পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসা পূরণের জন্য মিথ্যা ও সাজানো মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকালে রাজধানীর বকশীবাজারের বিশেষ আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপসনের ৫ বছর সাজার রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন তিনি। রিজভী বলেন, এই রায় একদলীয় শাসনকে দীর্ঘায়িত করার জন্য দেওয়া হয়েছে। গণতন্ত্রকে ধুয়ে মুছে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার করার জন্য এই রায়। গণতন্ত্রকে নিশ্চিন্ন করার জন্য এই রায়। প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ প্রতিহিংসার বিষ মনের মধ্যে পুষে রেখেছিলেন। এটি যেন তারই প্রতিক্রিয়া। তিনি বলেন, এই রায়কে বিএনপি ও জনগণ ধিক্কার ও ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। রায় ঘোষণার ৪০ মিনিট পর দেওয়া এই প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন রিজভী; এক পর্যায়ে চশমা খুলে চোখ মুছতে থাকেন তিনি। তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানানোর সময়ে কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীনসহ উপস্থিত অনেক নেতাকর্মীকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। রিজভী বলেন, এই রায় গণবিরোধী রায়, জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার বিরুদ্ধের রায়। এই রায় দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র একজনকে খুশি করার জন্য, এখানে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এই রায় দেশের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করে। আমরা এই রায়ের প্রতি ধিক্কার, ঘৃণা, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। খালেদা জিয়াকে ভয়ঙ্করভাবে পর্যুদস্ত করতে সরকার দীর্ঘদিন ধরে নীল নকশা করছে বলে মন্তব্য করেন এই বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে ভয়ঙ্করভাবে পর্যদস্ত করতে এই সরকার এবং এই সরকারের মুরব্বিরা পরিকল্পনা করে আসছেন। কেননা খালেদা জিয়া থাকলে সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র থাকবে।
রিজভী বলে, খালেদা জিয়াকে এই সরকারের আন্দোলনের ফসলরাও দেশছাড়া করতে পারেনি। কারণ মাটি, মানুষ ও মৃত্তিকার সাথে জড়িত এক অনন্য নেত্রীর নাম বেগম খালেদা জিয়া। এই রায়ের বিরুদ্ধে কী কর্মসূচি দেবেন জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আপনাদের মাধ্যমে আমি ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীসহ জাতীয়তাবাদী শক্তি সকলকে আহŸান করছি, আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্রের সীমানার মধ্যে আপনাদের প্রতিবাদ করুন। আপনারা এগিয়ে আসুন রাজপথে। আপনারা নিজেরা বুলেট বরণ করবেন কিন্তু অন্যকে আক্রমণ করবেন না। সরকার নাশকতা করবে, আপনাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করবে। আপনাদের দুই হাত হচ্ছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের বিষয়। সেই দুই শূন্য হাত তুলে ধরে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, দলের কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নুরী আরা সাফা, নিলোফার চৌধুরী মনি, রাশেদা বেগম হীরা, বেবী নাজনীন, অপর্না রায় ও বেলাল আহমেদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।