Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রমাণ হয়েছে দুর্নীতি করলে বিচার হয় -সচিবালয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর কারাদন্ড হওয়ার পর তাঁকে এখন কারাগারে যেতেই হবে। এ কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ রায়ের পরপরই গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, আইনজীবী হিসেবে আমি যতটুকু জানি, আজকেই খালেদা জিয়াকে কারাগারে যেতে হবে। মামলার সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার পর তিনি আপিল করতে পারবেন। তবে আইনমন্ত্রী মনে করেন, ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের সার্টিফায়েড কপি আজই পাওয়া যাবে না। আইনমন্ত্রী বলেন, কেউ যে আইনের ঊর্ধ্বে না, এ রায়ে তা প্রতিষ্ঠিত হলো। আনিসুল হক বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির পর সাজা হবে, তাতে আমাদের ভাবমূতি উজ্জ্বল হয় না। তবে এখন পৃথিবীকে বলতে পারব, এ দেশে দুর্নীতি করলে বিচার হয়।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সার্টিফাইড কপি পাওয়ার পর তিনি হাইকোর্টে আপিল করতে পারবেন, সেখানে জামিন আবেদনও করতে পারবেন। আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন কি না, সেটি উচ্চ আদালত এবং স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই এই মামলা হয় খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড এবং অন্য আসামিদের ১০ বছরের কারাদন্ড এবং দুই কোটি টাকা করে জরিমানা করা হয়। এই রায়ের পর খালেদা জিয়া জামিন পাবেন কি না- এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, ওনাকে আজকেই কারাগারে যেতে হবে। মামলার রায়ে সার্টিফাইড কপি পাওয়ার পর আপিল করতে পারবেন, আপিল পাওয়ার সাথে সাথে বেইল পিটিশন দিতে পারেন। কত দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে-এমন প্রশ্নে আনিসুল হক সাংবাদিকদের কাছেই প্রশ্ন করেন, আপিলটা বোধ হয় ৬০ দিনের মধ্যে করতে হবে। নাকি ৯০ দিনের মধ্যে? সিক্সটি ডেজ নাকি নাইনটি ডেজ?। লিমিটেশন অ্যাক্টের ৫ ধারায় বলা আছে, কত দিনের মধ্যে হাইকোর্টে আপিল করতে পারে। হাইকোর্টে বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে হয় ৩০ দিনের মধ্যে। এখানে মনে হয় ৬০ দিনের মধ্যে। আজকেই সার্টিফাইড কপি পাওয়ার সুযোগ আছে কি না-এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়, আজকে পাবেন কী করে? সেটা তো সম্ভব নয়। এই রায়ের কারণে খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনের জন্য অযোগ্য হবেন কি না-এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংবিধানে বলা আছে যে নৈতিক স্খলনের জন্য দুই বছরের অধিক সাজা হলে তিনি পার্লামেন্ট নির্বাচন করতে পারবেন না। আবার আর একটি আইনে আছে তিনি ইলেকশন করতে পারবেন। আবার আরেকটা রায় আছে, পারবেন না। এখন হাইকোর্ট এবং স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আছে, এ বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবে। মন্ত্রী বলেন, সাড়ে নয় বছর মামলাটা চলেছে, সেটা যদি অল্প সময় হয়ে থাকে তাহলে কিছু বলার নাই। আইনে তার যা যা বেনিফিট দেয়ার কথা, সব দেয়ার পর মামলাটি শেষ হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারকে জনগণ জান মালের হেফাজতের দায়িত্ব দিয়েছে। জানমালের হেফাজদের জন্য আমাদের যদি পদক্ষেপ নিতে হয় আমরা সেটা নেব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ