স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার রায়ে সরকারের হাত নেই। সরকারের হাত থাকলে আগের মেয়াদেই রায় হতো। দশ বছর সুযোগ পেতো না। মামলাটি আওয়ামী লীগ-বিএনপির বিষয় নয়, জনগণের প্রত্যাশিত রায়।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেত্রীর রায়ের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আইনে সবাই সমান সেটা প্রমাণিত হয়েছে। রায়কে কেন্দ্র করে রাস্তায় ও আদালতের ভেতরে বিএনপির আইনজীবী ও নেতারা যে তান্ডব চালিয়েছেন, সেটা আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী দেখানোর সমান। তিনি বলেন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে অন্যায়ের প্রতিকার করতে হয়। এ রায়ে সরকারের কোন হাত নেই। হাত থাকলেই আগের মেয়াদে দেয়া হতো। কারণ আমরা যে ২০১৪ সালে আবার ক্ষমতায় আসবো তার কোন নিশ্চয়তা ছিল না।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কান্না প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান বলেন, কারো আবেগ নিয়ে কথা বলতে চাই না। তাদের দলের নেত্রীর জন্য কান্না করতেই পারেন। তবে ওই দলের নেত্রীর নির্দেশে যখন দেশব্যাপী পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা হলো, হাজার হাজার মানুষকে দগ্ধ করা হলো-তখন তো তারা কান্না করেনি? বরং তাদের মুখে হাসি ছিল। তারা জনগণের জন্য কান্না করে না। খালেদা জিয়াও জনগণের জন্য কাঁদেন না। তিনি দুর্নীতিবাজ পুত্রের সাজার সময়, নিজের বাড়ি হারানোর সময় কান্না করেন। পেট্রোল বোমা হামলার জন্য খালেদা জিয়ার নামেও মামলা চালু করার দাবি করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টি-জেপির অতিরিক্ত মহাসচিব সাদেক ছিদ্দিকি, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-রুহুল আমিন, খোকসা আওয়ামী লীগের নেতা মিজানুর রহমান, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।
লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলার প্রসঙ্গে হাছান বলেন, লন্ডন দূতাবাস আওয়ামী লীগের সম্পদ নয়, দেশের সম্পদ, জনগণের সম্পদ। সেখানে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করেছে। যারা জাতির জনককে সম্মান দেখাতে জানে না, তারা দুস্কৃতকারী-তারা সন্ত্রাসী। বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা সংশোধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজদের দলে ঠাই দিতেই গঠনতন্ত্রে সংশোধন এনেছে। এখন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়েছে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবাজ তারেক রহমানকে। বিএনপি শুধু দৃস্ককারীর দলই না, গণবিরোধী ও দুর্নীতিবাজদের প্লাট ফরম।