পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার: সরকারি কেনাকাটায় স্বচ্ছতা আনতে ই-টেন্ডারিং কার্যক্রম দ্রæত বাড়ছে। চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্থার অধীনে এক লাখ ৪৮ হাজার ২৭৫টি টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। যার আর্থিক পরিমাণ দুই লাখ ৩৫ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। কাগজবিহীন এসব টেন্ডারে ছিল প্রতিযোগিতা ও স্বচ্ছতা। যা ক্রমেই সরকারের সব বিভাগে চালু করা হবে।
পরিকল্পনা বিভাগের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের আওতায় সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) ই-জিপি (ইলেকট্রনিক্স গভর্মেন্ট প্রকিউরমেন্ট) পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, কাগজবিহীন দরপত্র প্রক্রিয়া দ্রæত এগিয়ে চলছে, বাড়ছে আওতা। শিগগিরিই সব সরকারি সংস্থায় ই-টেন্ডারিং চালু হচ্ছে। তবে কাগুজে টেন্ডারিংয়ের আমল এখনই শেষ হচ্ছে না। কেননা এখনও ১০০ কোটি টাকার বেশি দরপত্র ই-জিপিতে শুরু হয়নি। এটি শুরু হলে শতভাগ ই-টেন্ডারিং হবে।
এ পর্যন্ত সরকারের মোট এক হাজার ৩০০ সংস্থার মধ্যে ই-জিপি প্রক্রিয়ায় রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে এক হাজার ১৪৩টি। বাকি রয়েছে মাত্র ১৫৭টি সংস্থা। শিগগিরিই এসব সংস্থার রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে সব সরকারি সংস্থাই যুক্ত হবে এ প্রক্রিয়ায়।
সিপিটিইউর মহাপরিচালক ফারুক হোসেন বলেন, ই-জিপির আওতা ক্রমেই বাড়ছে। এজন্য ই-জিপি ডাটা সেন্টারের কার্যকারিতাও বাড়ানো হয়েছে। শুধু তাই না উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১০০ কোটি টাকার নিচের দরপত্র ই-টেন্ডারিংয়ের আওতায় এসেছে। কাগুজে টেন্ডারিংয়ের আমল তাই রয়েই গেছে। আস্তে আস্তে সব দরপত্রকেই ই-টেন্ডারিংয়ের আওতায় আনা সম্ভব হবে। বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় সে লক্ষেই কাজ চলছে।
ই-জিপি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘরে বসেই দরপত্র সংক্রান্ত সব কাজ করতে পারছেন ঠিকাদাররা। পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে দরপত্রের প্রস্তাব, মূল্যায়ন, চুক্তি ব্যবস্থাপনা ও ই-পেমেন্টসহ সংশ্লিষ্ট অনেক কাজই স্বল্প সময়ে, সহজে ও সমন্বিতভাবে করা সম্ভব হচ্ছে। দরপত্রের ক্ষেত্রে কমছে টেন্ডারবাজি, দুর্নীতি ও অনিয়মও। সিপিটিইউ সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত ই-জিপিতে নিবন্ধিত দরদাতা হচ্ছে প্রায় ৪০ হাজার জন। আর নিবন্ধিত ব্যাংকের সংখ্যা ৪৪টি। তবে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক দরপত্র, বুদ্ধি সেবা (পরামর্শক) এবং ১০০ কোটি টাকার বেশি দরপত্র ই-জিপিতে আহ্বান করা হয় না। শিগগিরই এগুলোও ই-জিপিতে যুক্ত হচ্ছে। এ জন্য প্রমিত দরপত্র দলিল তৈরির কাজ শুরু করেছে সিপিটিইউ। সেই সঙ্গে চলছে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজও। সিপিটিইউ জানিয়েছে, এ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর থেকে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় প্রতিযোগিতা বেড়েছে। ২০০৭ সালে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে প্রতি দরপত্রে অংশগ্রহণকারী দরদাতার গড় সংখ্যা ছিল চার জন। গত ৭ সেপ্টেম্বর সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয় দশমিক ৪১ জনে। তা ছাড়া বেড়েছে সরকারি ক্রয় কার্যের দক্ষতাও।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য ফাঁস রোধে কঠোর হওয়ার নির্দেশ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার: ব্যাংক, বিমাসহ রাষ্ট্রীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য ফাঁস রোধে কঠোর হবার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বিএসইসিসহ নিয়ন্ত্রকসমূহকে বলা হয়েছে।
পত্রের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে-নিয়ন্ত্রকসংস্থাসমূহসহ ১৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক পরিপত্রে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার আলোকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কার্যের অতি গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্যাদি যথাযথ কর্তৃপক্ষ ব্যতিরেকে অন্য কারো কাছে প্রকাশিত না হয়’ বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয় ওই পরিপত্রে।
অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র মতে, সম্প্রতি কয়েকটি ব্যাংকের আর্থিক কেলেঙ্কারির গোপণ তথ্য ফাঁসের কারণে ইমেজ সঙ্কটে পড়েছে পুরো খাত। বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ছে সরকার। একের পর এক আর্থিক কেলেঙ্কারি ঘটনা ফাঁসে জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষায় কঠোর হতে বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।