Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চি ঠি প ত্র

| প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইটভাটা আইনের অস্পষ্টতা ও প্রয়োগ বাস্তবতা

ইটভাটা আইনে ¯পষ্ট করে বলা আছে, ‘আধুনিক প্রযুক্তির ইটভাটা’ অর্থ এমন কোন ইটভাটা যা জ্বালানি সাশ্রয়ী যেমন হাইব্রিড হফম্যান কিলন (ঐুনৎরফ ঐড়ভভসধহ করষহ), জিগজ্যাক কিলন (তরমুধম করষহ), ভার্টিক্যাল স্যাফট ব্রিক কিলন (ঠবৎঃরপধষঝযধভঃ ইৎরপশ করষহ) বা টানেল কিলন (ঞঁহহবষ করষহ) বা অনুরূপ কোন ভাটা স্থাপন। কিন্তু বড় ধরনের প্রশ্ন থেকে যায়, এই পদ্ধতির ইটভাটা তৈরি করতে অনেক খরচের প্রয়োজন হয়, এই অর্থায়ন করবে কারা? ইটভাটা কর্তৃপক্ষ এত টাকা লগ্নি করে ইটভাটা না চালিয়ে তখন তারা দুর্নীতির আশ্রয় নেয়। এতে করে একদিকে দুর্নীতি বাড়ছে, ইটভাটাও বাড়ছে অবৈধভাবে এবং কিছু টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কেউ কেউ। এ বিষয়ে এক্ষুণি একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রয়োজন। ইটভাটাগুলোকে নিয়মের মধ্যে আনতেই হবে আমাদের পরিবেশ বাঁচানোর জন্য।
এজন্য এরকম হতে পারে যে, সরকার একটি পদ্ধতি নির্ধারণ করে প্রতিটি ইটভাটাকে নির্দিষ্ট ঋণদানের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব করে গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগ নেবে। তাছাড়া যদি এমন করা যায়, যারা ইটের বড় বড় ক্রেতা তারা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জামানত হিসেবে দিয়ে ইট ক্রয়ের চুক্তি করে তারপর ইট নেওয়া শুরু করলো এবং ইটভাটাগুলো সে টাকা থেকে তাদের প্রসেসের উন্নয়ন ঘটালো। এতে করে যারা ক্রেতা তারাও সঠিক ইট বাছাই করে কিনতে পারবে এবং ইটভাটাগুলোও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করতে পারবে।
সাধারণ মানের ইট উৎপাদন বন্ধে বড় বড় ইমারতের ইটগুলো পরীক্ষা করে সেগুলো যদি মান উন্নয়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয় তবে জরিমানার বিধান করা যেতে পারে। এতে করে মানহীন ইট উৎপাদন কমে যেতে পারে অনেকাংশে। সরকারি কাজেও ইটের ব্যবহার কম নয়। দেখা যাচ্ছে, রাস্তা তৈরিতেও অনেক ইট প্রয়োজন হয়। এই ইটগুলো কি সরকার পরিবেশ বান্ধব ইটভাটা থেকে সংগ্রহ করতে পারছে সবসময়? এখানেই সমস্যা। অনিবন্ধিত ইটভাটা থেকেও ইট কিনতে হচ্ছে কখনও কখনও এবং এতে করে শর্ত উপেক্ষিত হয়ে যাচ্ছে বরাবরই।
ইটভাটাও প্রয়োজন, তার সাথে প্রয়োজন পরিবেশ বাঁচানো। সুতরাং সঠিক নিয়মের চর্চা এখানে বাড়াতে হবেই। যে প্রক্রিয়ায় অল্প খরচে পরিবেশসম্মত ইট তৈরি করা যায় সেরকম পরিকল্পনা নিয়ে ইটভাটাগুলো স্থাপনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আশা করি, পরিবেশ অধিদপ্তর এ ব্যাপারে তার ভূমিকা আরো জোরদার করবে।
সাঈদ চৌধুরী
সদস্য, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি
শ্রীপুর, গাজীপুর



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন