পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার দিন মাঠ দখলে নিতে সরকার সমর্থক ১৪ দলীয় জোটের কোন কর্মসূচি থাকছে না বলে জানিয়েছেন জোটটির মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম। তবে বিএনপি নেতাকর্মীরা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য ১৪ দল সজাগ থাকবে বলে জানান তিনি।
গতকাল সোমবার বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের এক বৈঠক শেষে নাসিম বলেন, হাই কোর্ট এলাকায় পুলিশের উপর বিএনপিকর্মীরা হামলা করে ৮ তারিখে রায়ের আগে মহড়া দিয়েছে। আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্নভাবে উস্কানি দিচ্ছে তারা। পুলিশের উপর হামলা করায় বুঝা যায় তারা নিরবে উস্কানি দিচ্ছে। এরা কি আসলে রাজনৈতিক দল নাকি ডাকাত ছিনতাইকারীর সন্ত্রাসী দল, প্রশ্ন করেন নাসিম।
ওই দিন ১৪ দলের নির্দিষ্ট কোন কর্মসূচি নেই জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে শান্তি বিরাজ করছে। ১৪ দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা আট তারিখ কোন কর্মসূচি রাখছি না। তবে ১৪ দল সতর্ক অবস্থানে থাকবে। কোন অশুভ মহল যেন বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে।
দেশের আইন শৃঙ্খলাবাহিনী বিএনপির পক্ষে আছে; বিএনপি নেত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর এ সদস্য বলেন, পুলিশসহ দেশের প্রশাসনের লোকজন বিএনপির সঙ্গে আছে, এটা হাস্যকর কথা ছাড়া আর কিছুই না। বাস্তবে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর লোকদের নিজের বলে পরিচয় দিয়ে উস্কানি দিয়েছে। ওনারা (আইন শৃঙ্খলাবাহিনী) কারো লোক নয়, এরা জনগনের লোক।
আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাংবিধানিক ধারাকে ব্যহত করতে বিএনপি দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে বলেও দাবি করেন জোট মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, বিএনপির উদ্দেশ্য তারা যে কোন মূল্যে আগামী নির্বাচনের সাংবিধানিক ধারাকে ব্যহত করতে চায়। সাংবিধানিক ধারাকে ব্যহত করতে বিএনপি উঠে পড়ে লেগেছে। আর সাংবিধানিক ধারাকে অব্যাহত রাখতে ১৪ দল এখন থেকে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত মাঠে থাকবে।
কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহŸায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জেপির মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি মজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, মহাসচিব এমএ আউয়াল, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য হাছান মাহমুদ, আবদুস সোবহান গোলাপ, অসীম কুমার উকিল, আফজাল হোসেন, আমিনুল ইসলাম, বিপ্লব বড়ুয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।