পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদা প্রস্তত। দেশের জনগণ বিশৃঙ্খলা পছন্দ করে না। জ্বালাও পোড়াও পছন্দ করে না।
তিনি আরো বলেন,খালেদা জিয়ার মামলার রায় অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তার মামলার রায় কী হবে তা আগেও বলেছি যে আমরা জানি না। তবে যদি সাজা হয় তাহলে জেল কোড অনুযায়ী যে ব্যবস্থার কথা বলা হবে সরকার সেই ব্যবস্থাই করবে। আমরা তাকে সেভাবেই রাখবো।
গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সচিবালয়ে তার নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
পুরাতন জেলখানা পরিষ্কার করা হচ্ছে কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে কোথায় কীভাবে রাখা হবে তার দায়িত্ব কারা কর্তৃপক্ষের। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় কারা কর্তৃপক্ষও প্রস্তুত। শুধু কারা কর্তৃপক্ষ নয়, দেশের যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোস্টগার্ড, আনসার, পুলিশ সবসময় প্রস্তুত থাকে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ বৃহস্প্রতিবার খালেদা জিয়ার মামলার রায় হতে পারে। বিচার শুরু হলে রায় হবেই। বিচারকের ওপর নির্ভর করবে রায় কী হবে। তবে আদালতের রায়ে যেভাবে নির্দেশ থাকবে আমরা সে নির্দেশই পালন করবো।
তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনী দেশপ্রেমিক, পেশাদার এবং দক্ষ। কেউ যদি নাশকতা সৃষ্টি করে, ভাঙচুর করে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়ে জনগণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করতে চায়, তাহলে জনগণের জানমাল রক্ষায় পুলিশ বাহিনী তার দায়িত্ব পালন করবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিএমপি কমিশনারের কাছে বিভিন্ন মাধ্যমে যে ধরনের তথ্য আদান প্রদান হয়েছে তার ওপরে ভিত্তি করেই আগাম প্রস্ততি হিসেবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যে কোনও ধরনের নাশকতা মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্ততি নিচ্ছে মাত্র। কেউ যেন কোনও কারণে কোনও ধরনের লাঠিসোঁটা, বিস্ফোরক নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত ৩০ তারিখ খালেদা জিয়ার গাড়িবহর অত্যন্ত ধীরে ধীরে এগুচ্ছিল। সেখান থেকেই পুলিশের প্রিজন ভ্যানে আক্রমণ করা হয়েছে, পুলিশের গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা অতীতে রাজশাহীতে পুলিশ পিটিয়ে মারার ঘটনাকেই জনগণকে মনে করিয়ে দেয়। ভিডিও ফুটেজ দেখে আমরা তাদেরকে শনাক্ত করছি। ঘটনা ঘটানোর পর অভিযুক্তরা দেশের যে যেখানে অবস্থান নিয়েছে তাদেরকে সেখান থেকেই ধরে আনা হচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরের আশপাশ থেকেই এই হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। পুলিশ সেদিন অত্যন্ত ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু ভিডিও ফুটেজের ছবি দেখিয়ে সাংবাদিকদের বলেন,হাজার হাজার মানুষ। এদেরকে এক এক করে ধরে আনা হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব বলেছে অনুপ্রবেশকারী। কিন্তু এরা সবাই বিএনপির নেতাকর্মী। চারজনকে শনাক্ত করা গেছে। এদের একজন মামুন খান, বাড়ি নলসিটিতে। একজন রুহুল আমিন, বাড়ি হাজীগঞ্জে। আরেকজন হারুনুর রশিদ, আরেকজন ইশতিয়াক। এর চারজনই ছাত্রদল এবং যুবদল ঢাকা মহানগরের নেতা। আমরা এই ঘটনার নির্দেশদাতা, অর্থদাতা, পরামর্শদাতা এবং সহায়তাকারীদের খুঁজছি। তাদেরকেও গ্রেফতার করা হবে।
অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, হাবীব-উন নবী খান সোহেলকে পুলিশ অথবা র্যাব কেউ গ্রেফতার করেনি। আমি নিজে খোঁজ নিয়েছি। হয়তো তিনি নিজেই আত্মগোপনে থাকতে পারেন। অথবা হতে পারে এটি তার নতুন কোনও কৌশল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।