Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাঁদপুরে আড়াই শ’ স মিলের অনুমোদন নেই

| প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


বি এম হান্নান, চাঁদপুর থেকে : চাঁদপুরে ৮ উপজেলায় সাড়ে ৩ শ’ স’মিলের মধ্যে আড়াই শ’ র অনুমোদন নেই। অতিরিক্ত স’মিলের (করাতমিল) কারনে প্রকৃতির ভারসাম্য বিনষ্টের পাশাপাশি প্রতিবছর সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদন ছাড়াই একজনের দেখা দেখিতে অন্যজনও লাইসেন্স ছাড়া স’মিল পরিচালনা করে আসছে।
চাঁদপুর বন বিভাগের তথ্যানুযায়ী, জেলার সবকটি উপজেলায় ৩ শ’ ৫০টি স’ মিলের মধ্যে ২ শ’ ৫০টিরই লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স পেতে নিজস্ব ভূমির খারিজা, উপজেলা ভূমি অফিসের প্রত্যয়নপত্র, ২ হাজার টাকার ট্রেজারি চালান, বন বিভাগের অনুমোদন ও বিদ্যুৎ বিভাগের বৈধ সংযোগের অনুলিপিসহ আবেদন করতে হয়। তাছাড়াও প্রতিবছর ৫শ’ টাকা নবায়ন ফি জমা বাধ্যতামূলক। অনুমোদন পাওয়ার পর প্রতিবছর নবায়ন ফি বাবত ৫ শ’ টাকা ও সরকারি ভ্যাট ১৫% হারে পরিশোধ করতে হয়। ২ শ’ ৫০টি স’ মিল অবধৈভাবে চলার কারণে লাইসেন্স ও নবায়ন ফি বাবদ সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে ।
মানুষের বেঁচে থাকার প্রধান ও গুরুত্ব¡পূর্ণ উপাদান অক্সিজনে পেতে বাধাগ্রস্থ করছে অতিরিক্ত স’মিল(করাতমিল)। জলবায়ূর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার শিকার হচ্ছে প্রকৃতি। রোয়ানু, সিডর, নার্গিসের মত ঘূর্ণিঝড় প্রকৃতির ভারসাম্যহীনতার জন্যই সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান পরিবেশবিদগন। এছাড়া বছরের প্রতিটি দিনই মিলগুলোর আশ-পাশে কাঠের গুড়ি যত্রতত্র ফেলে রেখে যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। মিলগুলোর রসদ যোগাতে অপরিপক্ক বয়সের বিভিন্ন প্রকার কাঠের ও ফলের গাছ কেটে ফেলা হয়। আর শব্দ দূষণতো নৈমিত্তিক ঘটনা।
অবশ্য মিলগুলো পরোক্ষভাবে গৃহনির্মাণ, আসবাবপত্র তৈরি, জ্বালানি সরবরাহসহ বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজে ভূমিকা রাখলেও চলছে অবৈধভাবে। এ সব তদারকির জন্য প্রতিটি উপজেলায় অফিস ও র্কমর্কতাসহ জনবল রয়েছে। কিন্তু কীভাবে স’মিলগুলো দিনের পর দিন অবৈধভাবে চলছে তা’ খতিয়ে দেখছেন না কেউ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মিল মালিক লাইসেন্স সম্পর্কে বলেন, ‘আমার মিল তো আর বিদ্যুৎ দিয়ে চলে না। তাই লাইসেন্স লাগে না। জেনারেটর দিয়ে মিল চালাই। পরিবেশ অধিদপ্তরের টেকনোলজিস্ট কাজী সুমন জানান, ‘করাত মিল স্থাপনের ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হবে।’
এ বিষয়ে চাঁদপুর বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতা মো. তাজুল ইসলাম জানান, ‘অবৈধ মিলগুলোকে বার বার নোটিশ দিয়ে যাচ্ছি। এতে কিছুটা সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। কচুয়ায় ৩/৪টি মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আবার অনেকেই বিষয়টি কর্ণপাতই করছেন না। তাই সহসাই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা বা মামলা করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ