পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সাম্প্রতিক সময়ে রাজনীতির মাঠে জামায়াতে ইসলামীর নিষ্ক্রিয়তা নানা রকম সন্দেহ-সংশয় তৈরি করেছে। আর ঢাকাসহ ছয় সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের বাইরে গিয়ে একক প্রার্থী ঘোষণা সেই সন্দেহের পালে হাওয়া লাগিয়েছে দলটি। জিততে পারবেনা জেনেও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকেই সুবিধা করে দিতে জামায়াতের এই নীতি বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি ও জোটের শরীক দলের অনেকেই। কেউ কেউ মনে করেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার তাদেরকে নানাভাবে টোপ দিচ্ছে ২০ দলীয় জোট থেকে দূরে সরে আসার জন্য। সেই ফাঁদে যদি তারা পা দেয় তাহলে সেটা তাদের জন্য আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত হবে। রাজনৈতিক অঙ্গনের সেই সন্দেহ-সংশয়ের কথা এবার ২০ দলীয় জোটের বৈঠকেও আলোচিত হয়েছে। জামায়াতের বিতর্কিত অবস্থানের জন্য জোটের শীর্ষ নেতারা সরাসরিই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে অভিযোগ করেছেন। গত রোববার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে শরীক দলের অনেকেই জামায়াতকে নিয়ে সন্দেহ-সংশয় ও রাজনীতির মাঠে নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেন। এসময় সেখানে উপস্থিত জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আবদুল হালিম খালেদা জিয়ার কাছে মাঠের আন্দোলনে সক্রিয় হওয়ার কথা দিয়েছেন।
জোটের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন নেতা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াতের একলা চলো নীতি ও নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে বৈঠকে বেশ কয়েকজন প্রশ্ন তুলেন। তবে বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া এ বিষয়ে কোন কথা বলেননি। তার আগেই বৈঠকে উপস্থিত জামায়াতের প্রতিনিধি বলেন, বেগম জিয়ার মামলা ইস্যুতে তারা আগের মতোই আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা রাখবে। বিগত দিনগুলোতে বিএনপির সাথে জামায়াত যেমন আন্দোলনে সক্রিয় ছিল এবারও থাকবে। জোট যে আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করবে তার সাথে তারা একাত্ম হয়েই রাজপথে থাকবে এবং বাস্তবায়ন করবে। সরকারের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠছে কিনা এমন প্রশ্নের বিষয়ে জামায়াত নেতা আবদুল হালিম বলেন, অনেকেই জোটে ভাঙন ধরানোর জন্য জামায়াতের বিরুদ্ধে এসব তথ্য প্রচার করছে। জামায়াত ২০ দলীয় জোটের সাথে আছে এবং থাকবে। এসময় জোটের একজন প্রভাবশালী নেতা বলেন, জামায়াত ২০ দলীয় জোটের সাথে আছে কিনা সেটি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায়ের সময়ে বোঝা যাবে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে তারিখ ঘোষণা করেছে আদালত। এই মামলার অন্যতম আসামী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সরকার আদালতকে ব্যবহার করে বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে আগামী নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় সাজা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। অন্যায় কোন রায় হলে মাঠে প্রতিক্রিয়া দেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি ও জোটের নেতারা।
রোববার রাত ৯টা ১০ মিনিটে গুলশানে জোটের বৈঠক শুরু হয়ে চলে ১১টা পর্যন্ত। এসময় জোট প্রধান খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য আবদুল হালিম, জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান, খেলাফত মজলিশের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাডভোকেট এমএ রকীব, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) রেদোয়ান আহমেদ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) খন্দকার গোলাম মূর্তজা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, জমিয়তে উলামা ইসলামের মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাইফুদ্দিন মনি, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।