পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একজন বিপ্লবী নেতা ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে বিপ্লব ঘটিয়েছেন বলে স্মৃতিচারণ করেছেন বিকল্পধারার সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এই মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমানের সময়ের বিএনপি আর এখন বিএনপির বৈপ্লবিক চিন্তাধারায় অনেক পার্থক্য। জিয়া থেকে দূরে সরে যাওয়ায় তারা পিছিয়ে পড়েছে। আমি বিশ্বাস করি, জিয়াউর রহমানের যে গণতান্ত্রিক রূপরেখা, জাতীয়তাবাদের যে চিন্তা-চেতনা ছিল তা যদি বিএনপি ধরে রাখতে পারত, তাহলে তারা এখন পিছিয়ে থাকত না। জিয়াউর রহমানের এই চিন্তা-চেতনা বিএনপির লোকজন কি মনেও রাখে না? নাকি ইচ্ছা করে বলে না, আমার জানা নেই। আর একটা জিনিস, যদি কেউ বিএনপির রাজনীতি করে তারা জিয়াউর রহমানকে শ্রদ্ধা করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে তারা যদি বঙ্গবন্ধুকে অশ্রদ্ধা করে পক্ষান্তরে যারা আওয়ামী লীগ করে তারা বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করবে আর জিয়াউর রহমানকে অশ্রদ্ধা করবে তাহলে এটা সুস্থ রাজনীতি হতে পারে না। জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মৃতিচারণ করে বি চৌধুরী সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান একজন বিপ্লবী নেতা ছিলেন। তিনি বাংলাদেশকে নিয়ে অনেক ভাবতেন। বাংলাদেশের মানুষের কথা চিন্তা করতেন। তাকে তৎকালীন ছাত্র-শিক্ষক, কৃষক-শ্রমিক আপামর সকল মানুষ ভালোবাসতো।
সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, জিয়াউর রহমান বলেছেন আমরা বাঙালি, বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। যখন আমরা স্বাধীনতার কথা চিন্তা করব, মুক্তিযুদ্ধের কথা চিন্তা করব, বাংলাদেশের সীমানার মানুষগুলোর কথা চিন্তা করব, সেদিন যারা বাংলাদেশের পক্ষে লড়াই করেছে তাদেরকে মনে করে গর্ববোধ করব যে আমরা সবাই বাংলাদেশি। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এবং ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। তারপর তিনি গণশিক্ষায় বিপ্লব ঘটালেন যাতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ প্রাথমিক অক্ষরজ্ঞান নিতে পারে। ওই সময়েই চল্লিশ লাখ বই-খাতা বিতরণ করে দিয়েছিলেন। তখন জনসংখ্যা ছিল মাত্র সাত কোটি। এইভাবে গণশিক্ষার বিপ্লব সৃষ্টি হলো। তারপর তিনি শিল্পের দিকে নজর দিলেন। সেখানেও বিপ্লব ঘটালেন তিনি। বাংলাদেশের সব মিল-কারখানা ঘুরে ঘুরে দেখলেন। কারখানাগুলোতে তিনি দুই শিফটের কাজের ব্যবস্থা করলেন যা আগে ছিল না। এর কারণে দেশের উৎপাদন বাড়ল, রপ্তানি বাড়ল। সবকিছুর উৎপাদন দ্বিগুণ হয়ে গেল। এভাবেই তিনি বাংলাদেশটাকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে শুরু করলেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান আমাকে বলেছেন, দেশের স্বার্থে রাজনীতি করা উচিত। তিনি গণতন্ত্রের জন্য অনেকগুলো কর্মসূচি দিয়েছিলেন যা থেকে বর্তমান বিএনপি অনেক দূরে অবস্থান করছে। তিনি তখন শান্তিপূর্ণ বিপ্লবী কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। তার হাত ধরেই সারাদেশে ১৪শ খাল কাটা হলো, সেখানে পানি জমলো, শীতের ফসল হলো। পাম্প লাগিয়ে ছিল নদী থেকে সব সময় পানি সরবরাহ করার জন্য। আমরা প্রমবার আফ্রিকার হিলিতে চাল রপ্তানি করেছিলাম। চিনি রপ্তানি শুরু করেছিলাম বিদেশে। এগুলো সবই ইতিহাস হয়ে থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।