পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মো.কাউছার লক্ষ্মীপুর থেকে : লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মধ্য চর রমনী মোহন এলাকায় আলিফ সেচ প্রকল্প বন্ধ থাকায় ইরি বোরো ধান চাষাবাদ করতে পারছেননা শত শত কৃষক। এতে করে ধার দেনা করে জমি বন্ধক নেওয়া এসব কৃষক বিপাকে পড়েছেন এখন। জনৈক ব্যাক্তির মামলা ও আদালতের স্থিতি অবস্থায় চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন চাষীরা।
এলাকাবাসী ও বিএডিসি সূত্র জানা যায়, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সদর উপজেলার মধ্য চররমনী এলাকায় স্থানীয়দের উদ্যোগে আলিফ সেচ প্রকল্প এলাকার প্রায় ২০০ একর জমিতে ইরি বোরো ধান চাষাবাদ করে আসছেন শত শত কৃষক। সম্প্রতি ওই প্রকল্পটি বিএডিসি কর্তৃক সরকারিভাবে ভূগর্ভস্থ ভারী পাইপ লাইন নির্মাণের জন্য সিধান্ত নিয়ে কার্যাদেশ জারি করা হয়। এমতাবস্থায় জনৈক খোরশেদ আলম নামের এক ব্যাক্তি তার জমির উপর দিয়ে সেচ প্রকল্প চালু না করতে আদালতের শরনাপন্ন হন। আদালত স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে ওই প্রকল্পটির কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে বর্তমানে ইরি বোরো চাষীরা পড়েছেন বিপাকে। চারা রোপণের শেষ সময়ে এসেও চাষাবাদ না করতে পেরে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন তারা। গত বৃহস্পতিবার সকালে মাঠ জুড়ে ব্যাপক কৃষক-কৃষানীর অংশ গ্রহণে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেন কৃষকরা। এসময় কেউ কেউ অভিযোগ করে বলেন, একেক জন কৃষক ধার দেনা করে কিস্তি নিয়ে একর প্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে জমি বর্গা নিয়েছেন। এখন চাষাবাদ করতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন তারা। আবার কেউ কেউ বলছেন, ইরি বোরো ধান চাষাবাদের আশায় চারা রোপণ করতে প্রতি কেজি বীজ ধান ৭০০ টাকা মুল্যে কিনে বীজতলা করে এখন বিপাকে পড়েছেন অনেকে। এমতাবস্থায় বিস্তীর্ণ জমির মাঠ খালি পড়ে আছে এখন। দ্রæত এ প্রজেক্ট চালু না হলে এখানকার কৃষকদের খাদ্য সঙ্কট দেখা দিবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে বিএডিসির ক্ষুদ্র সেচ বিভাগের কর্মকর্তা সহকারি প্রকৌশলী কাজী মো: আবুল কালাম জানান,কৃষকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হন তা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।