পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : ঘন কুয়াশার কারণে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ট্রেনের সিডিউল। পূর্বাঞ্চলে কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও পশ্চিমাঞ্চলের একেবারে খারাপ অবস্থা। প্রতিটি ট্রেন চলছে দুই থেকে চার ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় দেরিতে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রেন চলছে ধীরে। এতেই দেখা দিয়েছে সিডিউল বিপর্যয়। জানা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-রংপুর, ঢাকা-দিনাজপুর, ঢাকা-চিলাহাটী, খুলনা-রাজশাহীসহ বিভিন্ন রুটের আন্তনগর ট্রেনগুলোর সময়সূচি একেবারে পাল্টে গেছে। বিশেষ করে ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-রংপুর, ঢাকা-দিনাজপুর, ঢাকা-লালমনিরহাট রেলপথে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর সিডিউল একেবারেই ভেঙে পড়েছে। তাতে যাত্রীদের ভোগান্তি ও বিড়ম্বনা বেড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েকদিন থেকেই রাজশাহীসহ দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। দিনভর ঘন কুয়াশার চাদরে মুড়ে থাকছে প্রকৃতি। এতে সবুজ বৃক্ষরাজি ধোঁয়াচ্ছন্ন রূপ ধারণ করেছে। ভোরে দৃষ্টিসীমা নেমে আসছে ৫০ গজের মধ্যে। রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনা এড়াতেই ট্রেনের গতি খুবই কমেছে। এতে করে রেলওয়ের আন্তঃনগরসহ বিভিন্ন রুটের ট্রেন বর্তমানে দুই থেকে চার ঘণ্টা বা কিচু কিছু ক্ষেত্রে তারও বেশি সময় বিলম্বে চলছে।
ঢাকা-রংপুর রেলপথে রংপুর এক্সপ্রেস চলছে ১১ ঘণ্টা ২০ মিনিট বিলম্বে। ট্রেনটি যখন রংপুরের পথে থাকার কথা তখন তা ঢাকাতেই এসে পৌঁছে নি। ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী পদ্মা এক্সপ্রেস গতকাল ভোর ৫টায় রাজশাহী পৌঁছার কথা থাকলেও তা পৌঁছেনি। এতে করে ঢাকামুখি সিল্কসিটি এক্সপ্রেস সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে রাজশাহী থেকে ছাড়ার কথা থাকলে তা হয়নি। রেলের নিয়মিত যাত্রীরা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এই দুরাবস্থা চলছে। জনদুর্ভোগ অসহনীয় পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। নির্ধারিত সময়ে ট্রেন না পেয়ে প্লাটফর্মের ওপর তীব্র ঠান্ডার মধ্যে শত শত যাত্রী স্টেশনে বসে অপেক্ষা করছেন। অনেকে বসার জন্য জায়গা পর্যন্তও পাচ্ছেন না। আবার অনেকে কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল বাতাসের শিশুসহ জবুথবু হয়ে বসে আছেন।
কমলাপুর প্লাটফর্মে বসে থাকা যাত্রী হাবিবুর রহমান বলেন, জরুরি কাজে দিনাজপুর যেতে হবে। কিন্তু ট্রেনের খবর নেই। দুই ঘণ্টারও বেশি দেরি করায় তিনি বিড়ম্বনায় পড়েছেন। এ জন্য তার কাজের অনেক ক্ষতি হবে। এখন হিমেল হাওয়ার আর তীব্র শীতের মধ্যে তাকে প্লাটফর্মে বসে থাকতে হচ্ছে। আলাপকালে কয়েকজন ট্রেন চালক জানান, ঘন কুয়াশার কারনে সামনে ২০ গজও দেকা যায় না। অথচ ট্রেন চালাতে হচ্ছে গতিতেই। একদিকে, অরক্ষিত রেল গেইট, অন্যদিকে সিগনাল না দেখতে না পাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চালাতে হচ্ছে। এক চালক জানান, কুয়াশায় সিগনালের সঙ্কেত জানার জন্য ডেটোনেটর লাগানোর কথা সিগনালের ৫০ গজের মধ্যে। তাতে সিগনালের কাছাকাছি এলেই আমরা সঙ্কেত পাবো। কিন্তু সেগুলো লাগানো হয়না। ডেটোনেটর লাগানো থাকলে ঝুঁকি অনেকটাই কমতো। তাতে ট্রেনের গতিও বাড়তো।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সুপারিনটেনডেন্ট গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রতি বছরই কুয়াশার জন্য উত্তরাঞ্চলে রেল পরিষেবা ব্যহত হয়। বর্তমানে শীত বেশ জেঁকে বসেছে। তাই প্রতিদিনই ঘন কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে রেল পরিষেবা। যাত্রীদের নিরাপদ রাখতে ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কুয়াশায় ট্রেনচালকরা অনেক স্থানে সিগন্যাল লাইটও দেখতে পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে এক স্টেশনে গিয়ে অন্য স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে বিপরীত ট্রেনের অবস্থান জেনে ট্রেন ছাড়তে হচ্ছে। এতে আসতে-যেতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা দেরি হচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা চিন্ত করেই সাবধানে ট্রেন চলাচল করছে বলেও জানান রেলওয়ের এই কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।