স্ক্রিন শট নিয়ে ফেসবুক বা অন্য কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় ।
তিনি অভিভাবক ও পরীর্ক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বলেন, পরীক্ষা শুরুর ১৫/৩০ মিনিট পূর্বে এসব কুচক্রের দেয়া প্রশ্নপত্র নিয়ে কোন লাভ নেই। কারন প্রশ্নপত্র হাতে পেলেও পরীক্ষার্থীদের কোন লাভ হয় না যেহেতু সকল পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার হলে বসে যায় এবং তাদের কাছে কোন মোবাইল বা অন্য কোন ডিভাইস না থাকায় বাহির হতেও তাদের কাছে এই প্রশ্নপত্র ও উত্তর পৌঁছানো সম্ভব নয় । তাই তিনি অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবে কান না দেয়ার পরামর্শ দেন ।
প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে তিনি বলেন, পরীক্ষার দিন পরীক্ষা পদ্ধতির সাথে জড়িত সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীদের এবং পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন/অন্য কোন ডিভাইস ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে যাতে কেউ প্রশ্নপত্রের ছবি কোন সামাজিক মাধ্যমে ছড়াতে না পারে। এছাড়া পরীক্ষা শুরুর পূর্বে বা পরে কোন অনুপ্রবেশকারী যেন পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।