Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে ঢাকা

প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:২৬ এএম, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮

 

বিএনপির নয়াপল্টন অফিস ঘিরে রেখেছে পুলিশ, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা আইজিপির। রাজধানীর প্রবেশ পথগুলোতে নিয়ন্ত্রন নিয়েছে পুলিশ ও র‌্যাব। ঢাকায় মিছিল-সমাবেশ ও জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। গণপরিবহন, ট্টেন ও সদরঘাট থেকে নৌযান সীমিত আকারে চলাচল করবে বলে আশংকা সাধারন মানুষের। পথে পথে তল্লাশি। রাজনৈতিক অস্থিরতার আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা
সাখাওয়াত হোসেন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায় সামনে রেখে রাজধানীসহ সারা দেশে জনমনেও দেখা দিয়েছে শঙ্কা। গতকাল থেকে রাজধানীর প্রবেশ পথগুলোতে নিয়ন্ত্রন নেয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে পুলিশ ও র‌্যাব। ঢাকার প্রতিটি হোটেল ও মেসে অভিযান চালানো হচ্ছে। তল্লাশী করা হচ্ছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাসায়ও। আজ বুধবার থেকে রাজধানীতে গণপরিবহন, ট্টেন ও সদরঘাট থেকে নৌযান সীমিত আকারে চলাচল করবে বলে আশংকা সাধারন মানুষের। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আগামীকাল ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ওই রায় ঘোষণা হওয়ার কথা। রায়কে কেন্দ্র করে জনসাধারনের জাম-মালের নিরাপত্তায় বিঘœ না ঘটে সে জন্য সক্রিয় থাকতে গতকাল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের মাঠ পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। ওই দিন ঢাকায় মিছিল-সমাবেশ ও জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। ভোর ৪টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মহানগর এলাকায় লাঠি, ছুরি, চাকুসহ ধারালো অস্ত্র, বিস্ফোরক ও দাহ্যপদার্থ বহনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে রাজধানীর প্রবেশ পথসহ সেপিআইগুলোতে। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একে ঘিরে প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করেনি। তবে উভয় দলেই রয়েছে প্রস্তুতি। এছাড়া বাস টার্মিনালসহ গণপরিবহনে কোন নাশকতা ঠেকাতে আগামী ৮ফেব্রুয়ারি রাজধানী ও রাজধানীর বাইরের বাসস্ট্যান্ডে প্রায় ১৫ হাজার মালিক-শ্রমিক অবস্থান নেবে বলে পরিবহন সূত্রে জানা গেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, ৮ ফেব্রুয়ারির পর আরো তিন-চার দিনের পরিস্থিতি মাথায় রেখে নিরাপত্তার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। গতকাল থেকে ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে চেকপোস্ট বা তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েয়ে। তল্লাশির পর যানবাহন ঢাকার ভেতর ঢোকার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া রাজপথে গুলশান, উত্তরা, মহাখালী, সদরঘাট, যাত্রাবাড়ি, মতিঝিলসহ বিভিন্ন স্থানে যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি করছে র‌্যাব ও পুলিশ। একই সাথে বিভিন্ন এলঅকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। রাজধানীর আবাসিক হোটেলগুলোতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। রায়ের দিন রাজধানীর কোনো স্থানেই বিএনপির নেতাকর্মীসহ কাউকেই জড়ো হতে দেবে না পুলিশ। কেউ জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করলেই পুলিশ ছররা গুলি চালাবে।
পুলিশ সদরদফতরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, কোনো নাশকতা হলে তা ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে থাকবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পাশাপাশি সন্দেহভাজন নাশকতাকারী ধরতে এরই মধ্যে অভিযানে নেমেছে তারা। গত সাত দিনে বিএনপির প্রায় সাত শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়েছে। সূত্র জানায়, নাশকতার আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুরসহ বিভিন জেলা থেকেও গতকাল রাত থেকে গণপরিবহন পরিচালনা করা হচ্ছে সীমিত আকারে। নাশকতা প্রতিরোধের কর্মকৌশল ঠিক করতে সরকারের নীতিনির্ধারকরা দফায় দফায় বৈঠক করছেন। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপিকে নিয়ে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপি সদর দপ্তরে বৈঠক করছেন ঊর্ধ্বতন পুুলিশ কর্মকর্তারা।
পুলিশ সদরদফতরের এআইজি (মিডিয়া) সহেলী ফেরদৌস গতকাল মঙ্গলবার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ৮ ফের্রুয়ারি কোনো সহিংসতার আশঙ্কা করছি না, তবে সারাদেশের পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ৮ ফের্রুয়ারীকে সামনে রেখে গতকাল পুলিশ সদরদফতর থেকে আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের রেঞ্জ ডিআইজি ও মেট্টোপলিটন এলাকার পুলিশ কমিশনারের সাথে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আইজিপি এ সময় জনসাধারনের জানমালের নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতি রাখার নির্দেশ দেন মাঠ পুলিশের কর্মকর্তাদের। একই সাথে দেশের সকল কেপিআইয়ের নিরাপত্তা জোরদার এবং দায়িত্ব পালনের সময় ফোর্সের মধ্যে সমন্বয় করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে এআইজি (মিডিয়া) সহেলী ফেরদৌস উল্লেখ করেন।
ডিএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল ৮ই ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিচারাধীন একটি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগরীতে কোন কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কর্তৃক অরাজকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে জননিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা বিঘেœর অপপ্রয়াস হতে পারে মর্মে বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য, ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও স্যোশাল মিডিয়ার সূত্রে জানা যায়। যেহেতু ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন, সেহেতু আমি মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং- ওওও/৭৬) এর ২৮ ও ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী ৮ ফের্রুয়ারী বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সকল প্রকার ছড়ি বা লাঠি, ছুরি, চাকু বা ধারালো অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও দাহ্য পদার্থ বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করছি। যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও রাস্তায় দাঁড়িয়ে/বসে কোন ধরণের মিছিল করা যাবে না মর্মে ঘোষণা করছি। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার থেকে ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে পুলিশ ও র‌্যাবের পক্ষ থেকে। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যানবাহনগুলো থামিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে রেলস্টেশন ও লঞ্চ টার্মিনালে সাদা পোশাকধারী পুলিশ সক্রিয় রয়েছে। ঢাকার আবাসিক হোটেলগুলোতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। বোর্ডারদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করার পর থানা পুলিশকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। পুলিশ অনুমতি দিলে বোর্ডারদের রাখা যাবে বলে হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সব ধরনের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই রাজধানীসহ সারাদেশে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে র‌্যাব। চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশী, ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতে গনপরিবহনে তল্লাশীসহ টহল দিচ্ছে র‌্যাব। সাধারন মানুষ যাতে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতির আশংকা না করে সে জন্য এ সব করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের একটি সূত্রে জানা গেছে, অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে পুলিশ বা অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর সশস্ত্র হামলা করা হতে পারে। কেপিআইভুক্ত সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, বিদ্যুৎকেন্দ্র, রেলপথ ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের আশঙ্কাও করা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা করতে সারাদেশ থেকে রাজধানী ছাড়াও অন্যান্য বড় শহরে জড়ো হওয়ার চেষ্টা চলছে। ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টির অপচেষ্টা চলতে পারে। এমন আশঙ্কার আলোকে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে র‌্যাব ও পুলিশসহ সকল সংস্থা।
বিএনপির নয়াপল্টন অফিস ঘিরে রেখেছে পুলিশ
বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। গতকাল মঙ্গলবার রাত সোয়া আটটার দিকে হঠাৎ করেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করে। ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ। বিএনপি নেতাকর্মীদের আশঙ্কা যে কোনো সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারে। বিএনপি কার্যালয়ে অবস্থানরত দলটির কর্মী সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পথে পথে তল্লাশি
খোঁজ নিয়ে ও সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, ঢাকায় প্রবেশের সবগুলো পথে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বসানো হয়েছে তল্লাশি চৌকি। নিরাপত্তায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশ সদস্যের সংখ্যাও। বাড়ানো হয়েছে টহল। পুলিশ বলছে, সরকার উৎখাত ও নাশকতার সতর্কতা হিসেবে রাজধানীতে প্রবেশের পথগুলোতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। হয়রানি নয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই প্রধান লক্ষ্য পুলিশের। তবে সাধারণ মানুষ ও ভুক্তভোগীরা বলছেন, অপরাধীদের ধরতে গিয়ে সাধারণদের হয়রানি করা হচ্ছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকার সাতটি প্রবেশমুখে ১৩টি তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেখা যায়, বাস, পিকাপ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যানবাহন থামিয়ে তরøাশি করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছেন না ব্যাগ কিংবা পোটলাধারী পথচারীরাও। শুধু চেকপোস্টগুলোতে নয়, রাজধানীর ভেতরের স্থায়ী তল্লাশি চৌকিগুলোতেও চলছে তল্লাশি। বাড়ানো হয়েছে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যের সংখ্যা। কমলাপুর রেলওয়ে থানার ওসি ইয়াসিন ফারুক মজুমদার জানান, ঢাকার ভেতরকার প্রত্যেকটি স্টেশনে যাত্রী ওঠার সময় ও নামার সময় গেটে তল্লাশি করা হচ্ছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে এটা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। নৌ পুলিশের ঢাকা জোনের সদরঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গতকাল থেকে এখানে নজরদারি, তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। পর্যাপ্ত জনবলকে মাঠে রাখা হয়েছে। নাশকতার উদ্দেশ্যে, বিস্ফোরক নিয়ে কেউ যাতে নৌপথে ঢাকায় ঢুকতে না পারে সে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতার আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা
রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কায় আবারও আতঙ্কে পড়েছেন দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তারা। বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে কী ঘটবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এ মহল। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পরিবহন ব্যবসায়ী, হকার ও শ্রমিকরা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হন, যা থেকে বাদ পড়ে না সাধারণ ভোক্তারাও। তাই রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতার আশঙ্কায় ব্যবসায়ী মহলে আবারও ভীতি দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে এর প্রভাব পড়েছে দেশের শেয়ারবাজারেও। এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) এর সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, এখন ব্যবসা করা কঠিন। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। বিশ্ব বাজারে টিকে থাকা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অবস্থায় রাজনৈতিক পরিবেশ খারাপ হলে ব্যবসা বাণিজ্য আরও চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়বে। দীর্ঘদিন দেশে রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল রয়েছে। সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনার জন্য রাজনৈতিক অঙ্গনের পরিবেশ স্থিতিশীল থাকবে এটাই আমরা চাই। ডিএসই ব্র্্েরাকারেজ অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক বলেন, পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিছক গুজবের কারণে হয়েছে। অতীতে বহু রাজনৈতিক ঘটনা নিয়ে অনেক গুজবের ঘটনা ঘটেছে। তবে এবারের ঘটনা একটু বেশি ভীতি সৃষ্টি করেছে।

 



 

Show all comments
  • নাসির ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৬:০১ এএম says : 0
    নিরাপত্তার নামে যেন কোন সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা না হয়
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ