পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সংবিধান অনুযায়ী চলতি বছরের ১৮ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। সব দলের অংশগ্রহণে ওই তারিখে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ধার্য করেই নির্বাচন কমিশন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে নির্বাচন কমিশন ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ’ ঘোষণা করে। রোডম্যাপ অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ‘আগাম নির্বাচন’ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছিলেন, সরকার চাইলে আগাম নির্বাচন করতে ইসি প্রস্তুত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘আগাম নির্বাচন’ গুজব নাকচ করে দেন।
২০১৮ সালকে বলা হচ্ছে নির্বাচনের বছর। সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচন ছাড়াও এই বছর অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এতদিন ‘আগাম নির্বাচন’ নিয়ে তোড়জোড় বিতর্ক হলেও আগাম নির্বাচন হচ্ছে না। বরং সংবিধানের বিধান মেনেই বর্তমান সরকারের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ করেই নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অঙ্গীকার নিয়ে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত কর্মপরিকল্পনায় সাতটি করণীয় বিষয় শনাক্ত করেছে। জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সাতটি করণীয় বিষয় হলোÑ আইনি কাঠামোসমূহ পর্যালোচনা ও সংস্কার, কর্মপরিকল্পনার ওপর পরামর্শ গ্রহণ, সংসদীয় এলাকার নির্বাচনী সীমানা পুননির্ধারণ, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুতকরণ এবং বিতরণ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষা এবং নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট সকলের সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ।
রোডম্যাপ ঘোষণার পর ইসি দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম ব্যাক্তিত্ব, রাজনৈতিক দলের নেতাসহ স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সংলাপ করে দিক নির্দেশনা তৈরি করে। সে মোতাবেক অগ্রসর হচ্ছে। এরই মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় রংপুর সিটি করপোরেশনে নির্বাচন। স্থানীয় ওই নির্বাচন নিরপেক্ষ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ায় জাতীয় নির্বাচনের ব্যপারে ইসির আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। সূত্র জানায়, ইসি কার্যত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে। এদিকে নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও শুরু হয়েছে প্রচারণা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যেখানে যাচ্ছেন; সেখানেই জনগণের প্রতি আগামীতে নৌকায় ভোট দেয়ার আহŸান জানাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, আগামীতে দলের নমিনেশন দেয়ার জন্য প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া চলছে। দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে কার অবস্থা কেমন সেটা দেখতে বিভিন্ন পর্যায়ে জরিপ করা হচ্ছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতেই দেশব্যাপী সাংগঠনিক কর্মসূচিও গ্রহণ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে এখনো ‘গ্রহণযোগ্য’ ভোটের লক্ষ্যে নেবেল প্লেয়িং ফিল্ড গড়তে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অটল থাকলেও ভেতরে ভেতরে তারাও নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষণা দিয়েছেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে বিএনপি নির্বাচনে যাবে। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিএনপির সাংগঠনিক কর্মসূচি যেমন গ্রহণ করা হয়েছে; তেমনি আগামীতে দলের প্রার্থীর খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২০ দলীয় জোটের শরিকদের কাছ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা জোট নেত্রীর অফিসে জমা দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। জানা যায় বেগম খালেদা জিয়া দলীয় প্রার্থী চ‚ড়ান্ত করার জন্যই আমেরিকার একটি গবেষণা সংস্থার মাধ্যমে সারাদেশে জরিপ করছেন। প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে গতকাল বলেছেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী ২০১৮ সালের শেষদিকে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে তা সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে। সংবধিান অনুযায়ী নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। সেই সরকার সর্বোতভাবে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা দিয়ে যাবে’। প্রধানমন্ত্রী ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বললেও কত তারিখে ভোট হবে সে ব্যাপারে কোনো ইঙ্গিত দেননি। তবে নির্বাচন কমিশন ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বললে তারা অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে জানান, ১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।