পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তিন নম্বর প্রস্তাবক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ
স্টাফ রিপোর্টার : প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান মো: আবদুল হামিদের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সোমবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গিয়ে এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ছিল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের নামে তিনটি মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়। এর মধ্যে প্রথমটিতে প্রস্তাবক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং সমর্থক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। দ্বিতীয়টিতে প্রস্তাবক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং সমর্থক আ স ম ফিরোজ। আর তৃতীয়টিতে প্রস্তাবক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং সমর্থক এমপি আতিউর রহমান আতিক। তিনটি মনোনয়নপত্রের মধ্যে বাছাইয়ের পর একটি গৃহীত হবে। এদিকে আবদুল হামিদের নামে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে তার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় ত্যাগ করার পূর্ব মুহূর্তে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে তাদের এ কথোপকথন হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের মোবাইল ফোন থেকে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদকে ফোন দেয়া হয়। তোফায়েল আহমেদ ছাড়াও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। এ সময় তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা আপনার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। ওবাদুল কাদের বলেন, এই মুহূর্তে আপনার চেয়ে যোগ্য ব্যক্তি কেউ নেই। এরপর অপরপ্রান্ত থেকে প্রেসিডেন্টর সম্মতির পর তাদের মধ্যকার এই সংক্ষিপ্ত কথোপকথন শেষ হয়। এর আগে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের কাছে মনে হচ্ছে তিনিই (আবদুল হামিদ) এই মুহূর্তে গ্রহণযোগ্য ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। একটি দল করেও তিনি সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রেসিডেন্ট তো দলের প্রেসিডেন্ট নন, তিনি হলেন দেশের প্রেসিডেন্ট। কাজেই আমরা ওই ধরনের একজন মানুষকে খুঁজে নিয়েছি। তিনি দুইবারের স্পিকার এবং সাতবারের নির্বাচিত এমপি। খাঁটি বাংলার বীরপুরুষ এবং বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। তাকে আমরা চয়েজ করেছি, দেশের মানুষ গ্রহণ করেছে। নতুন প্রেসিডেন্টের কাছে আওয়ামী লীগের কী প্রত্যাশা এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমরা দলের কোনো প্রত্যাশা চাই না, তিনি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করলে আমরা খুশি। বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে রাজনীতির ময়দান উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সেদিন আওয়ামী লীগের কী কর্মসূচি? এমন প্রশ্নে সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক জানান, সেদিন তাদের কোনো কর্মসূচি নেই। আওয়ামী লীগ পাল্টা কোনো কর্মসূচি দেবে না। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, সোমবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ ছিল। বুধবার যাচাই বাছাইয়ের পর ১০ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রার্থীর সংখ্যা একজনের বেশি না হলে তাকেই বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। আর একাধিক প্রার্থী হলে ১৮ ফেব্রæয়ারি সংসদের অধিবেশন কক্ষে বিধিমালা অনুযায়ী ভোট হবে। সেখানে এমপিরাই ভোট দিয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নেবেন। সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় রাষ্ট্রপ্রধানের পদে ৭৪ বছর বয়সী আবদুল হামিদের দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়া আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন মো: আবদুল হামিদ। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মেয়াদ অবসানের কারণে প্রেসিডেন্ট পদ শূন্য হওয়ার ক্ষেত্রে মেয়াদপূর্তির তারিখের আগের নব্বই থেকে ষাট দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। ফলে ২৩ ফেব্রæয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। গত ৩১ জানুয়ারি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভায় আবদুল হামিদকে আবারো প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শুক্রবার আবদুল হামিদের পক্ষে জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন এবং রোববার প্রেসিডেন্ট ওই মনোনয়নপত্রে সই করেন। স্বাধীনতার পর থেকে ১৯ মেয়াদে এ পর্যন্ত ১৬ জন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই হিসাবে আবদুল হামিদ এই পদে সপ্তদশ ব্যক্তি। বাংলাদেশের আইনে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে থাকতে পারেন। ফলে এবার নির্বাচিত হলে এটাই হবে আবদুল হামিদের শেষ মেয়াদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।