পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নাছিম উল আলম : দেশের দক্ষিনাঞ্চলে মাঘের আবহাওয়ায় নানা বিচ্যুতি অব্যাহত রয়েছে। ফলে জনস্বাস্থ্যসহ রবি ফসলে নানা বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। গতকালই বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ঘন্টা আগের তুলনায় ২.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস হ্রাস পেয়ে ১০.৬তে স্থির হয়। যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ১ডিগ্রী সেলসিয়াস কম। বৃহস্পতিবার সকালে বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেশী ছিল।
তাপমাত্রার এ অস্বাভাবিক আচরন গোটা দক্ষিনাঞ্চলের পরিবেশের ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়ার এ বিরূপ আচরন জনস্বাস্থ্যসহ ফসলের ক্ষেত্রে নানা প্রভাব ফেলছে। মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশাও যথেষ্ঠ বিরূপ প্রভাব ফেলছে জনজীবনে। গত সোমবার তীব্র কুয়াশায় দেশের সবগুলো ফেরি অচল হয়ে পড়ে। দেশের দক্ষিন ও দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক ও নৌযোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ঐ রাতে পাটুরিয়া ও মাওয়ায় ৭Ñ৮ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এ ছাড়াও চাঁদপুরÑশরিয়তপুর, ভোলাÑল²ীপুর ও ভোলাÑবরিশালের মধ্যবর্তি ফেরি গুলোতে প্রায় আড়াই হাজার যানবাহন আটকে ছিল ৮Ñ১০ ঘন্টা পর্যন্ত। নৌপথে রাজধানীর সাথে দক্ষিনাঞ্চলের যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ে।
জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহের শেষভাগ থেকেই দক্ষিনাঞ্চলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে নিচে নামতে থাকে। গত ৯ জানুয়ারী বরিশালে তাপমাত্রার পারদ সা¤প্রতিককালের সর্বনিম্ন ৬.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে যায়। অথচ জানুয়ারীতে বরিশাল অঞ্চলে স্বাভাবিক সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার কথা ১.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। কিন্তু এ শৈত্য প্রবাহ এখনো কমবেশী অব্যাহত রয়েছে।
গত ২০ জানুযারী বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। পরেরদিন আরো দশমিক ২ ডিগ্রী হ্রাস পেয়ে ৯.৪ ডিগ্রীতে স্থির হয়। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।