পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতি
এহসান আব্দুল্লাহ : অবশেষে উন্মুক্ত হলো বাঙালীর প্রাণের উৎসব অমর একুশে বইমেলা ২০১৮। গতকাল ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের টিএসসি ও দোয়েল চত্বর জুড়ে ছিল উৎসুক বইপ্রেমীদের ভীড়। প্রধানমন্ত্রী মেলা প্রাঙ্গনে থাকাকালীন সর্বসাধারণের মেলায় প্রবেশের সুযোগ ছিলনা বলে তাদের অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘক্ষণ তবে এতটা সময় অপেক্ষায় থাকা সত্তে¡ও তাদের চেহারায় কোন বিরক্তি বা হতাশার ছাপ নেই বরং প্রবল উৎকন্ঠা ও আবেগই দেখা গেছে। এমন চেহারাই বুঝিয়ে দেয় বইমেলা বাঙালীর প্রাণের কতটা জুড়ে অবস্থান করে। প্রধানমন্ত্রীর মেলা প্রাঙ্গন ত্যাগ করার পরপরই মেলা প্রাঙ্গন উন্মুক্ত করে দেয়া হলে উৎসুক বইপ্রেমীরা একে একে প্রবেশ করতে থাকে মেলা প্রাঙ্গনে।
তবে যতটা আগ্রহ ও উৎসাহ নিয়ে মেলা প্রাঙ্গনে প্রবেশ করেছেন তারা ততটাই হতাশ হয়েছেন প্রবেশের পর। এর পিছনে তারা কারন হিসেবে দেখিয়েছেন বাংলা একাডেমির নানা অব্যবস্থাপনা ও স্টল এর নির্মান সম্পন্ন না হওয়াকে। জানুয়ারি মাস থেকেই অমর একুশে বইমেলার প্রস্তুতি শুরু হলেও মেলা শুরুর প্রথম দিনেও অনেক স্টলই তাদের নির্মাণ ও যাত্রা শুরু করতে পারেনি। মেলা ঘুরে দেখা যায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গন ও সোহরোওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গনে এখনো অধিকাংশ কাজই অপূর্ণাঙ্গ রয়ে গেছে। অনেক স্টল এখনো তাদের নির্মান কাজ শেষ করতে পারেনি। সেইসাথে অনেক স্টল নির্মাণ সম্পন্ন করলেও তাদের সাজসজ্জা প্রস্তুত করতে পারেনি। অপরদিকে অনেক স্টল সাজসজ্জা সম্পূর্ণ করলেও বই নিয়ে যাত্রা করতে পারেনি মেলার প্রথম দিনে, সেই স্টলগুলোর অনেকগুলো খালি পড়ে থাকতে দেখা যায় আবার অনেকগুলো পর্দা দিয়ে ঘেড়া থাকতে দেখা যায়। মেলার সোহরোওয়ার্দী উদ্যান অংশে দর্শনার্থীরা যাতে মেলা থেকেই স্বাধীনতা স্তম্ভ দেখতে পারে সেজন্য সেদিকে ফাইবার গøাসের দেয়াল নির্মাণ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও গতকাল মেলা শুরুর পরও সেটির নির্মাণ অব্যাহত থাকতে দেখা যায়।
তবে মেলা শুরুর আগে নিরাপত্তা নিয়ে অনেক কথা বলা হলেও প্রথম দিনে নিরাপত্তার ছিটেফোটাও দেখা যায়নি মেলা প্রাঙ্গনে। প্রধানমন্ত্রী মেলা প্রাঙ্গন ত্যাগ করার পর মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হলে দেখা যায় মেলার বাংলা একাডেমি অংশ ও সোহরোওয়ার্দী উদ্যান অংশে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে কোন আর্চওয়ে বা তল্লাশীর ব্যবস্থা নেই। মেলা শুরুর প্রথমদিকে ছিলনা প্রবেশ ও বাহিরের জন্য আলাদা কোন গেট। পরবর্তীতে সন্ধ্যার পর প্রবেশ ও বাহিরের পথ আলাদা করা হয়, এমনটাই জানিয়েছেন মেলার পরিচালক ড. জালাল আহমেদ। মেলার স্টল নির্মান অসম্পূর্ণ ও নিরাপত্তার ব্যপারে জানতে চাইলে মেলার পরিচালক ড. জালাল আহমেদ বলেন, অনেক স্টল নয় সর্বোচ্চ ১০টি স্টল তাদের নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি। আমরা তাদের দ্রুতই নির্মাণ কাজ শেষ করতে বলেছি। আর আর্চওয়ের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রথম দিকে ছিলনা তবে এখন বসানো হয়েছে। কিন্তু মেলা থেকে প্রতিবেদকের সূত্র জানায় সন্ধ্যার পরও কোন আর্চওয়ে দেখা যায়নি মেলার প্রবেশ পথে। মেলার প্রথমদিনে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়ও দেখা যায়নি। অনেক গুলো স্টল খালি থাকায় প্রথমদিনে আগত দর্শনার্থীরা হতাশা নিয়েই ফিরেছেন।
এমনটাই জানাচ্ছিলেন মিরপুর থেকে আগত কামরুজ্জাহান শিরিন। তিনি বলেন, প্রথমদিনে মেলায় অনেক আগ্রহ নিয়ে এসেছিলাম তবে এসে হতাশই হতে হলো এখনো অনেক স্টলই খোলেনি। তারপর স্টলগুলোতে আজ কোন নতুন বইও আসেনি। ফলে তেমন একটা ভালো লাগেনি। এসময় তিনি নিরাপত্তার ব্যপারে বলেন যে, মেলায় প্রবেশের সময় কোন প্রকার তল্লাশী করা হয়নি। এবং কোন আর্চওয়েও চোখে পড়েনি এমন হলে যে কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বাংলা একাডেমি প্রথম দিনেই এদিকে অব্যবস্থাপনার নজির গড়েছে। মেলা ঘুরে কয়েকটি স্টলের কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আজ মেলার প্রথম দিন থাকায় তেমন দর্শনার্থী নেই। তবে আগামীকাল (আজ) শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় দর্শনার্থী আগমন আশানুরুপ হতে পারে। আজ শুক্রবার মেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। আর সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মেলার সোহরোওয়ার্দী উদ্যান অংশের শিশু কর্ণারে চলবে শিশুপ্রহর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।