Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভাষা শহীদ ভাষা সৈনিক লও সালাম

| প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন কেবল রাজপথে প্রতিবাদ আর প্রতিরোধে সীমাবদ্ধ ছিল না। বরং এর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ ছিল সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও। বাংলা ভাষায় সঙ্গীত রচনার মাধ্যমে বাঙালি জনমনে তীব্র আবেগ গড়ে তোলে। আর এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন রমেশ শীল, আলতাফ মাহমুদ ও আবদুল লতিফসহ আরও অনেকে। ভাষা আন্দোলনের রক্তাক্ত উত্তাপকে বাংলা সঙ্গীতের ভুবনে ছড়িয়ে দিয়েছেন এই তিনজন শিল্পী-সংগ্রামী। রাজপথের প্রত্যক্ষ সংগ্রামকারীরাই কেবল ভাষা-সংগ্রামী নন, আমাদের যেসব মহান শিল্পী ১৯৫২’র একুশের ঘটনার পর তাঁদের শিল্পকর্মের মাধ্যমে জনমনে তীব্র আবেগ গড়ে তুলেছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য, যারা ভাষা আন্দোলনের ঘটনাকে তাঁদের শিল্পকর্মের উপজীব্য করে তুলেছিলেন পরবর্তী আন্দোলনসমূহের প্রেরণা যোগানোর জন্য। যার ফলে ভাষা-সংগ্রাম সফলতা অর্জন করেছিল। যখন রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে বাধা দেয়া আর একুশে ফেব্রুয়ারি গুলি চালিয়ে সালাম, বরকত, রফিক ও জব্বারের মতো দেশপ্রেমিক নিষ্পাপ মানুষদের প্রাণ কেড়ে নেয়া হয়। তবে পাকিস্তানীরা কেবল তাদের প্রাণ কেড়ে নিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। বরং শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনারটিকেও ভেঙ্গে চুরমার করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। যেখানে পুলিশের নির্মম গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ভাষা শহীদরা, সেখানেই গড়া হয় স্মৃতির মিনার। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে শহীদ শফিউর রহমানের বাবাকে দিয়ে উদ্বোধন করা হয় শহীদ মিনার। তারপর ২৬ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ মিনারটি আবার উদ্বোধন করেন দৈনিক আজাদ পত্রিকার সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দীন। ওই দিনই পুলিশ এসে গুঁড়িয়ে দেয় শহীদ মিনারটি। এইসব করে কোনভাবে শহীদদের স্মৃতি মুছে দিতে পারেনি বাঙালি জাতির মন থেকে। আবার ১৯৫৩ সালে শহীদ দিবসে একই স্থানে প্রথম শহীদ মিনারের আদলে কালো কাপড় আর লাল কাগজ দিয়ে তৈরি করা হয় শহীদ মিনারের প্রতিকৃতি। অবশেষে ৫৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। শিল্পী হামিদুর রহমানের নকশায় নির্মিত হয় এই শহীদ মিনার (বর্তমান শহীদ মিনার)। আর এখন চলছে সেই সংগ্রামী ভাষার মাস। এই মাসেই ভাষা আন্দোলনের স্মরণে বাংলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয় অমর একুশে গ্রন্থমেলা।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ