পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘সব বাঙালির আত্মপরিচয়ের ঠিকানা বাংলা’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি আহবান জানান, সভ্যতার চাপে যেন কোন মাতৃভাষা হারিয়ে না যায়।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বিশ্বমানব হবি যদি কায়মনে বাঙালি’ শীর্ষক স্লোগানকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক বাংলা সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন। আমিও যতবার ভাষণ দিয়েছি, ততবারই বাংলায় দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অতীতের বিভিন্ন সময়ে বাংলা ভাষার ওপর শাসকগোষ্ঠীর খড়গ নেমে এসেছিল, কেবল বাংলা ভাষা নয়, বাংলা অক্ষরও মুছে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। বারবার ভাষার ওপর আক্রমণ এসেছে। কিন্তু সবগুলো আক্রমণই প্রতিহত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার মর্যাদারক্ষায় যারা রক্ত দিয়েছেন তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে ইউনেস্কো বাংলা ভাষার সম্মানে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন দেশের মাতৃভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। এই মাতৃভাষা যেন হারিয়ে না যায়, তার জন্য আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট গড়ার কাজ শুরু করি। এখানে ভাষাকে জানা, বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা নিয়ে গবেষণা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানি শাসকরা বাংলা ভাষাকে কেড়ে নেওয়ার জন্য নানাভাবে বাধা দিয়েছে। কেবল বাংলা ভাষা নয়, বাংলা অক্ষরও মুছে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, রবীন্দ্রনাথ পড়া যাবে না বলে সমন জারি করে পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসকরা। এরপর আঘাত আসে নজরুলের ওপর। তার কবিতায় সাম্প্রদায়িক পরিবর্তন আনার অপচেষ্টা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলা সাহিত্যকে কলুষিত করার চেষ্টা করা হয়। বারবার ভাষার ওপর আক্রমণ এসেছে। কিন্তু সবগুলো আক্রমণই প্রতিহত হয়েছে। এসব বাধা জয় করেই আমরা বাংলা ভাষা পেয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভাষা আন্দোলনের সূচনার মধ্য দিয়েই বাঙালি জাতি স্বাধীনতা লাভ করে, একুশের পথ বেয়েই বাঙালি জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২১ ফেব্রুয়ারিকে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করে। মুক্তিযুদ্ধে ভারত আমাদের সহযোগিতা করেছিল। আমরা এর জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে বসছে তিন দিনব্যাপী এ সাহিত্য সম্মেলন। এতে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের তিন শতাধিক কবি-লেখক-সাহিত্যিক-সমালোচক অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।