Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মূল্যবোধ ও নৈতিকতা
পৃথিবীতে কেউই অপরাধী হয়ে জন্মায় না। মানুষের পারিপার্শ্বিক অবস্থা বা সমাজব্যবস্থাই তাকে ভালো কিংবা খারাপ করে। সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা অবক্ষয়ের কারণ তাই দুটি দিক থেকে বিবেচনা করা যায়Íপ্রথমত পারিপার্শ্বিক ও সামাজিক কারণ, দ্বিতীয়ত অর্থনৈতিক কারণ। সামাজিক অবক্ষয় রোধ ও নৈতিকতা উন্নয়নে সবার আগে প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা ও সামাজিক মূল্যবোধের চর্চা। যে ব্যক্তির মধ্যে নৈতিক শিক্ষা থাকে, সামাজিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা থাকে সে ব্যক্তি সকল অপরাধ থেকে বিরত থাকে। বরং সে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। যার নৈতিক শিক্ষা নেই, যে সামাজিক মূল্যবোধের মর্ম বোঝে না, সে এগুলোর মূল্য দিতে জানে না। মানুষের প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলো তার পরিবার। নৈতিক শিক্ষা আর মূল্যবোধের শিক্ষাও শুরু হয় পরিবারে। পরিবারের উচিত তার শিশুকে নৈতিক শিক্ষা দেওয়া এবং সামাজিক মূল্যবোধগুলো জানানো। শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করা। ধর্ম নৈতিকতা শেখায়, সামাজিক মূল্যবোধ শেখায়। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার পাঠ্যসূচিতে নৈতিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধ শেখার উপযোগী বিষয়বস্তু থাকতে হবে। অন্যের সংস্কৃতি অন্ধভাবে অনুকরণের যে চেষ্টা তা সচেতনভাবে পরিহার করতে হবে। গণমাধ্যম থেকে আমরা অনেক কিছু শিখে থাকি। তাই গণমাধ্যমগুলোতে এমন বিষয় প্রচার করা উচিত যেগুলো থেকে মানুষ নৈতিক শিক্ষা পাবে এবং সামাজিক মূল্যবোধ সম্পর্কে জানবে।
মোহাম্মদ অংকন,
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ঢাকা

শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ করতে পারে অনলাইন আউটসোর্সিং
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নয়নশীল দেশ। অনেক সময় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার মেধা থাকা সত্তে¡ও অর্থের অভাবে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে কিভাবে আয় করা যায় সেগুলো প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হলে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমানো সম্ভব। দেখা যাবে একজন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণের পর দক্ষ হয়ে উঠলে সে আয় করতে পারবে এবং শুধু যে পড়ালেখার খরচ চালাতে পারবে তা নয় পরিবারের ভরণপোষণও সম্ভব হবে তার পক্ষে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কম্পিউটার ল্যাবগুলোকে শিক্ষার্থীদের আউটসোর্সিং-এর কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এরকম উদ্যোগের ফলে অনেকাংশেই কমে যাবে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার। বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১২৯টি। এর মধ্যে বেসরকারি ৯২টি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু ধনীদের সন্তানরাই পড়ে না, মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরাও পড়ে। পড়ালেখার খরচ বেশি হওয়ার কারণে অনেক সময় তারা পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারে না। যদি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সফটওয়্যার বিজনেসের জন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালু করে এবং সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে শিক্ষার্থী তার পড়ালেখার খরচ সেখান থেকেই চালাতে পারছে। সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ সফটওয়্যার বিজনেসে পাবে ৯২টি প্রতিষ্ঠান এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এই প্রতিষ্ঠানগুলো রাখবে বড় রকমের ভূমিকা।
এস এম হৃদয় রহমান,
ঢাকা কলেজ



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন