পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের অফিস ভবনে। মূল ফটক দিয়ে ঢুকে বাম পাশেই সিনিয়র জেল সুপারের অফিস কক্ষ ছিল এটি। সেখানেই তাকে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পাচ বছরের সাজা দেয়ার পর তাকে সেখানে নেয়া হয়। সন্ধ্যায় কারাগার সূত্রে জানা যায়, বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে ভালো আছেন। দুপুরে তাকে কারাগারে নেয়ার পর ভাত, মাছ, ডাল ও সবজি খেতে দেয়া হয়েছে। কারাগারে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে একই সেলে থাকবেন তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ফাতেমা বেগম (৩৫)। কারা অধিদফতরের ঢাকা বিভাগের ডিআইজি (প্রিজন্স) তৌহিদুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারের মূল ফটকের ভেতরে যে অফিস ভবন রয়েছে, সেখানেই তাকে রাখা হয়েছে। একজন প্রথম শ্রেণির বন্দির যেসব সুবিধা পাওয়ার কথা, সব সুবিধাই তাকে সেখানে দেয়া হবে। কারা অধিদফতর সূত্র জানায়, পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের মূল ফটকের ভেতরে বামপাশে যে দোতলা ভবনটি রয়েছে, তার নিচতলায় বেগম খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে। সেখানে একসময় সিনিয়র জেল সুপারের অফিস কক্ষ ছিল। দোতলায় জেলারের বাসা ছিল। বর্তমানে সেখানে কোনও এয়ার কন্ডিশন নেই। তবে খাটসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র রয়েছে। কাউকে থাকতে হলে যা যা দরকার সবই আছে সেখানে। এর আগে জানা গিয়েছিল তাকে এ কারাগারের ভেতরে নারী সেল এলাকার তিন তলা ভবনের ডে কেয়ার সেন্টারে রাখা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়াকে পুরনো কারাগারের অফিস ভবনেই রাখা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পাচ বছরের কারাদন্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার পর গতকাল দুপুর ২টা ৫০ মিনেটের দিকে তাকে আদালত থেকে কারাগারের নেয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়। কারাগারে নেয়ার জন্য বেগম খালেদা জিয়ার নিজ গাড়িতে তোলা হয়। এ সময় র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা গাড়িটি ঘীরে ফেলেন। বিকেল ৩টা ৮ মিনিটে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে পৌছায় গাড়িটি। কারাগার ঘিরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কারাগারের চারদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল ও অবস্থান জোরদার করা হয়েছে। গত বুধবার কারাগারের আশপাশে নতুন করে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এ ছাড়া গতকাল থেকেই ওই এলাকায় জনসাধারণের চলাচলেও কড়াকড়ি করা হচ্ছে। সূত্র জানায়, গতকাল গুলশানের বাসা থেকে ফাতেমাকে নিয়ে একই গাড়িতে করে আদালতে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া। রায় পড়ার সময়ও তার সঙ্গেই ছিলেন ফাতেমা। আদালতের রায় পড়া শেষ হলে বিচারকরা কক্ষ ত্যাগ করেন। এর পর বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে, পরিচর্যার জন্য ফাতেমাকে তার সঙ্গে কারাগারে রাখার আবেদন জানান আইনজীবীরা। আবেদনে স্বীকৃতি দিয়ে এ বিষয়ে একটি আবেদনপত্র দেয়ার জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন বিচারক। আদালতের স্বীকৃতি পেলে, ফাতেমাকে নিয়ে নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারের দিকে রওনা দেন বেগম খালেদা জিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।