পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়েরের হুমকি দিয়েছে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (আরসিবিসি)। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলা দায়েরের ঘোষণা দেয়ার একদিনের মাথায় গত শুক্রবার এক বিবৃতির মাধ্যমে এ হুমকি দেয় ম্যানিলাভিত্তিক ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রিজার্ভের অর্থ চুরির জন্য দায়ী করে আরসিবিসির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সংবাদ সম্মেলনে ওই দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি বলেন, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে এ মামলা করতেই হবে। এক্ষেত্রে ফিলিপাইন সরকারের সঙ্গে যেন বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট না হয়, সেজন্য নিউইয়র্কে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেখানে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ও সুইফটের সঙ্গে কথা বলে মামলা করা হবে। মামলার প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য ও দলিলপত্র উপস্থাপনের লক্ষ্যে কাজ চলছে। এ ঘটনার একদিনের মাথায় শুক্রবার এক পাল্টা বিবৃতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের হুমকি দিল আরসিবিসি। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আরসিবিসি এখন পর্যন্ত যথেষ্ট সহনশীলতা দেখিয়েছে। দুই বছর আগে ঘটে যাওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনার সঙ্গে ব্যাংকটিকে জড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি এখন বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা তাদের (বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের) আরসিবিসির বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর সুযোগ দিতে পারি না। তাদের নিজেদেরসহ অনেক প্রতিবেদনেই উঠে এসেছে যে, এ ঘটনা ভেতর থেকে ঘটানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলা দায়েরের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ফিলিপিনো ব্যাংকটির বক্তব্য হলো, অভিযোগের উত্তর দেয়ার জন্য আরসিবিসি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত এখন নিজেদের কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা এবং অভ্যন্তরীণ তদন্তের ফল আদালতে জমা দেয়া। তারা বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়ার প্রক্রিয়া এখনো চালু রেখেছে। অন্যদিকে আরসিবিসিকে বলির পাঠা বানিয়ে নিজ দেশবাসীকে অন্ধকারে রেখে দিতে চাইছে তারা। ঢাকা ও দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত নিজেদের পরিষ্কার রাখা এবং নিজ জনগণের সামনে জবাবদিহিতামূলক অবস্থানে দাঁড়ানো।
২০১৬ সালের ফেব্রæয়ারিতে ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) নিউইয়র্ক শাখায় গচ্ছিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০০ কোটি ডলার চুরির প্রয়াস চালায় হ্যাকাররা। যদিও এর মধ্যে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করতে সক্ষম হয় তারা। এর মধ্যে দুই কোটি ডলারের হদিস পাওয়া যায় শ্রীলংকায়, যা এরই মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। চুরি যাওয়া বাকি আট কোটি ১০ লাখ ডলারের হদিস পাওয়া যায় ফিলিপাইনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।