Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভাষা শহীদ ভাষা সৈনিক লও সালাম

| প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : একুশ বাঙালির স্পর্ধিত অহংকার। এই চেতনা বাঙালিকে শিখিয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে। শিখিয়েছে অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করতে। এটি এক বিস্ময়কর আত্মজাগরণ। ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ ছিল বাঙালি। উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার চক্রান্ত রুখে দিতে সংগঠিত হয়েছিলেন তারা। একুশের চেতনা আর ঐক্য কাজে লাগিয়ে পরবর্তীকালে একে একে অগ্রসর হয়েছিল বাঙালি জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। যার চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করেছিল ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। যখন বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছিল একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এর সূচনা হয়েছিল সেই ’৫২’র ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। ভাষার দাবিতে পুরো ফেব্রæয়ারি মাসই ছিল আন্দোলনে উত্তাল। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে পূর্ববঙ্গ কর্মশিবির অফিসে পরিষদের এক সভা আহŸান করা হয়। এখান থেকে ১১ ও ১৩ ফেব্রæয়ারি পতাকা দিবস পালনের ঘোষণা আসে। একই সঙ্গে ২১ ফেব্রæয়ারি রাষ্ট্রভাষা দিবস পালনের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। অলি আহাদের লেখা থেকে সভার কথা জানা যায়। তবে ১৯৫২ সালে আজকের দিনে (৭ ফেব্রæয়ারি) কী কী ঘটেছিল তা তেমন জানা যায়নি। তবে এর আগের ও পরের কিছু দিন বিবেচনায় নিলে পরিষ্কার বোঝা যায়, মায়ের ভাষার মান রক্ষার্থে সর্বোচ্চ ত্যাগের প্রস্তুতি চলছিল। বিশেষ করে ছাত্রসমাজের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল আন্দোলন। এখনো একুশের চেতনায় এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ। ফেব্রæয়ারি এলে তাই নতুন করে জেগে ওঠে বাঙালি। দেশজুড়ে চলে নানা অনুষ্ঠান-আয়োজন। সকল সভা-সমাবেশ মঞ্চ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয় বায়ান্নর ভাষা শহীদদের। একুশের স্মৃতিবিজড়িত অমর একুশে বইমেলা এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ