পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার পাশাপাশি ‘হাজার হাজার লোক নিয়ে’ পাহারা দেওয়ার আহŸান জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জাতিগত নিধন ঃ প্রসঙ্গ রোহিঙ্গা মানবাধিকার লঙ্ঘন’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার যেভাবে রোহিঙ্গাদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে, তাতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ পুরোপুরি লঙ্ঘিত হয়েছে। কিন্তু সীমান্ত পেরিয়ে রোহিঙ্গারা এখনও বাংলাদেশে আসতে থাকায় এ দেশের সরকারেরও সমালোচনা করেন তিনি। সোশাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সস্টিটিউট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজিত এই সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সংগঠনের সভাপতি এ বি এম বায়েজিদ, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ব্যরিস্টার এম আমীর-উল-ইসলাম, মোঃ নুরুল ইসলাম প্রমূখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়নকর্মী মোঃ জামাল উদ্দিন।
ড. কামাল বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার কারণে আমাদের সার্বভৌমত্বের উপর আক্রমণের মত ভূমি দখল হয়ে যাচ্ছে। আরও লোকজন আসছে এটাকে কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না? এটা রুখতে আন্তর্জাতিক কোর্টে যাওয়া দরকার। বর্ডারকে শক্ত অবস্থান নেওয়া দরকার, আর একজনও যেন না আসে। নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমাদের শক্তি কি এতই কম? উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, চলেন আমরা হাজার হাজারে লোক গিয়ে বর্ডার পাহারা দিই। একটি রাষ্ট্র নাগরিকদের জুলুম নির্যাতন করে অন্য রাষ্ট্রে হাজারে হাজারে লোক পাঠাবে, আমার দৈনিন্দন আগ্রাসনের শিকার হতে থাকব, নিষ্ক্রিয় থাকব, কিছুই করতে পারব না। এটা বিশ্বাস করা যায় না, মেনে নেওয়া যায় না।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই আইনজীবী বলেন, রোহিঙ্গাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ঠেলে আরেক রাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেওয়ার মত এমন গুরুতর অপরাধের নজির আর পাওয়া যাবে না। যেখানে জাতিসংঘ সনদ আছে, জনগণের মানবাধিকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, তখন এ ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে! এভাবে ‘জাতিগত নিধন’ চালিয়ে মিয়ানমার ‘আনতর্জাতিক অপরাধী’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার না করে ঐক্যবদ্ধভাবে এ সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে রেখে মানুষ হিসেবে তাদের প্রাপ্য সব অধিকার দেওয়া ‘অসম্ভব’। তাদের স্থায়ীভাবে রাখতে গেলে তাদের ‘মানবাধিকার রক্ষা হবে না’।
নির্ধারিত সময়ে প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের সমালোচনা করে গণফোরাম সভাপতি বলেন, আমলাতান্ত্রিক কায়দায় চুক্তি হয়েছে, চুক্তি কার্যকর করতে কয়েক মাস লাগবে- এটা অ্যাবসার্ড। এ থেকে উত্তরণের জন্য আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াই আর বার্মাকে বলি, আমরা এত দুর্বল না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।