পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719825855](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কারাগারে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখার পেছনে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এইচ এম এরশাদের যোগসাজস রয়েছে বলে সন্দেহ করছেন এলডিপি সভাপতি ড. কর্ণেল (অব) অলি আহমদ। জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট মামলায় ৫ বছর কারাদÐ হওয়া বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়ার দুদিন পর গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে ২০ দলীয় জোটের এই নেতা নিজের সন্দেহের কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা শুনেছি তাকে (খালেদা জিয়া) কয়েদির কাপড় পরানো হয়েছে এবং পুরনো একটি জেলে রাখা হয়েছে। এটা কী কারণে করা হল?
তেজগাঁওয়ে এলডিপি কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, সভাপতিমÐলীর সদস্য আবদুল করীম আব্বাসী, আবদুল গনি, কামালউদ্দিন মোস্তফা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। সাবেক মন্ত্রী কর্ণেল অলি বলেন, আমি তো মনে করি স্বৈরাচার এরশাদ মুক্ত আছে। তাকে নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে রাখা হয়েছিলে। এটা হয়ত সরকার, আওয়ামী লীগ এবং এরশাদ ঐক্যবদ্ধভাবে এই কাজটা করেছে।
তিন জোটের আন্দোলনে পতনের পর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ বন্দি হয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার শাসনামলে ওই সময়ের বিরোধী দল আওয়ামী লীগের দাবির মুখে বন্দি এরশাদকে গুলশানের সাবজেল থেকে নাজিমউদ্দিন সড়কের এই কারাগারে নেয়া হয়েছিল। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও গৃহপালিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ স¤প্রতি বেশ কয়েকবার মামলার প্রসঙ্গ ধরে খালেদা জিয়াকে কটাক্ষ করেছিলেন। সাবেক মন্ত্রী অলি বলেন, সরকার তো দুইটা নতুন জেল নির্মাণ করেছে। উনাকে (খালেদা জিয়া) সসম্মানে সেখানে রাখতে পারত। একটা পরিত্যক্ত জেলে তাকে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল না। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত¡াবধায়ক সরকার আমলে গ্রেফতার করার পর খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে সংসদ ভবনের দুটি বাড়িতে বন্দি রাখার বিষয়টি তুলে ধরে অলি বলেন, এবারও সেই ধরনের পদক্ষেপ সরকার নিতে পারত। এই রকম একটা জায়গায় বেগম জিয়াকে কেন রাখা হল না, বর্তমান সরকারকে তার জবাব একদিন দিতে হবে।
বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির দেওয়া সব কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন এলডিপি চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য, বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। এটা সরকারের পূর্ব পরিকল্পনার অংশ বলে আমরা মনে করি। আমরা অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। এই দাবিতে বিএনপি যেসব কর্মসূচি দিচ্ছে তার প্রতি আমরা পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।