Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছাত্রলীগের প্রতি আওয়ামী লীগ নেতাদের সতর্কবার্তা

| প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বিতর্কিত কর্মকাÐের দায় সরকার ও দল গ্রহণ করবে না
স্টাফ রিপোর্টার : ছাত্রলীগের বিতর্কিত কোনো কর্মকাÐে সরকারের অর্জন যেন মøান না হয় সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে এবং যে কোনো মূল্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে ছাত্রলীগকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা দীর্ঘ বৈঠক করেন। এ বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকার বিভিন্ন শাখার এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরকে নির্বাচনী বছর হিসেবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বিতর্কিত কর্মকাÐ থেকে বিরত থাকতে ছাত্রলীগের প্রতি কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। নেতারা বলেন, ছাত্রলীগের কোনো খারাপ কর্মকাÐের দায় সরকার ও আওয়ামী লীগ বহন করবে না। ফলে যারাই বিতর্কিত কর্মকাÐে জড়াবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ভিসির কার্যালয় ভাঙচুর এবং ভিসিকে উদ্ধার করতে গিয়ে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার ঘটনার দুইদিন পরে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক এ কেএম এনামুল হক শামীম উপস্থিত ছিলেন। দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে এ বৈঠক করেন তারা।
বৈঠকে ঢাকার সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার ফলে সৃষ্ট পক্ষ-বিপক্ষের আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কার্যালয় ভাঙচুর এবং তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে ছাত্রনেতাদের বক্তব্য শোনেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক সাংবাদিকদের বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে। ২৩ তারিখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ঘটনাটি পরিকল্পিত।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত কলেজ অধিভুক্ত হওয়ার বিষয়ে কলেজগুলোর শাখা ছাত্রলীগ নেতাদের মনোভাব শোনেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের বক্তব্যও শোনেন তারা। বৈঠক থেকে ছাত্রলীগকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়া হয়। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ভূমিকা কী হতে পারে, তারও একটি নির্দেশনা দেয়া হয়। সূত্র জানায়, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ঢাবির পরিস্থিতি ছাড়াও ছাত্রলীগের আসন্ন সম্মেলন নিয়ে কথা বলেন সংগঠনের সিনিয়র নেতারা।
গত মঙ্গলবার ছাত্রী নিপীড়নে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের বহিষ্কারের দাবিসহ চার দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের ফটক ভেঙে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মো. আখতারুজ্জামানকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে ভিসিকে ‘উদ্ধার’ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় অন্তত ৫০ জন আহত হন। রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ১৫ জানুয়ারি ভিসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। সেখানে ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে আন্দোলন নস্যাৎ করে দেয়। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ১৭ জানুয়ারি প্রক্টর কার্যালয়ের ফটক ভেঙে প্রক্টরকে অবরুদ্ধ করে। পরদিন অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকে টানা আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাদের অভিযোগ, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তথাকথিত আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্যই এই আন্দোলন করছে কতিপয় সংগঠন। আসলে তারা নির্বাচনী পরিবেশ ঘোলা এবং নির্বাচনের আগ মুহূর্তে শিক্ষার পরিবেশকে নষ্ট করতে চায়। তারা বলেন, ছাত্রলীগকে নিয়ে গণমাধ্যমও অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। ছাত্রলীগ কোন হামলার সঙ্গে জড়িত হয়নি বরং ভিসিকে উদ্ধার করতে গিয়ে তাদের আক্রমণের শিকার হয়েছে।
বৈঠকের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বসেছিলাম। তাদের বক্তব্য শুনেছি। আমরা নির্দেশ দিয়েছি, কারো উস্কানিতে কান না দিতে। কারণ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানামুখী ষড়যন্ত্র হতে পারে। তাই ক্যাম্পাসে অরাজক পরিস্থিতির পাঁয়তারা হতে পারে। যে ঘটনা ঘটেছে তা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এতে যদি ছাত্রলীগও জড়িত থাকে তাহলে তাদেরও শাস্তি পেতে হবে।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে লিপ্ত হয়েছে। ২৩ তারিখ ঢাবি ক্যাম্পাসের ঘটনাটি পরিকল্পিত। বিভিন্ন বাম ছাত্রসংগঠনের ব্যানারে বহিরাগতরা সেখানে গিয়েছিল। তারা ভাঙচুর ও ভিসিকে অবরুদ্ধ করে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে, যে কোনো অঘটন সেদিন তারা ঘটাতো। এ অবস্থায় ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়ে ভিসিকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে। যেকোনো পরিস্থিতিতে ঢাবিসহ প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেকোনো মূল্যে শান্তি বজায় রাখতে হবে। এজন্য ছাত্রলীগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, বৈঠক সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনকে সামনে রেখে কাউকে ফায়দা লুটার সুযোগ দিতে নারাজ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এজন্য গত বৃহস্পতিবার বিকালে জরুরি বৈঠক ডেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় ছাত্রলীগকে কঠোর নির্দেশনাই দিয়েছেন দলটির নেতারা। বৈঠকে মূল দল আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করেন যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম। ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকার বিভিন্ন শাখার নেতারাও এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের শুরুতেই আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, নেত্রী ও দলের সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে আমরা তোমাদের কথা শুনতে চাই। সাতটি কলেজ অধিভুক্তি নিয়ে ওই কলেজ ছাত্রদের মনোভাব কী, বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মনোভাব কী, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হলে ছাত্রদের বিরোধিতা নয়, তাদের যৌক্তিক দাবি মেনেই এগুতে হবে।
এরপর সাত কলেজকে ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্তি ও এর ফলে পক্ষে-বিপক্ষের আন্দোলন, ঢাবি ভিসির কার্যালয় ভাঙচুর ও তাকে লাঞ্ছিত করা এবং ভিসিকে উদ্ধার করতে গিয়ে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে ছাত্রনেতাদের বক্তব্য শুনেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এসময় অধিভুক্তি ও আন্দোলন নিয়ে ৭ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতারা নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতারাও তাদের মনোভাব প্রকাশ করে। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদেরও বক্তব্য শুনেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
বক্তব্যে বিভিন্ন বাম ছাত্রসংগঠনের নেতিবাচক কর্মকাÐের সমালোচনা করেন ছাত্রলীগের নেতারা। একই সঙ্গে ওইদিনের ঘটনায় মিডিয়ায় শুধুমাত্র ছাত্রলীগকে দোষারোপ, ভিসির কার্যালয় ভাঙচুর ও লাঞ্ছনার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার সমালোচনা করেন তারা।
বৈঠক সূত্র জানায়, রুদ্ধদার বৈঠকে ঢাবির পরিস্থিতি ছাড়াও ছাত্রলীগের আসন্ন সম্মেলন নিয়ে কথা বলেন সংগঠনের সিনিয়র নেতারা। তারা আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতার কাছে দাবি করেন, একাদশ জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে এই মুহূর্তে ছাত্রলীগের সম্মেলন করাটা কতটা যুক্তিযুত হচ্ছে, তা আওয়ামী লীগকে ভেবে দেখতে হবে। তবে নেত্রীর কথাই শেষ কথা। নেত্রী চাইলে আমরা সম্মেলনে প্রস্তুত। রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সম্মেলন করা হলেও দলের জন্যই ভাল।
এসময় আওয়ামী লীগের ওই দুই নেতা ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের কথা আমরা শুনলাম-দলীয় ফোরামে আলোচনা করবো। নেত্রীর কাছে তুলে ধরবো। তবে এই মুহূর্তে ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করতে যা যা করণীয় তা তোমাদের করতে হবে। দুই নেতা আরও বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই সময়ে কাউকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুযোগ দেয়া যাবে না। বিভিন্ন মহল বিভিন্নভাবে চেষ্টা করবে, তাদের সব চেষ্টাই প্রতিহত করতে হবে। ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে তার স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
এসময় ‘মূল ঘটনাটি পুরোপুরি মিডিয়ায় আসেনি’ ছাত্রনেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এনামুল হক শামীম বলেন, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা (বাম) তাদের মত করে উপস্থাপন করেছে। তোমরা কয়েকজন লিখেছো, সবাই মিলে মূল ঘটনাটা লিখলে সেটাই হাইলাইটস হতো।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে বিভিন্ন দাবি নিয়ে বাম সংগঠনগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কার্যালয় ঘেরাও, ভাঙচুর ও ভিসিকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটে। ভিসিকে উদ্ধার করতে গিয়ে ছাত্রলীগ ও বাম সংগঠনের নেতাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় আন্দোলনরত বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা রেজিস্টার ভবনের তিনটি গেট ভাঙচুর, ভিসির সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি ও কলার চেপে ধরার ঘটনা ঘটায়। খবর পেয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও সেখানে যায় এবং মানব বলয় তৈরি করে ভিসিকে উদ্ধার করেছে। এসময় আন্দোলনরত বাম সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে প্রথমে তাদের তর্ক-বিতর্ক ও পরে মারামারি হয়। এতে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।



 

Show all comments
  • alim ২৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১:৫৯ পিএম says : 0
    “ ছাত্ররা অভিবাবক ও দেশের ভবিষৎ , ওদেরকে পথভ্রষ্ট করবেন না ৷ নিজ সার্থ উদ্দারে ওদেরকে ব্যবহার করবেন না , ওরা অবুঝ এবং ঘুমন্ত অগ্নিঘিরি ৷”
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ