পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাঙামাটি জেলা সংবাদদাতা : সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে পাহাড়ের পরিস্থিতি অশান্ত করা ও দেশে বিদেশে আইন শৃংখলা বাহিনীর সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির চাকমা রাণী ইয়েন ইয়েন এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ।
আগামী ২৭ ফেব্রæয়ারীর মধ্যে এ দাবী মানা না হলে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ, হরতাল, অবরোধসহ আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষনার হুশিয়ারী দিয়েছে সংগঠনটি। মঙ্গলবার দুপুরে রাঙামাটিতে সংগঠনের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সন্মেলনে এসব দাবি জানান ছাত্র সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ রাঙামাটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম এর সভাপতিত্বে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ সভাপতি কামাল উদ্দিন, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক নার্গিস আক্তার ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের আহবায়ক নূর জাহান বেগম বক্তব্য দেন।
সংবাদ সন্মেলনে নেতৃবৃন্দ সম্প্রতি রাঙামাটির বিলাইছড়ির দুই কিশোরীকে নিয়ে নানান অপতৎপরতা সৃষ্ঠির জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এবং এ ষড়যন্ত্র বন্ধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানান তারা। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে মামলা হওয়ায় ও আসল ঘঠনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে বার বার দুই কিশোরীকে নিজের জিম্মায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে ইয়েন ইয়েন। তাদের জিম্মায় নিয়ে দুই কিশোরীকে দিয়ে জোর করে হয়ত স্টেটমেন্ট নিবে না হয় গুম করে আরেক কল্পনা নাটক সাজিয়ে পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাবে ইয়েন ইয়েন। চাকমা রানী ইয়েন ইয়েন পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলোর প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবেই কাজ করছেন বলে অবস্থা দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে দেশবাসীর কাছে।
এখন পার্বত্যবাসীর প্রশ্ন হলো পার্বত্য চট্রগ্রামে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ইউপিডিএফ খুন, গুম অপহরণ, ব্যাপক চাঁদাবাজী ও র্ধষণ করলে সেই ব্যাপারে ইয়েন ইয়েনসহ মানবাধিকার কমিশনের রাঙামাটির সদস্য বাঞ্চিতা চাকমারা তখন কোন তৎপরতা দেখায় না বা কোন প্রতিবাদ করে না কেন?
যখন পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কর্তৃক বিশাখা চাকমা, ইতি চাকমা, মুকুল চাকমা, সাদিকুল ইসলাম, রবিউল হোসেন, রতন, শান্ত, মোহনী ত্রিপুরা, বালাতি ত্রিপুরা, অরবিন্দু চাকমাসহ অসংখ্য নিরীহ পার্বত্যবাসীকে হত্যা করেছে ও কিছুদিন আগে রাঙামাটিতে উপজাতীয় মহিলা আওয়ামীলীগের নারী নেত্রী ঝর্ণা খীসার উপর পাহাড়ের বিচ্ছন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সন্ত্রাসীরা নির্মম ভাবে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছিলো তখন কথিত রানী ইয়েন ইয়েন ও মানবাধিকার কমিশনের বির্তকিত সদস্য বাঞ্চিতা চাকমারা কোথায় ছিলো? তখন কেনো তারা সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন গুলোর সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবী জানাননি ও প্রতিবাদ করেননি কেন? তাহলে কি ইয়েন ইয়েন বিচ্ছন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলোর পক্ষে কাজ করছেন ও দেশ বিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন?
তাই আমাদের দাবি হলো, অবিলম্বে পাহাড়ের সাম্প্রদাায়িক উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে ইয়েন ইয়েনকে অভিযুক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক। অন্যথায় আগামী ১৩ তারিখ রোজ মঙ্গলবার রাঙামাটিতে মানববন্ধন। আগামী ১৯ তারিখ সোমবার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ।
আগামী ২৭ তারিখের মধ্যে যদি ইয়েন ইয়েন সাম্প্রদায়িক ও বির্তকিত কর্মকান্ড বন্ধ না করে অথবা প্রশাসন তাকে আইনের আওতায় না আনে তাহলে পরবর্তীতে আমরা বিক্ষোভ মিছিল হরতাল অবরোধসহ আরো বৃহত্তর কর্মসূচি প্রদানে বাধ্য হবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।