Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাছান মাহমুদের আবিষ্কার লন্ডনে তারেক রহমান জুয়া খেলে ট্যাক্স দেন

| প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারপারসন তারেক রহমান লন্ডনে যে ট্যাক্স ফাইল করেন, সেখানে আয়ের উৎস উল্লেখ করেন জুয়া খেলা। তিনি জুয়া খেলে যা কামান তা থেকে ট্যাক্স দেন। আগে মানুষ তাকে হাওয়া ভবনের চোর বলত, এখন বলে আন্তঃমহাদেশীয় চোর। এই আন্তঃমহাদেশীয় চোর বলার কারণ খুঁজতে গিয়ে জানতে পারি, তিনি জুয়া খেলার টাকা থেকে ট্যাক্স দেন।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের প্রথম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত স্মরণসভায় এ কথা বলেন।
সংগঠনের উপদেষ্টা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রনি, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বিটু, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, শাহাদাত হোসেন টয়েল, নারী নেত্রী বৃষ্টি রাণী সরকার, সোহেলী পারভীন মনি, আওয়ামী লীগ নেতা হাবিব উল্লাহ রিপন, রোকন উদ্দিন পাঠান প্রমুখ।
খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া গতকাল (শনিবার) যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা হলো মৃত্যুর আগে গোঙানি। এটা তাদের পতনের আগের গোঙানি। তিনি ছয়টি শর্ত দিয়েছেন নির্বাচনের। আমি আবারো স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, কারো সুবিধার্থে সংবিধানের ব্যত্যয় ঘটানো হবে না। পৃথিবীর সব দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবেই এ দেশেও হবে।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, সংবিধান অনুযায়ীই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে হবে। সংবিধান থেকে এক চুলও নড়া হবে না। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শনিবার দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভায় যেসব শর্ত দিয়েছেন, তার কোনোটাই পূরণ হওয়ার না। সংবিধান থেকে এক চুলও নড়া হবে না।
কামরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচন আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করল আর কারা করল না সেদিকে সরকার তাকাবে না। কারো জন্য জাতীয় নির্বাচন থেমে থাকবে না।
বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, তারা সবসময় একটা কথা বলে নিম্ন আদালত সরকারের অধীনে। সব ফরমায়েশি রায় বিএনপি আমলে হয়েছে, আমাদের আমলে না। আওয়ামী লীগের আমলে বিচার বিভাগ স্বাধীন। অহেতুক বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে তারা। নির্বাচনের বছরে এসে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বিএনপি
কামরুল ইসলাম বলেন, এত বছর ধরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা চলছে। বারবার দেরি করে অহেতুক বিলম্ব করেছে তারা। তাদের উদ্দেশ্যই ছিল নির্বাচনের বছরে এই রায় নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।
প্রয়াত নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের রাজনৈতিক জীবন স্মৃতিচারণ করে বক্তারা বলেন, জনে জনে নেতা হয়, কিন্তু জননেতা কমজনই হয়। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন জননেতা। তিনি যেমন কর্মীবান্ধব, তেমনি ছিলেন সাংবাদিক বান্ধব। তার মতো অভিজ্ঞ পালামেন্টারিয়ান বড় প্রয়োজন ছিল। তিনি ছিলেন নবীন এমপিদের শিক্ষক। অনেক এমপি ও মন্ত্রী তার কাছ থেকে সংসদীয় বিষয়ে পরামার্শ নিতেন। আজকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মতো নেতার বড় প্রয়োজন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ