Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দাবি পূরণ না হলে ১ ফেব্রুয়ারী থেকে আমরণ অনশন

সিএইচসিপিদের অবস্থান কর্মসূচি

| প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি)। একই সঙ্গে আগামী ৩১ শে জানুয়ারীর মধ্যে তাদের দাবি পূরণ না হলে ১ ফেব্রুয়ারী থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচী পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিএইচসিপিরা।
সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বানে গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকালে সবুজ রঙের এপ্রোন পড়ে প্রায় কয়েক হাজার সিএইচসিপি রাজপথে অবস্থান নেয়। সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকার কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপিরা জড়ো হতে থাকেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে।
অ্যাসোসিয়েশনের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দফতরে ১৪ হাজার সিএইচসিপি’র চাকরি জাতীয়করণের জন্য ধরনা দিয়ে আসছি। কিন্তু সেসব আবেদনে কাজ না হওয়ায় আজ আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
জানা যায়, চাকরি রাজস্ব খাতে নেয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে সিএইচসিপিরা আন্দোলন করে আসছে। কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় তাদের মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা আর ক্ষোভ। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত ১৮ জানুয়ারী কেন্দ্রীয় কমিটির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচি অনুযায়ী, ২০ জানুয়ারি থেকে উজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর পর তিন দিন অবস্থান কর্মসূচি এবং ২৩ জানুয়ারী থেকে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এর মধ্যে সরকার থেকে কোন ধরণের আশ্বাস না পেলে ২৭ জানুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করার কথা সিএইসিপিদের।
সিএইচসিপি এ্যাসোশিয়েশনের সহ-সভাপতি এবং দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সুমন মাতব্বর বলেন, অনেকের অনেক আশ্বাস পেয়েছি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এখন প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কারও আশ্বাসের উপর আমরা আস্থা রাখতে পারছি না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূুচি চলবে।
উল্লেখ্য, দেশের গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় মানসম্মত প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এ কার্যক্রম ১৯৯৬ সালে গৃহীত হয় যার বাস্তবায়ন শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। ১৯৯৮-২০০১ এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ পূর্বক অধিকাংশই (প্রায় আট হাজার) চালু করা হয়। কিন্তু ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর এ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং এ অবস্থা ২০০৮ পর্যন্ত চলামান থাকে। ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ৬ বছর প্রকল্প মেয়াদ বৃদ্ধিসহ মেয়াদের আরসি এইচসিবি শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম পুনঃরুজ্জীবিতকরণ কার্যক্রম শুরু হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ