পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাহবুব আলম, জাবি রিপোর্টার : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জেকে বসেছে হাড় কাঁপানো শীত। মাঘের কন কনে এ শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তার মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষের প্রায় ১ হাজার শীক্ষার্থী রুম না পেয়ে গণরুমের মেঝেতে বিছনা পেতে বসবাস করছে। যার কারণে ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ‘প্রতিদিন প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।’
এদিকে এক রুমে এক সাথে অনেক শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে থাকার কারণে পড়াশুনার জন্য পাচ্ছেনা উপযুক্ত পরিবেশ। অথচ তাদের অনেকেরই সামনে প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা। এমন অবস্থায় পরীক্ষার জন্য যথাযথভাবে প্রস্তুতি নিতে না পারায় রেজাল্ট খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
এমন সীট সংকটে বিপর্যস্ত থাকলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে বাংলাদেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় বলা হয়। অথচ এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে মোট ১৬টি হল। যা শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা দূর করনে যথেষ্ট নয়। এ অবস্থায় নতুন হল নির্মাণ করে শিক্ষার্থীদের আবাসন সঙ্কট দূর করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি সকলের।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনেক আগে পড়াশুনা শেষ করা বহু সাবেক শিক্ষার্থী হলে সিট দখল করে আছে। প্রশাসন বার বার সিট ছেড়ে দিতে বললেও তাদের টনক নড়ছেনা। যার কারণে আবাসন সমস্যা আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এ অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। ভর্তি হওয়ার পর থেকে রুম না পেয়ে তারা বসবাস করছে হলের ডইনিং রুমে অথবা অতিথি কক্ষে। আবার কোন কোন হলে দেখা গেছে টিভির কক্ষ, পত্রিকা পড়ার কক্ষে, রান্না করার কক্ষে শেষ ঠাঁই হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের গণরুমে বসবাসকারী কয়েকজন ছাত্র ইনকিলাবকে বলেন, ‘অনেক আশা আর স্বপ্ন নিয়ে এসেছি বাংলাদেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে। কিন্তু এখানে এসে মেঝেতে ঘুমাচ্ছি দীর্ঘ ১বছর যাবৎ। তীব্র শীতে মেঝেতে ঘুমানোর ফলে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। পড়াশুনার জন্য পাচ্ছি না কোন পরিবেশ। প্রশাসন যদি পড়াশুনার জন্য আলাদা কোন রুম করে দিত তাহলেও পড়াশুনা করা যেত।’ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের রান্নার কক্ষে বসবাস কারী কয়েকজন ছাত্রী বলেন, ‘জুনিয়র ব্যাচ ক্যাম্পাসে আসবে কয়েকদিন পর অথচ আমারা এখনো গণরুমেই থাকছি। একসাথে এতগুলো মানুষ থাকার ফলে দিনে দিনে নানা ধরনের সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছি। পড়ার জন্যও পাচ্ছিনা সুষ্ঠ পরিবেশ।’
এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক নজির আমিন চৌধুরী জয় বলেন, ‘যদি জাকসু সচল থাকতো, তাহলে যেসব সাবেক ছাত্র অবৈধভাবে হলের সিট দখল করে আছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের সাথে নিয়ে হল সংসদের প্রতিনিধিরা ব্যবস্থা নিতে পারতো। তাতে আবাসন সমস্যা কিছুটা হলেও লাঘব হতো। তাই আবাসন সংকট নিরসনের জন্য নতুন হল নির্মাণও অবিলম্বে জাকসু নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘ছেলেদের জন্য ২টি, মেয়েদের জন্য ২টি করে মোট ৪টি নতুন হল নির্মানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সাথে কার্যক্রম চলছে। আশা করছি এ হলগুলো নির্মাণ হলে আবাসন সমস্যা আর থাকবেনা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।