Inqilab Logo

রোববার, ২৩ জুন ২০২৪, ০৯ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নগদ সহায়তা আরও চার পণ্য রফতানিতে

| প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দেশের রফতানি খাতকে চাঙা ও বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আরও চারটি নতুন পণ্যে ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা দেবে সরকার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পণ্য রফতানির বিপরীতে এই সুবিধা পাবে রফতানিকারকেরা। এতদিন ২০ ধরনের পণ্য রফতানিতে নগদ সহায়তা ও ভর্তুকি দিয়েছে সরকার। এখন থেকে জুতা, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও ব্যাটারি রফতানির বিপরীতেও ভর্তুকি দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ গত বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, অ্যাকুমুলেটর ব্যাটারি রফতানিতে ১৫ শতাংশ, সিনথেটিক ও ফেব্রিক্সে তৈরি পাদুকা রফতানিতে ১৫ শতাংশ এবং সফটওয়্যার, আইটি সেবা ও হার্ডওয়ার রফতানিতে ১০ শতাংশ হারে রফতানি ভর্তুকি দেওয়া হবে। এছাড়া, নারিকেলের ছোবড়ার পণ্যে সহায়তার ঘোষণা করে সার্কুলারে বলা হয়েছে, হোগলা, খড়, আখের ছোবড়া ইত্যাদি দিয়ে হাতে তৈরি পণ্যের পাশাপাশি নগদ সহায়তা প্রাপ্তির সংশ্লিষ্ট তালিকায় নারিকেল ছোবড়ার আঁশ দিয়ে (হস্তজাত কিংবা যান্ত্রিক উপায়ে) উৎপাদিত পণ্য অন্তর্ভুক্ত হবে। গত বছরের জুলাই থেকে এ বছরের জুন সময়ে জাহাজীকৃত নারিকেল ছোবড়ার আঁশ দিয়ে উৎপাদিত পণ্যের ক্ষেত্রে নগদ সহায়তার এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে। তবে আলোচ্য সুবিধা প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে যেসব আবেদনপত্র দাখিলের সময়সীমা ইতোমধ্যে অতিক্রান্ত হয়েছে সেসব ক্ষেত্রে এ সার্কুলার জারির তারিখ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে আবেদন দাখিল করা যাবে।
বর্তমানে রফতানি ভর্তুকি সুবিধাভোগী পণ্যগুলো হলো, গরু-মহিষের নাড়ি, ভুঁড়ি, শিং ও রগ, শস্য ও শাক সবজির বীজ, পাটকাঠি থেকে আহরিত কার্বন, কৃষিপণ্য ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য, হাল্কা প্রকৌশল পণ্য, শতভাগ হালাল মাংস, জাহাজ, পেট বোতল-ফ্লেক্স, ফার্নিচার, প্লাস্টিক দ্রব্য, পাটজাত দ্রব্য, সাভারে চামড়া শিল্পনগরীতে স্থানান্তরিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে ক্রাস্ট ও ফিনিশড লেদার, বস্ত্র, চিংড়ি, মাছ, চামড়া, আলু ইত্যাদি। এছাড়া, হোগলা, খড়, আখের ছোবড়া ইত্যাদি দিয়ে উৎপাদিত হস্তশিল্প রফতানিতে নগদ সহায়তা ২০ শতাংশ, আলু রফতানিতে ২০ শতাংশ, সাভারে চামড়াশিল্প নগরীতে স্থানান্তরিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে ক্রাস্ট ও ফিনিশড লেদার রফতানিতে ১০ শতাংশ এবং পাটজাত চূড়ান্ত দ্রব্য রফতানিতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে দেশে উৎপাদিত কাগজ ও কাগজজাতীয় দ্রব্য রফতানিতে ১০ শতাংশ এবং আগর ও আতর রফতানিতে ২০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, রফতানিমুখী দেশীয় বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা চার শতাংশ, বস্ত্র খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা চার শতাংশ, নতুন পণ্য বা বাজার সম্প্রসারণ সহায়তা (আমেরিকা, কানাডা ও ইইউ ব্যতীত) তিন শতাংশ, ইউরো অঞ্চলে বস্ত্র খাতে রফতানিকারকদের জন্য বিদ্যমান চার শতাংশের অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তা দুই শতাংশ, কৃষিপণ্য ও প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্যে ২০ শতাংশ, গরু-মহিষের নাড়ি, ভুঁড়ি, শিং ও রগ (হাড় ব্যতীত) রফতানিতে ১০ শতাংশ, হালকা প্রকৌশল পণ্য রফতানিতে ১৫ শতাংশ, শতভাগ হালাল মাংস রফতানিতে ২০ শতাংশ, বরফ আচ্ছাদনের হারভেদে হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রফতানি থেকে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। চামড়াজাত পণ্য ও আসবাব রফতানিতে ১৫ শতাংশ, জাহাজ, প্লাস্টিক পণ্য ও পেট বোতল-ফ্লেক্স রফতানিতে ১০, শস্য ও শাকসবজির বীজ এবং পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত কার্বন রফতানিতে ২০ শতাংশ, পাটজাত দ্রব্য রফতানিতে পাঁচ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ