পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সারাদেশে গত জানুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় দৈনিক গড়ে ১৪ জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়েছেন। প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটেছে গড়ে ১৩টি। এছাড়া জানুয়ারিতে রেলপথে ৩২টি দুর্ঘটনায় চার শিশুসহ ২৮ জন নিহত ও ১১ জন আহত এবং নৌপথে ১০টি দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে বেসরকারি সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির (এনসিপিএসআরআর) নিয়মিত মাসিক জরিপ ও পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংগঠনটি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ২২টি বাংলা ও ইংরেজি জাতীয় দৈনিক, ১০টি আঞ্চলিক সংবাদপত্র এবং আটটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সংবাদ সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে সারা দেশে ৪০৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৪ নারী ও ৩০ শিশুসহ ৪২৫ জন নিহত এবং ৯৫০ জন আহত হয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক, জাতীয় সড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে এসব প্রাণঘাতি দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়া ইঞ্জিন বিকল হয়ে ২৫০ জন যাত্রীবোঝাই একটি পর্যটক জাহাজ চার ঘন্টা বঙ্গোপসাগরে ভেসে বেড়ানোসহ অভ্যন্তরীণ নৌপথে কয়েকটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানি না ঘটনায় সেসব কাহিনী অধিকাংশ গণমাধ্যমে প্রচার পায়নি। আর রেলপথে নিহতদের অধিকাংশ পথচারি এবং অসতর্কভাবে রেলপথ পার হতে গিয়ে তাঁরা দুর্ঘটনার শিকার হন বলে পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়।
কমিটির পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সড়ক পরিবহন খাতে বিরাজমান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর নজরদারির অভাবই দুর্ঘটনা বৃদ্ধির প্রধান কারণ। এই খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। সেগুলো হলো- চাঁদাবাজি বন্ধ, শ্রমিক-কর্মচারিদের নিয়োগপত্র ও সাপ্তাহিক ছুটি প্রদান, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও দৈনিক কর্মঘন্টা নির্ধারণ, ত্রæটিপূর্ণ গাড়ি চলাচল ও জাল লাইসেন্সধারী চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, চালক ও সহকারিদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদান, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক চিহ্নিতকরণ ও বেহাল সড়ক সংস্কার এবং বিদ্যমান মোটরযান চলাচল আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ। এছাড়া পর্যবেক্ষণে নৌ-নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নৌ পরিবহন অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডবিøউটিএ) এবং রেলক্রসিংগুলোতে দুর্ঘটনা রোধে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করা হয়।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, সড়ক, নৌ ও রেলপথে দুর্ঘটনার জন্য প্রধানত চারটি সংস্থাই বেশি দায়ী। সেগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), নৌ পরিবহন অধিদপ্তর, বিআইডবিøউটিএ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।