পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধান (স্প্রেড) কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক বার বার তাগিদ দিলেও মানছে না কয়েকটি ব্যাংক। না মানার তালিকায় আছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, সিটি ব্যাংক এনএ, এইচএসবিসি, ব্র্যাকের মতো সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যাংকের নাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধান স্প্রেড সীমা ৫ শতাংশের নিচে আনতে বরাবরই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সার্বিকভাবে গড় স্প্রেড ৫ শতাংশের নিচে রয়েছে। কিছু ব্যাংক নির্ধারিত সীমার উপরে রয়েছে তাদের আমরা স্প্রেড হার নামিয়ে আনার তাগিদ দিয়ে আসছি। তবে আসা করছি আগামীতে আরও কমে আসবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ডিসেম্বর শেষে ৬টি বিদেশি ব্যাংক এবং ৩টি বেসরকারি ব্যাংকের স্প্রেড ছিল ৫ শতাংশের বেশি। সবচেয়ে বেশি স্প্রেড দেখা গেছে, বিদেশি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের। এরপরেই রয়েছে বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংক। গড়ে এসব ব্যাংকের স্প্রেড ছিল ৮ থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকগুলো আমানতকারীদের ঠকিয়ে ব্যবসা করছে। তাই স্প্রেডসীমা কমিয়ে আনতে কঠোর হচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিদেশি ৬টি ব্যাংকের স্প্রেড ৫ শতাংশীয় পয়েন্টের ওপর অবস্থান করছে। ব্যাংকগুলো হলÑ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, সিটি ব্যাংক এনএ, উরি ব্যাংক, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন ও এইচএসবিসি।
গত ডিসেম্বর শেষে এই ব্যাংকগুলো গ্রাহককে দেয়া ঋণের উপর গড়ে ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ হারে সুদ আদায় করেছে। কিন্তু আমানতের বিপরীতে দিয়েছে মাত্র ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ সুদ। এই হিসাবে স্প্রেড বা ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। বেশিরভাগ বিদেশি ব্যাংক বরাবরই স্প্রেড নির্দেশনা অমান্য করে আসছে।
বেসরকারি ব্যাংকের স্প্রেড রয়েছে ৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ব্যাংকগুলো আমানতের বিপরীতে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ সুদ দিয়েছে। আর ঋণের বিপরীতে আদায় করেছে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ সুদ।
তবে দেশীয় ৩টি ব্যাংকের স্প্রেড ৫ শতাংশীয় পয়েন্টের বেশি রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড আমানতের বিপরীতে গড়ে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ সুদ দিয়েছে। আর ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংকটি ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ সুদ নিয়েছে। বিদেশি খাতের এ ব্যাংকটির স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ। এছাড়া বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংক আমানতের বিপরীতে সুদ দিয়েছে তিন দশমিক ৮২ শতাংশ। আর ঋণের বিপরীতে সুদহার ১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। বেসরকারি খাতের এ ব্যাংকের স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
স্প্রেডসীমা কমাতে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আমানতের চেয়ে ঋণে সুদ বেশি নেওয়ায় এই ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। স্প্রেড কমাতে গত ১৬ জানুয়ারি ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়, ‘বারবার নির্দেশ দেওয়ার পরও স্প্রেডসীমা লঙ্ঘন করা হয়েছে। এটা দ্রæত ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে হবে। এই জন্য ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংকগুলোর স্প্রেডসীমা ৫ শতাংশের নিচে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দিয়ে আসছে। কিন্তু কয়েকটি ব্যাংক নির্দেশনা উপেক্ষা করে ব্যবসা করছে। আমানতকারীদের ঠকিয়ে ঋণের সুদ বেশি নিচ্ছে তারা। এসব ব্যাংক আমানতকারীদের মাত্র এক থেকে দেড় শতাংশ সুদ দিলেও ঋণের সুদ নিয়েছে সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ শতাংশ পর্যন্ত।
গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলো ঋণের ক্ষেত্রে গড়ে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ সুদ আদায় করেছে। আমানতের বিপরীতে ৪ দশমিক ৯১ শতাংশ সুদ দিয়েছে। ব্যাংকগুলোর গড় স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশীয় পয়েন্ট। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ঋণের ক্ষেত্রে গড়ে ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ হারে সুদ আদায় করেছে। আর আমানতের বিপরীতে দিয়েছে ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ সুদ। এক্ষেত্রে স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ সুদ। তবে বিশেষায়িত ব্যাংকের স্প্রেড সবচেয়ে কম; যা মাত্র ২ দশমিক ৮২ শতাংশ। বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক আমানতের বিপরীতে গড়ে ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ সুদ দিয়েছে। আর ঋণের ক্ষেত্রে সুদ নিয়েছে ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ হারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।