পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ‘জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু করা হচ্ছে’ বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করছে আওয়ামী লীগের নেতানেত্রীরা। ওই বক্তব্যের জন্য তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ‘বুদ্ধিবৃত্তি’ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। টিভির টকশোতে কিছু মুখচেনা আলোচক পদ্মা সেতু নিয়ে বেগম জিয়ার মন্তব্যকে ‘দায়িত্বহীন’ অভিহিত করে তাঁর কঠোর সমালোচনা করেন। এমনকি জাতীয় সংসদে বিএনপি নেত্রীকে ‘পাগল’ বলা হয়। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই অবকাঠামো (পদ্মা সেতু) নির্মাণ নিয়ে কথা বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি ‘ভুল’ নকশায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে বলছেন, দুর্নীতির জন্য সরকার এটা করছে। এর আন্তর্জাতিক তদন্ত হওয়া দরকার।
সংসদে বেগম জিয়াকে ‘পাগল’ অবিহিত করার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে গতকাল নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আরো বলেন, একটা ভ্রান্ত ও ভুল ডিজাইনের উপরে পদ্মা সেতু নির্মিত হলে সেটা তো টিকবে না। উনি (খালেদা জিয়া) ভুল বলেননি। বরং তিনি ওই মন্তব্য করে সাচ্চা দেশপ্রেমিকের পরিচয় দিয়েছেন। তোমরা এখনও এলার্ট হও, চেঞ্জ দ্য ডিজাইন এবং সেটা সঠিকভাবে নির্মাণ হতে হবে।
দুর্নীতির জন্যই সরকার পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে এগোচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখানে আট হাজার কোটি টাকার প্রজেক্টকে এখন নিয়ে চলে গেছে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্টে। এখানে তোমরা সমানে দুর্নীতি করছো-এটা পত্র পত্রিকায় এসেছে। আমরা বলছি, এখানে দুর্নীতি হচ্ছে। এটার আন্তর্জাতিক তদন্ত হোক।
পদ্মা সেতু নিয়ে বেগম জিয়ার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তো ভুল কিছু বলেননি। বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকায় বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন মতামত উঠে এসেছে বলেই তো তিনি কথা বলেছেন। এটা সত্য প্রমাণিত হয়েছে যে, পদ্মা সেতু একটা রং ডিজাইনের উপরে নির্মিত হচ্ছে। এটা আমাদের কথা নয়, এটা বিশেষজ্ঞদের কথা। তারা বলছেন, নদীর গভীরে ড্রিল মেশিন যে পর্যন্ত যায়, তার অনেক নিচে দেওয়া দরকার ছিল। এখন যে নকশা করা হয়েছে যার ভিত্তিতে দুইটা পিলার নির্মাণ করতে পেরেছে-এটা ঠিকই আছে। বাকীগুলো টিকছে না। কারণ ¯øাাইডিং মাড নিয়ে চলে যাচ্ছে। ফলে ওখানে পিলার দাঁড় করানো সম্ভব হচ্ছে না। এটা আপনার ইঞ্জিনিয়ারদের কথা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।