ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
বিভিন্নমুখী শিক্ষার সমন্বয় করণ: বর্তমানে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা সমাজের শ্রেণিভেদকে শুধু মেনেই নেয়নি বরং তাকে ক্রমাগত বৃদ্ধি করে চলেছে। এ অর্থে এটি আমাদের শিক্ষার ক্ষেত্রে সাম্যতা প্রতিষ্ঠার জন্য সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বাংলাদেশে এখন তিন ধারার শিক্ষা পদ্ধতি বিদ্যমান। প্রথম ধারাটি বাংলা মাধ্যমে শিক্ষা দিচ্ছে। মূলত সরকারি বেসরকারি খাতে নিম্ন বেতন বা মাঝারি বেতনের বিনিময়ে মূলধারার পাঠক্রম অনুসারে প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত এ শিক্ষা কার্যক্রম বিস্তৃত। এটা মূলত দেশের মধ্যস্তরের জনগণকে শিক্ষিত করে তুলছে। দ্বিতীয় ধারাটি মোটামুটি উচ্চবিত্তদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এরা ইংরেজি মাধ্যমে উচ্চ বেতনের ভিত্তিতে দেশি-বিদেশি ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বিচিত্র ও ভিন্ন-ভিন্ন পাঠক্রমের মাধ্যমে শিক্ষা অর্জন করছেন। এরা অনেক ক্ষেত্রেই বেশী বিদেশমুখী এবং বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রতি উল্লেখযোগ্যভাবে আকৃষ্ট। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার তৃতীয় শিক্ষা ধারাটি হলো ধর্মীয় শিক্ষা। এটি আবার দু’টি উপধারায় বিভক্ত। আলিয়া ও কওমী মাদ্রাসা। এসব মাদ্রাসায় এখন পর্যন্ত গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারের সন্তান-সন্ততিই বেশি। এ কথা সহজেই অনুমেয় যে, এই তিন ধারার শিক্ষার মধ্যে একটা সমন্বয় হওয়া দরকার।
মাতৃভাষার উপযোগিতা: মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদান যে জরুরিভাবে আবশ্যক, এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই। মাতৃভাষাকে আশ্রয় করেই প্রকৃতপক্ষে দেশের চিৎশক্তি, বুদ্ধিবৃত্তি, সৃষ্টি শক্তি ও কল্পনা শক্তির যথার্থ বিকাশ সম্ভব। বর্তমান শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত সর্বত্রই বাংলা ভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা চালু হয়েছে। উচ্চতর শিক্ষা উপযোগী পুস্তকাদি বাংলা ভাষায় রচনা ও অনুবাদের জন্যে পরিভাষাও রচিত হয়েছে। জীবন ও শিক্ষার মধ্যে সমন্বয় সাধনের লক্ষে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের গুরুত্ব অপরিসীম। শিক্ষার সর্বশ্রেষ্ঠ উদ্দেশ্য ও সর্বগ্রাহী দান হচ্ছে ব্যক্তিসত্তার পূর্ণতা সাধন। তাই গুণগত শিক্ষা সম্প্রসারণে মাতৃভাষার কোন বিকল্প নেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়, ‘কোনো শিক্ষাকে স্থায়ী করিতে হইলে, গভীর করিতে হইলে, ব্যাপক করিতে হইলে তাহাকে চির পরিচিত মাতৃভাষায় বিগলিত করিয়া দিতে হইবে।’
শুদ্ধ বানান এবং উচ্চারণ: উদ্বেগজনক হলেও সত্য, বাংলা ভাষার শুদ্ধ বানান এবং মার্জিত উচ্চারণ আজ লক্ষণীয়ভাবে ব্যাধিগ্রস্থ। চারিদিকে শ্রুতিকটু উচ্চারণ আর দৃষ্টিকটু বানানের ছড়াছড়ি। ব্যবহারিক জীবনে, কাগজপত্রে এবং ভাব প্রকাশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে শুদ্ধ বাংলা লেখা ও বলায় আমরা এখনো মনোযোগি হতে পারিনি। সভা-সেমিনারে, অনুষ্ঠানের সংলাপে এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় শুদ্ধ ধারার বাংলা বলন-লিখন এখনো পুরোপুরি আয়ত্তে¡ আসেনি। এ অপ্রত্যাশিত বিচ্যুতি দূরীকরণে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই নিতে হবে অগ্রণী ভ‚মিকা। শিক্ষানবীশ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষা, অনুশীলন এবং তিরস্কার-পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে নির্ভুল ও অবিমিশ্র ভাষায় লিখতে এবং উচ্চারণ আত্মস্থকরণে নিরলসভাবে উদ্বুদ্ধকরণ তাই অত্যাবশ্যকভাবে জরুরি।
নৈতিক ও আদর্শিক শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক পুনঃপ্রবর্তন: আজ আমরা সবাই সার্টিফিকেট-সর্বস্ব শিক্ষায় সন্তুষ্ট। উচ্চ ডিগ্রি লাভকেই মেনে নিয়েছি আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন হিসেবে। লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, আজকে ছাত্রসমাজ নৈতিক ও আদর্শিক শিক্ষা থেকে বহু দূরে। এর প্রধান কারণ হিসেবে চলে আসে শিক্ষালয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের মাঝে নৈতিক ও আদর্শিক শিক্ষা প্রণয়নে সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার অভাব। আজ দিকভ্রান্ত ছাত্রসমাজ শিক্ষকদের শ্রদ্ধা করতে জানে না। তাদের উদ্ধত, অবিনত ব্যবহারে শিক্ষক সম্প্রদায় বিরক্ত। তাদের রুঢ় অমার্জিত আচরণে সহবন্ধুরা ক্ষুব্ধ ও বেদনাহত। এ কারণে সমাজে আজ এত হিংসা, বিদ্বেষ ও কুটিলতার ছড়াছড়ি। এহেন অশুভ অস্থিরতায় জর্জরিত ও পর্যদুস্ত এ সমাজ ব্যবস্থাকে পরিশুদ্ধ করতে আজ সময় এসেছে সুনীতিবোধসম্পন্ন শিক্ষক সমাজকে এগিয়ে আসার। ধৈর্য্য, সাহস, আনুগত্য, সততা, সৌজন্য, নির্ভরযোগ্যতা, কৃতজ্ঞতাবোধ তাদের মধ্যে পুনর্জাগরণ ঘটিয়ে তাদেরকে সহজ-সাবলিল অমায়িকতা ও পরহিতব্রতসম্পন্ন প্রকৃত মানুষে রূপান্তরিত করা আজ যুগের দাবি।
ধর্মান্ধতা: আজ ছাত্র সমাজ সহজেই সামাজিক অবক্ষয়ের শিকার হচ্ছে। ধর্মের প্রকৃত নৈতিক ও আদর্শিক শিক্ষার অভাবে তারা সহজেই নীতিভ্রষ্ট কাজে আকৃষ্ট হচ্ছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কালো থাবায় আজ ছাত্রসমাজের কিয়দংশ হায়েনার গুপ্ত আক্রমনের সীমানা-বলয়ে অজ্ঞানতা ও অসাবধানবশতঃ প্রবেশ করছে। ধর্মের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে তাদের সরল মনে বিভ্রাট ঘটিয়ে তথাকথিত জিহাদি কর্মে নিযুক্ত করছে। যার কুফলস্বরূপ অসময়ে ও অপ্রাপ্ত বয়সে তাদের জীবন প্রদীপ নিভে যাচ্ছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে তাই এমন এক সৃষ্টিধর্মী ক্ষেত্র গড়ে তুলতে হবে, যেন সকল শিক্ষার্থী জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে অজ্ঞতার অন্ধকারকে ছুঁড়ে ফেলে একজন মুক্তমনা জ্ঞান-বিদগ্ধ সত্যিকার মানুষে পরিণত হতে পারে।
দেশাত্ববোধ জাগ্রতকরণ: মা, মাটি ও মাতৃভাষার মধ্যে যেমন গড়ে ওঠে শেকড়ের অটুট বন্ধন তেমনি এ শক্ত বাঁধন থেকে জাগ্রত হয় দেশাত্ববোধ। গর্ভধারিণী জননীকে সন্তান যেমন ভালবাসে তার জন্মলগ্ন থেকেই, তেমনি দেশমাতৃকাকেও প্রকৃত সন্তান শ্রদ্ধা করে হৃদয় দিয়ে তার জ্ঞানের প্রথম অনুভব থেকে। অত্যন্ত পরিতাপের সাথে বলতে হয়, আজ আমাদের ছাত্র সমাজের বেশিরভাগই প্রকৃত দেশপ্রেম সম্বন্ধে বেখবর। তারা সত্যিকারভাবে জানেনা নিজ দেশের ভাষা-সাহিত্য, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সমাজ-সংস্কৃতি। আকাশ সংস্কৃতির বিষাক্ত ছোবলে আজ দেশীয় সংস্কৃতি দিশেহারা। বিশ্বায়নের তোড়ে, স্যাটেলাইট ও ইন্টারনেটের অবাধ বিস্তারে এবং মুক্ত আকাশ সংস্কৃতির সহজলভ্য নগ্নপ্রতাপে আমাদের স্ব-দেশীয় জীবনবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে। পশ্চিমা সমাজের বাউন্ডেলে জীবনাচরণ অনুসরণের ফলে আমাদের চিরায়ত সংস্কৃতির অবমাননা ও অবক্ষয় সাধিত হচ্ছে। বয়োজ্যেষ্ঠের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মানবোধ প্রদর্শন হয়েছে বিলীন। ফলে সামাজিক অবক্ষয় চরম উৎকণ্ঠার সৃষ্টি করেছে। বিদেশী সংস্কৃতির অনুসরণে অর্ধনগ্নতা, বেহায়াপনা, উন্মাদনা, নেশা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অশুভ অপপ্রয়াস আশংকাজনকভাবে বেড়ে গেছে। তাই এ মুহূর্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আদর্শিক শিক্ষার পুনর্জাগরণের মধ্য দিয়ে দিকভ্রষ্ট তরুণ ছাত্র-সমাজকে সঠিক দেশপ্রেমে জাগ্রত করা সঙ্গত কারণেই জরুরি।
প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা: গুণগত শিক্ষা বিস্তারে বিজ্ঞান চর্চার কোন বিকল্প নেই। বিজ্ঞান শিক্ষা ছাড়া আধুনিক সভ্যতা অচল। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ব্যাপক ও দূরাভিসারী প্রভাব বিদ্যমান। ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ জীবনের প্রায় সবক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত জ্ঞানের প্রয়োগ তাই অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এজন্যে বিজ্ঞানী হলডেন বলেছেন, ডব হববফ ংপরবহপব সড়ৎব ঃযধহ বাবৎ নবভড়ৎব. অর্থাৎ পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে আমাদের আরো বেশি বিজ্ঞান ব্যবহার করার প্রয়োজন রয়েছে। বিজ্ঞান মনস্কতা এক বিশেষ মানস প্রক্রিয়া। তাই গুণগত শিক্ষা বিকাশে এ মুহূর্তে প্রয়োজন সারা দেশ-ব্যাপী সচেতনতার আন্দোলন গড়ে তোলা। বিশ্বপরিসরে সর্বত্র জীবন-ঘনিষ্ঠ বিজ্ঞান শিক্ষা ও বিজ্ঞান চর্চার গুরুত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন এবং গভীরভাবে এর প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। আর তাই তাঁর স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মানসে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞান শিক্ষার অনুসন্ধিৎসু মনোবৃত্তি জাগরিত করতে হবে।
কর্মমুখী শিক্ষা: আধুনিক বিশ্বে বেঁচে থাকার নানা কলাকৌশল আবিষ্কৃত হয়েছে। অথচ ব্যবসা-বাণিজ্য, সভ্যতা-সংস্কৃতিতে এবং জীবন যাত্রায় আমরা ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছি। এখনো ব্রিটিশদের কেরানী বানানোর শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের দেশে প্রচলিত। গতানুগাতিক গ্রন্থগত শিক্ষা ব্যবস্থা তথাকথিত ডিগ্রিধারী শিক্ষিত ব্যক্তি তৈরি করছে বটে; কিন্তু তা কর্মভিত্তিক ও প্রয়োগসমৃদ্ধ না হওয়াতে ফলপ্রসু হয়ে উঠছে না। ফলে দেশে আজও কর্মমুখী শিক্ষাপ্রাপ্ত সুদক্ষ কর্মজীবী প্রস্তুতকরণের বিষয়টি কার্যকরিতায় আশাব্যঞ্জক হয়ে উঠেনি। ফলে, বাড়ছে বেকারের সংখ্যা। এ অবস্থার পরিবর্তন আনতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিপুল প্রসার ঘটিয়ে তার সফল বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে।
একটি স্বাধীন জাতির স্বকীয় উন্নতির উৎকর্ষতা সাধনের অনিবার্য পথ হল শিক্ষা। উত্তম শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন অনুক‚ল পরিবেশ। আর এ পরিবেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের। আদর্শভিত্তিক ও গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা শিক্ষার্থীদের মৌলিক শিক্ষা প্রদানে নীতিবোধ, সদাচারণ, দেশপ্রেম, সংস্কৃতিবোধ ও পরিমিতিবোধ যথাসময়ে প্রবিষ্ট করে তাদের মাঝে আদর্শিক ও মানবিক গুণাবলীর সঞ্চার করতে পারলেই গুণগত শিক্ষা প্রণয়ন অনেকাংশেই সার্থকভাবে সম্ভবপর হবে। এহেন অর্থবহ ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের পূর্ণদায়ভার সমাজসেবী হতে শিক্ষক-সমাজ তথা সকল শিক্ষা প্রণেতাদের কাঁধে অর্পিত। শিক্ষার্থীদের মাঝে এমন এক অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যেখানে বহুমুখী পাঠাভ্যাস, বুদ্ধিবৃত্তিক অনুশীলন, সৃজনশীল চর্চা ও নান্দনিক সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তারা শিষ্টাচার, সময়ানুবর্তিতা, শৃংখলাবোধ সম্পন্ন পরিহিতব্রত মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন সুশিক্ষিত মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে। এ প্রসঙ্গে শেখ সাদী বলেছেন, ‘বিকাশের ক্ষেত্র না পেলে প্রতিভা ও শক্তি ক্রমশ ম্লান হয়ে বিনষ্ট হয়; আগুনের স্পর্শ না পেলে ধুপ কিভাবে পুড়ে গন্ধ দান করবে।’ উন্নত শিক্ষার নামে প্রচলিত পশ্চিমা শিক্ষা ধারাকে অনুসরণ ও অনুকরণ করে গড্ডালিকা প্রবাহে মত্ত হলে শুধু শিক্ষার মান দিনে দিনে শ্রীহীন ও অধোমুখী হবে। ই-শাসন ব্যবস্থাপনায় সকল পক্ষের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে একটি স্থায়ী শিক্ষা কমিশনের আয়ত্বাধীনে ও তত্ত্বাবধানে প্রণীত পরিপূর্ণ শিক্ষা নীতিকে বাস্তবে রূপদান করে শক্তিশালী পর্যবেক্ষণ নিশ্চিতকরতঃ তাকে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আনা সত্যিকার অর্থে সম্ভবপর হবে। এভাবেই একটি আদর্শভিত্তিক-গুণগত মানসর্বস্ব শিক্ষা ব্যবস্থাপনার ফলপ্রসূ প্রয়োগ ঘটিয়ে একটি সুশৃংখল সমাজ,সুশিক্ষিত জাতি এবং সুনামধন্য ও সু-সমৃদ্ধ দেশ গড়ে উঠবে।
লেখক: অধ্যক্ষ, শিপইয়ার্ড স্কুল এন্ড কলেজ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, খুলনা
(সমাপ্ত)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।