পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরা, রামগড় থেকে: রামগড়ে পাহাড়ের ঝাড়–ফুল বিক্রি করে অনেকের ভাগ্য বদল হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বসে ঝাড়– ফুলের অস্থায়ী হাট। বিকেলে পাহাড় থেকে ফিরে ঝাড়–ফুল নিয়ে হাটে আসেন কাঠুরিয়ারা। বেচা কেনা চলে প্রতি বাজার দিনে। অনেক কাঠুরিয়া শীতের মৌসুমে কাঠ না কেটে ঝাড়– ফুলের ব্যবসায় করেন।
ঝাড়–ফুল মূলত একটি সাময়িক অর্থকরী প্রাকৃতিক বনজ সম্পদ। পাওয়া যায় উচু পাহাড় ও ছড়ার দ্ধারে। উপজেলা পাতাছড়া ইউনিয়নের হাজাছড়া গ্রামের ঝাড়– ফুল বিক্রেতা কাঠুরিয়া চিকন ত্রিপুরা বলেন, পাহাড় থেকে কাঠ কেটে তার বাড়ি এনে বিক্রয়ের উপযোগী করতে অনেক সময় ও শ্রমের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ঝাড়– ফুল সংগ্রহ করতে তেমন পরিশ্রম হয় না। তাছাড়া দামও পাওয়া যায় ভালো।
জানা গেছে, উপজেলার বৈদ্যপাড়া, হাজাছড়া, বড়পিলাক, লাচারীপাড়া, নাক্রাই, ছোটখেদা, হাফছড়ি এলাকা থেকে ঝড়– ফুল এনে রামগড়, সোনাইপুল, জালিয়াপাড়া বাজারে ফুলের জামজমাট বাজার বসে। এসকল স্থান থেকে পাহাড় বেশি দূরে নয়। সুবিধার জন্য কাটুরিয়ারা কম দূরত্বের বাজারগুলো বেছে নেয়। এ ঝাড়–ফুলের যে এত চাহিদা এসে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের আয়ের এক বিকল্প উৎস হয়ে দাঁড়াবে তা কেউ আগে কখনো ভাবেনি। জানা যায়, ঘরের ঝাড়– হিসেবে ব্যবহার ছাড়াও এ ঝাড়–ফুল বিল্ডিংয়ের রং মিস্ত্রিদের রঙের কাজে ব্যবহৃত হওয়ায় দেশে এ ঝাড়–ফুলের চাহিদা দিনে দিনে এত কদর বেড়ে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে পাহাড় থেকে ঝাড়–ফুল এনে বিক্রি করে স্থানীয় শ্রমিকরা। এরপর পাইকারী ব্যবসায়ীরা ক্রয় করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলাতে নিয়ে যাওয়া হয়। জহির উদ্দিন নামে স্থানীয় এক ঝাড়– ফুল ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিবাজারে রামগড়, গুইমারা, মাটিরাঙা, দীঘিনালা, পানছড়ি থেকে আনুমানিক ছয় থেকে সাত লাখ টাকার ঝাড়–ফুল বাজারে উঠেছে। তিনি বলেন, ঝাড়–ফুলের এখন পূর্ণ মৌসুম। পূর্ণ মৌসুমে প্রতি বাজারে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার ঝাড়–ফুল বাজারে আসে। ১০০টি ঝাড়–ফুল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০টাকায়। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।