Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গৌরীপুরে ২৬ বাড়ী ভাংচুর-লুটপাট ঘটনায় মামলা নেয়নি পুলিশ!

| প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা, ময়মনসিংহ ব্যুরো : ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কলাদিয়া গ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে ত্রাস সৃষ্টি করে ২৬টি বাড়ী-ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরীপুর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাড়ীঘর ভাংচুরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও অভিযোগ সঠিক না হওয়ায় তা সংশোধন করে দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা অভিযোগ সংশোধন না করে বা আদালতে মামলা না করে থানার উপর চাপ সৃষ্টি চেষ্টা করছে।
স্থানীয় ডৌহাখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম মন্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ১৯৯৪ সাল থেকে দু’টি বংশের মাঝে এ বিরোধ চলছে। গত ২২ জানুয়ারী এ বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ আফাজ উদ্দিনের লোকজন আজিজুল হকদের বাড়ী-ঘরে হামলা করে ২৬টি বাড়ী ভাংচুর করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ কেন মামলা নেয়নি তা বলতে পারছি না। তবে স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মিমাংসার জন্য চেষ্টা চলছে।
ভুক্তভোগী আজিজুল হকদের অভিযোগে জানাযায়, চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কলাদিয়া মৌজার ২০৩নং দাগে সরকারী রাস্তার উপর স্থানীয় নূরুল আমীন গং’রা অবৈধ ভাবে বসত ঘর নির্মান করে। এনিয়ে আজিজুল হক ইউনিয়ন পরিষদের অভিযোগ করলে পরিষদ বাদী হয়ে আদালতে উচ্ছেদ মামলা দায়ের করে। এরপর নূরুল হক এ ঘটনায় ১৯৯৮ সালের ৪০নং অন্য প্রকার একটি পাল্টা মামলা দায়ের করলে ১৯৯৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আদালত রাষ্ট্রপক্ষে রায় দেয়। কিন্তু নূরুল হক রায় অমান্য করে ২০০০ সালে ২৭ এপ্রিল এ রায়ের বিরুদ্ধে আপীল দায়ের হলে আদালত তা নামঞ্জুর করে।
সূত্র জানায়, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর এ ঘটনায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন আজিজুল হক। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা চলতি বছরের ২২জানুয়ারী প্রকাশ্যে দিবালোকে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে হামলা চালিয়ে আজিজুল হকদের ২৬টি বাড়ী-ঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে।
ভুক্তভোগী আজিজুল ও জিয়াউল হকের অভিযোগ, এ ঘটনার পর দিন গৌরীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। বর্তমানে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী আমাদেরকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। ফলে সন্ত্রাসীদের ভয়ে স্কুল-কলেজ ও ফসলি জমিতে কাজ করতে পারছে না আমাদের লোকজন।
তবে এসব বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও নূরুল হকের বক্তব্য জানা যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ