Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চারদিন বাড়ল মেলার সময়

বাণিজ্যমেলায় ৮ বছরে রফতানি আদেশ বেড়েছে ১১ গুণ

| প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা (ডিআইটিএফ) থেকে গত আট বছরে রফতানির তাৎক্ষণিক আদেশ বেড়েছে ১১ গুণ। এবার রফতানি আদেশ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। কেননা এবার মেলায় বিদেশি ক্রেতারা আগের তুলনায় বেশি এসেছে। এ ছাড়া রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোও মেলায় ব্যাপক হারে অংশ নিয়েছে। মেলার শেষদিন রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করে মেলা কর্তৃপক্ষ তা সমন্বয় করে প্রকাশ করে। এবারও তাই করা হবে। এদিকে ব্যবসায়ীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার সময় চারদিন বাড়ানো হয়েছে। মেলার আয়োজক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য জানিয়েছে। মেলা চলবে আগামী ৪ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত। গত ১ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ মেলা আগামী ৩১ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা ছিল।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) দেওয়া তথ্যমতে, ১৯৯৫ সাল থেকে বাণিজ্যমেলার আয়োজন শুরু হয়। শুরুতে এর নাম ছিল আন্তর্জাতিক রফতানি মেলা। অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগই তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারত না, তবে শুধু প্রদর্শন করতে পারত ও রফতানির আদেশ নিতে পারত। কিন্তু এই মেলায় রফতানির আদেশের চেয়ে স্থানীয় বিক্রি বেশি হতো। যে কারণে রফতানিরমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো পরে তাদের পণ্য মেলায় বিক্রির অনুমতি চায়। এর পর থেকে মেলার নাম বদলে হয় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। এই মেলায় যেমন রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো রফতানির আদেশ নেয়, তেমনি স্থানীয়ভাবে পণ্য বিক্রিও করে। শতভাগ রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মেলায় পণ্য বিক্রির জন্য এক মাসের সুযোগ দেওয়া হয়।
ইপিবির সূত্র জানায়, মেলা থেকে ২০১০ সালে ২২ কোটি ৮৬ লাখ, ২০১১ সালে ২৫ কোটি, ২০১২ সালে ৪৩ কোটি ১৮ লাখ, ২০১৩ সালে ১৫৭ কোটি, ২০১৪ সালে ৮০ কোটি, ২০১৫ সালে ৮৫ কোটি, ২০১৬ সালে ২৩৫ কোটি ১৭ লাখ টাকার রফতানি আদেশ পাওয়া যায়। ২০১৭ সালের বাণিজ্যমেলা থেকে রফতানির আদেশ পাওয়া যায় ২৪৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার।
মেলায় যেসব রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান অংশ নেয় তাদের কাছে এসে বিদেশি ক্রেতারা পণ্য বিক্রির আদেশ দেয়, যা স্পট অর্ডার নামে পরিচিত। এখান থেকে পাওয়া অর্ডার পরে প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি করে সরবরাহ করে।
মেলা থেকে যেসব স্পট অর্ডার পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে দেশি টেক্সটাইলের কাপড়, তৈরি পোশাক, পাটজাত পণ্য, সিরামিক, ফার্নিচার, মেলামাইন, প্রসাধনী, জুতা, যন্ত্রপাতি, হস্তজাত পণ্য, তাঁতের পণ্য, জামদানি, নকশিকাঁথা এসব পণ্য উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে পোশাকসহ নানা পণ্য যাচ্ছে নেপাল ও ভুটানে। অন্যান্য পণ্য বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। এদিকে বাণিজ্য মেলায় অন্যান্য ব্যাংকের মতো ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। গতকাল রোববার সকালে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আরাস্তু খান মেলায় ইসলামী ব্যাংকের স্টল পরিদর্শন করেন। তিনি এ সময় গ্রাহকদের সাথে ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে কথা বলেন। এ সময় তাঁর সাথে ব্যাংকের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ