পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, হরতাল-ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের দিন শেষ। মানুষ এখন আর হরতাল চায় না। তারা কাজ চায়। আগামী জাতীয় নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, জনগণের ভোটের মধ্যদিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে। পারলে বিজয়ী হয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসুন। গতকাল সোমবার বিকালে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় জোট বিএনএ‘র তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিকেল ৫টায় বেলুন উড়িয়ে বিএনএ জোটের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নাসিম। তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন জোটের নেতৃবৃন্দ।
আগামী জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ১৪ দলের এই মুখপাত্র বলেন, দেশ এগিয়ে যাবে নাকি অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে, তার সিদ্ধান্ত এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে নিতে হবে। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশ জঙ্গিবাদে ভরে যাবে। আবার জ্বালাও-পোড়াও হবে। হাওয়া ভবনের সৃষ্টি হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে জনগণকে অবশ্যই নৌকায় ভোট দিতে হবে। ন্যায়বিচার নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্যে সমালোচনা করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জেলে চার নেতাকে যখন হত্যা করা হয়, তখন জিয়াউর রহমানের ন্যায়বিচার কোথায় ছিল? আগামীতে দেশের জনগণ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, একটি সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। বর্তমান সরকারের ৯ বছরের শাসনামলে বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হলে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে ১৪ দলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে হবে, বিএনপির সঙ্গে যাওয়া যাবে না। এ সময় আগামী জাতীয় নির্বাচনে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে কয়টি আসন ছেড়ে দেয়া হবে সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করার কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বিএনএ ও তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান সাবেক বিএনপি নেতা নাজমুল হুদা বলেন, সুস্থ রাজনীতির জন্য ৩১টি দল নিয়ে জোট করেছি। আমরা দেশে গণতন্ত্র সুসংহত করতে চাই। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরো শক্তিশালী করে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে জনগণের সেবা করতে চাই। সে জন্য শেখ হাসিনাকে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন শক্তিশালী নেত্রী। উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে তার ভাবমর্যাদা তুঙ্গে। তার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আগামীতে আমরা আওয়ামী লীগের সাথে নির্বাচনে অংশ নিতে চাই মন্তব্য করে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে চাই। তবে যেসব আসনে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী থাকবে, সেখানে আমরা প্রার্থী দেবো না। এ বিষয়গুলো নিয়ে আওয়ামী লীগের ১০ জন শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক করতে চাই।
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে মন্তব্য করে সালমান এফ রহমান বলেন, সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। অনেক গল্প হচ্ছে, তারা (বিএনপি) নাকি নির্বাচনে আসবে না। নির্বাচনে বাধা দিয়ে আগেও তারা সফল হয়নি; এবারও সফল হতে পারবে না। এ সময় তিনি আগামী নির্বাচনে একসাথে কাজ করতে বিএনএ জোটের নেতাকর্মীদের আহŸান জানান।
অভিনেতা আহমেদ শরীফ আওয়ামী লীগের সারাদেশে নির্বাচনী টিমের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ জানিয়ে বলেন, সরকারের উন্নয়ন বার্তা আমি এই টিমের সঙ্গে সফর করে জনগণকে জানাতে চাই।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশিষ্ট শিল্পপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, জোটের কো-চেয়ারম্যান এম নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, মুখপাত্র শেখ শহিদুজ্জামান, মহাসচিব মেজর ডা. এম হাবিবুর রহমান (অব), অভিনেতা আহমেদ শরীফসহ জোটের শরিক দলের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।