পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায় ও বেআইনীভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে দাবি করে তার মুক্তি চেয়েছে ঢাকা বারের আইনজীবীগণ। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মুক্তি চেয়ে গতকাল (রোববার) বিবৃতি দিয়েছেন দুই হাজার ৯২১ জন আইনজীবী। বিবৃতিতে আইনজীবীগণ বলেন, মামলায় স্বাক্ষী পি/ডবিøউ-৩২নং নুর আহম্মেদ তার অনুসন্ধান রিপোর্টে উল্লেখ করেন যে, ডকুমেন্টস অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে কোন তথ্য ও অভিযোগ প্রমাণ হয় নাই। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট একটি প্রাইভেট ট্রাস্ট এবং এই ট্রাস্টে সেটেলার এবং অন্য কোন ট্রাস্টের সদস্য অনিয়ম করলে ট্রাস্ট আইনের বিধান অনুযায়ী দন্ডবিধি ৪০৬ ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। বেগম খালেদা জিয়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের কোন সদস্য নয়। কুয়েতের আমীর সোনালী ব্যাংক রমনা কর্পোরেট শাখা, ঢাকার সৌদি ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯৯১ সালের ৯ জুন টাকা পাঠান। সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান কুয়েত হতে সেই টাকা এনে ১৯৯৩ সালের ১৩ নভেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট বগুড়া গাবতলীতে দুই কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং জিয়া মেমোরিয়্যাল ট্রাস্ট, বাগেরহাট মোস্তাফিজুর রহমানের নিজ এলাকায় সমপরিমাণ টাকা অনুদান দেন। বাগেরহাটে মোস্তাফিজুর রহমান মারা যাওয়ার পর তার পরিবারের কেউ রাজনীতি না করার কারণে মামলা হয় নাই। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উক্ত টাকা ঢুকে নাই। এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন যে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট বগুড়ার গাবতলীতে তাই এটি নাম সবস্ব্য নয়। এটি একটি রেজিষ্ট্রীকৃত ট্রাস্ট। তারা আরও বলেন, বগুড়ার গাবতলীর দাড়াইল মৌজায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে ২.৭৯ একর সম্পত্তি কেনা আছে। বর্তমানে ৬ কোটি টাকার উপরে ট্রাস্টের নামে জমা আছে। তারা বলেন, দুদক মামলা প্রমাণ করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ প্রমাণ হয় নাই। উক্ত মামলার দ্বিতীয় অনুসন্ধান কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ, পি.ডবিøউ-১ এবং পি.ডবিøউ-৩২ বাদী ও তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিচালক জেরায় বলেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়া কোন টাকা আত্মসাৎ করে নাই এবং আত্মসাৎ হয় নাই। ওই ধারার মূল ব্যাখ্যাই সরকারী কর্মচারী, ব্যাংকারের মাধ্যমে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ হতে হবে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার অপরাধ মূলক বিশ্বাস ভঙ্গ হয়নি। বাদী দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ প্রমাণ করতে পারেনি। কিন্তুআদালত তা অনুধাবন করতে পারেননি। বেগম জিয়ার কোন আত্মসাৎ নাই, ফলে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গও হয় নাই। কুয়েত এর আমীর টাকা প্রধানমন্ত্রীর সরকারী কোষাগারে ঢুকে নাই। সরকারের টাকা সরাসরি সরকারী কোষাগারে অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক না থাকলে অন্য কথা। রাজধানীতে বাংলাদেশ ব্যাংক অবস্থিত। যেখানে অপরাধ নাই সেখানে অপরাধে বা দূষ্কর্মে সহায়তার প্রশ্ন আসে না। ফলে বাদী দন্ডবিধি ৪০৯ প্রমাণ করতে পারে নাই এবং ১০৯ও প্রমাণ হয় নাই। তারপরও অন্যায় ও বেআইনীভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে। যিনি মামলা দায়ের করেছেন তিনি নিজেই বলেছেন আত্মসাৎ হয় নাই। সেখানে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ শুধুমাত্র সাবেক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কারণে এবং বিএনপির চেয়ারপারসন হওয়ায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার সাজা দেওয়া হয়েছে যা বাতিল হতে বাধ্য।
জেল কোড অনুযায়ি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া প্রথম শ্রেণির ডিভিশন পাওয়ার হকদার উল্লেখ করে বিবৃতিতে ঢাকা বারের আইনজীবীরা বলেন,
বাদীপক্ষ মামলা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বেগম জিয়া খালাস পাওয়ার কথা কিন্তু তাকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। জেল কোডের বিধান অনুযায়ী বেগম খালেজা জিয়া বন্দীর শ্রেণী বিন্যাস অনুযায়ী মহিলা বন্দী সামাজিক মর্যাদায় ও ভাল চরিত্রের অধিকারীসহ অন্যান্য যোগ্যতা অনুযায়ী প্রথম শ্রেণীর ডিভিশন পাওয়ার হকদার। তাছাড়া জেল কোডের ৬১৭ ধারা অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়া প্রথম শ্রেণীর ডিভিশন পাওয়ার হকদার। যেহেতু বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, চলাফেরা করতে অসুবিধা হয় সেই কারণে জেল কোডের ৩৭ ধারা অনুযায়ী ওই ধারার সুবিধা পাওয়ার হকদার। ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেনস অনুযায়ী এর তালিকায় ১ নাম্বারে প্রেসিডেন্ট এবং ২ নাম্বারে প্রধানমন্ত্রী লেখা আছে। সেই কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া বন্দী হিসাবে সকল সুবিধা পাওয়ার হকদার। আইনজীবীগণ অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবী করেন। বিবৃতিকারীদের মধ্যে মোঃ খোরশেদ আলম, মোঃ সানাউল্লাহ মিয়া, এম. মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মোঃ বোরহান উদ্দিন, মোঃ মহসিন মিয়া, মোঃ আজিজুল ইসলাম খান বাচ্চু, মোঃ ইকবাল হোসেন, মোঃ খোরশেদ মিয়া-আলম, মোঃ মোসলেহ্ উদ্দিন (জসিম), মোঃ ওমর ফারুক (ফারুকী), মোঃ রুহুল আমিন, আফরোজা বেগম (শেলী), মোঃ শাহজাহান কবীর, এ.কে.এম. সোহরাব, আলহাজ্ব মল্লিক সফি উদ্দিন আহমেদ, মোঃ রেজাউল করিম (নিজাম), কাজী মোঃ আব্দুল বারিক, মোঃ এখলাসুর রহমান, মোঃ জহির রায়হান জসিম, মোঃ হারুন রশীদ খান, এ.বি.এম. ওয়ালিউর রহমান খান (ওয়ালী), ফকির আব্দুল মান্নান(২), এস.কে আব্দুল মালেক, সরদার আবদুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এ.এইচ.এম.লুৎফুল কবীর, মোঃ এমদাদুল হক, মোঃ আবু ইউসুফ সরকার, মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান (হাফিজ), মোঃ সারোয়ার কায়ছার (রাহাত), মোহাম্মদ জালাল আহাম্মদ, দোলন, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, মোহাম্মদ আরিফুর রহমান রঞ্জু, সৈয়দ হুমায়ুন, মোঃ এমরানুল হাসান মজুমদার, এ.এফ.এম. গোলাম ফাত্তাহ্, মোঃ আবুল কালাম আজাদ, ইসমাইল ফকির, মোঃ আমিনুল ইসলাম, সুফিয়া আক্তার হেলেন, মাইন উদ্দীন আহম্মেদ সেলিম, লিপি আক্তার, মোঃ জামাল উদ্দিন খন্দকার, মোঃ শোয়াইব মিয়া (শোয়েব), আহাম্মদ উল্লাহ (আমান), মোঃ মাজেদুর রহমান (মামুন), মোঃ নিজামুল হক, মোঃ শামসুল হক, খাদিজা বেগম হেলেন, সৈয়দ শামীম আহসান হাবিব শামীম, জাহানারা বেগম, সাবিনা ইয়াসমীন চৌধুরী বীনা, মোঃ সাইফুর রশীদ সবুজ, শাহিন হক বিউটি, তাবাস্সুম রিফাত টুম্পা, সৈয়দা শাহীন আরা লাইলী, রাফিজা আলম (লাকী), আকলিমা আক্তার আলো, মোঃ আফানুর রহমান (রুবেল), আব্দুল খালেক মিলন, মোঃ এরশাদুল আলম (জর্জ), মোঃ খায়রুল আহসান (মিন্টু), মোহাম্মদ শহীদ গাজী, শেখ আলাউদ্দিন, মোঃ সফিকুল ইসলাম, মোঃ জহিরুল ইসলাম (কাইয়ুম), ফজলুর রহমান খান, আব্দুল খায়ের, আনোয়ার জাহিদ ভূইয়া, আরফান উদ্দিন খান, নূরুল ঈমান বাবুল, মোঃ খলিলুর রহমান, হারুন অর রশিদ ভূইয়া, আব্দুল লতিফ তালুকদার, আবদুর নূর ভূইয়া বাবলু, মোঃ আসলাম মিয়া, কালিমুর রহমান খান হিমু, আবেদ রেজা, শাহ ইলিয়াস রতন, আনিসুর রহমান, মাহফুজুর রহমান পাটোয়ারী, তাহমিনা আক্তার হাসেমী, সাখাওয়াত উল্লাহ খান আনু, এম. এম. ফারুক, আবুল কালাম খান, সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ, জিয়াউদ্দিন জিয়া, আমীরুল ইসলাম আমীর, আবুল বাশার, কাজী সেলিম, নূরুজ্জামান তপন, দেলোয়ার হোসেন লেবু, ফরিদ হালদার, মোঃ তরিকুল ইসলাম, শরীফ উদ্দিন মামুন, জাকির হোসেন ভূইয়া, কাজেম আলী দুলাল, ইকবাল হোসেন, জহিরুল হক জহির, আতিকুর রহমান, আক্তার হোসেন সোহেল, জুনায়েদ হোসেন সোয়েব, মোহাম্মদ উল্লাহ জুয়েল, আবদুর রাজ্জাক, হাতেমূল আলম, মোঃ রফিকুল ইসলাম (চাঁদপুর), ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, মহিউদ্দিন চৌধুরী, আবদুর রশিদ মোল্লা, আবুল কালাম আজাদ, মাসুদুর রহমান বাদল, নূর মোহাম্মদ, তাজ ইসলাম তাজ, গাজী তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, ওয়ালিউল ইসলাম তুষার, হাদিউল ইসলাম হাদি, মোঃ রমজান আলী, সরোয়ার হোসেন, শওকত উল্যাহ চৌধুরী, মোঃ রমজান খান, মোঃ মহসিন ভূইয়া, রুহুল আমীন শেলী, রেজাউল করিম সরকার, মোয়াজ্জেম, ওয়াহিদুজ্জামান টিটু, শাহাদাৎ হোসেন আদিল, সিমকী ইমাম খান, জাকিয়া আনার কলি, মাঈন উদ্দীন মিয়া, আরিফ নেওয়াজ, মোয়াজ্জেম হোসেন ডলার, শহিদুল ইসলাম, মোঃ ইলতুত মিস, আবু তালেব সিকদার, আবসুদ সালাম দেওয়ান, সরকার নাসির উদ্দিন আহমেদ, এ.আর মিজানুর রহমান, মোঃ জিয়াউল হক (জিয়া), মোঃ নিহার হোসেন ফারুক, মোঃ মনিরুল ইসলাম আকাশ, নুরুজ্জামান, মোঃ নজরুল ইসলাম পাপ্পু, এ.এস.এম. শফিউল্লাহ শিবলী, মোঃ আমানুল করিম (লিটন), আব্দুল আল মামুন, মোঃ আজিজুল হক (দিদার), মোঃ আব্দুল হক খলিফা, মোহাম্মদ ছাকায়েত উল্লাহ্ ভূইয়া (ছোটন), মোহাম্মদ আলম খান, আনোয়ার উল্লাহ, মোহাম্মদ আবু ছায়েম, মোঃ এহসান লাবীব জেকব, এ.বি.এম. ইফতিখারুল হক, মোহাম্মদ খলিলুর রহমান (খলিল), কাজী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ডাবলু, মাক্সুদা ইয়াসমিন (লাভলী), এম.বি.এম. খায়রুল ইসলাম (লিটন), মোশাররফ হোসেন মোল্লা, নাছিমা আক্তার, শাহ্নাজ বেগম শিরীন, হাবিবা কাদের (মিলি), মাহ্বুব হাসান রানা, এইচ.এম. মাসুম, মোঃ আবু জাফর শেখ (মানিক), মোঃ সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার (জীবন), মোঃ রাশেদুল হাসান সুমন, মোঃ মাইনুল ইসলাম সোহেল, সাইদুর রহমান মায়নুল, মিরাজ উদ্দীন সিকদার, আলাউদ্দিন খান, দেওয়ান মনির হোসেন, সাইফুল ইসলাম মিয়াজী, ইব্রাহিম খলিল, আমিনুল ইসলাম ফিরোজ, গোলাম মোস্তফা খান, সফিকুল ইসলাম সাবু, জাহিদুল ইসলাম হিরন, সাদ আলম সোহাগ, সামসুদ্দিন খান, মিজানুর রহমান শামীম, শাহাজাদি কহিনুর পাপড়ি, কে.এম. রেজাউল ফিরোজ রিন্টু, জেসমিন আক্তার, মোজাম্মেল হক হিমু, মিনা বেগম (মিনি), সাহজালাল, দেলোয়ার হোসেন ফেরদাউস, পান্না চৌধুরী, সেলিম খান, মোঃ নাসির, আয়শা আক্তার, মেহেদী হাসান বাদল, শাহীন হোসেনসহ ২ হাজার ৯২১ জন আইনজীবী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।