পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : শাস্তি বাড়িয়ে দ্রæত বিচার আইনের সংশোধনী বিল আইন-শৃঙ্খলা বিঘœকারি অপরাধ (দ্রæত বিচার) আইন-২০১৮ পাস করা হয়েছে। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়। বিলে উপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিন, রওশন আরা মান্নান ও নূরুল ইসলাম ওমর। কিন্তু সেই প্রস্তাবে আপত্তি জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। পরে কণ্ঠভোটে প্রস্তাবটি নাকচ হয়ে যায়। পাস হওয়া বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দ্রæত ও কার্যকর ভূমিকা পালনের উদ্দেশ্যে, চাঁদাবাজি, যানবাহন চলাকালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতিসাধন, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট করা, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র ক্রয়-বিক্রয় গ্রহণের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের গুরুতর অপরাধের দ্রæত বিচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের সার্বিক আইন-শৃ্খংলা পরিস্থিতির অধিকতর উন্নতির লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বিঘœকারি অপরাধ (দ্রæত বিচার) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১১ নং আইন) প্রণয়ন ও জারি করা হয়েছিলো। উক্ত আইনে শাস্তির পরিমাণ কম থাকায় আইনটি সময়োপযোগী করা এবং দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অধিকতর উন্নতির লক্ষ্যে এ আইনে নির্ধারিত শাস্তির পরিমাণ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। পূর্বের আইনে শাস্তি ছিলো ৫ বছরের। সংশোধনী করে এবার ৭ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ৪ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত পাঁচ বছরের পরিবর্তে সাত বছর শব্দগুলি প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ৮ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লেখিত সরকার বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত একজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটকে উক্ত আদালতের বিচারক নিযুক্ত করবে শীর্ষক নতুন (২) উপ-ধারা প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
গাজীপুর ও রংপুর মহানগর পুলিশ বিল \ স্বতন্ত্র পুলিশ বাহিনী গঠন ও তা পরিচালনার জন্য বিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে পৃথক দু’টি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। ‘গাজীপুর মহানগরী পুলিশ আইন-২০১৮’ ও ‘রংপুর মহানগরী পুলিশ আইন-২০১৮’ নামের বিল দু’টি উত্থাপন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বিল দু’টি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।