পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গত তিন বছল ধরে বৃষ্টির দেখা নেই আফ্রিকায়। বৃষ্টি না হওয়ায় পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে কেপটাউনে। যে কারণে পানির ব্যবহার কমাতে আফ্রিকার জনগণের পাশাপাশি পর্যটকদের ক্ষেত্রে একই নীতিমালা জারি করেছে দেশটির সরকার। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পানি ব্যবহারে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আফ্রিকার নাগরিকরা নিজেদের গাড়ি ধোয়া তো দূরে থাক, বাগানে পানি দেয়ার ব্যপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দেশের নাগরিকরাই নন। এ নীতিমালা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে পর্যটকদের।
কেপ টাউনের আর সবার মতো সান্দ্রা ডিকসনেরও মিতব্যয়ী না হয়ে উপায় নেই। বিগত ২৪ বছর ধরে দক্ষিণ আফ্রিকান শহরের এই বাসিন্দা আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আমরা আমাদের বালতিগুলোতে বৃষ্টির পানি ধারণ করি ও টয়লেটে ঢালি। আমরা সব ধরনের কাজ করছি। এমনকি লোকজন তাদের ছাদ থেকেও পানি ধরে’।
১শ’ দিনের মধ্যে কেপ টাউনের সব ট্যাপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তিন বছরের খরায় পড়ে শহরটি ‘শূন্য দিবস’-এ পরিণত হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। আগামী ২১ এপ্রিল নাগাদ এর পানি সরবরাহ বাঁধ সমন্বিত ধারণক্ষমতার ১৩ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে।
সমগ্র পশ্চিম কেপ টাউন প্রদেশ জুড়ে অনাবৃষ্টির কারণেই মূলত এ সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। এ সঙ্কটের কারণে কর্মকর্তারা বাধ্য হয়েছেন কেপ টাউনের ৩৭ লাখ মানুষের ওপর ‘৬ মাত্রা’র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে।
বর্তমানে বাঁধের স্তর ৩০ শতাংশে নেমে আসার কারণে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পানির ব্যবহার প্রতি দিন ৮৭ লিটারে নির্ধারণ করেছে, যাকে এ ধরনের গুরুতর বিধিনিষেধ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
প্রাচুর্যের ইতিহাস
কিন্তু শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার দক্ষিণপূর্ব উপকূল পরিচিত ছিল প্রাকৃতিক পানি সরবরাহের প্রাচুর্যের জন্য। ঐতিহ্যগতভাবেই এখানে বিপুল পরিমাণ শীতকালীন বৃষ্টি হত।
কিন্তু পরিস্থিতি বর্তমানে পাল্টে গেছে। বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকায় সফররত ভারতীয় দলও দেশটির বিধিনিষেধের আওতায় পড়েন। তাদেরও নিষেধ করে দেয়া হয় ২ মিনিটের বেশি সুইমিং পুলে গোসল করতে। এমনকি তাদেরও প্রতিদিন ৮৭ লিটারের বেশি পানি খরচ করতে নিষেধ করে দেয়া হয়। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।