Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৩২০ শিক্ষকের বেতন-ভাতা বন্ধ মানবেতর জীবন যাপন

হাইকোর্টের রায় অমান্য করছে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর

| প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


মহসিন আলী রাজু : শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিয়োগ বাণিজ্য, প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, এমপিও ভুক্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও বদলী বাণিজ্য দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। এছাড়াও তাদের হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে কারিগরি শিক্ষা ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুলছেন সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে স্কিলস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের শিক্ষকরা। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন দেশের ৬৪ টি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে স্কিলস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ৫ জন করে মোট ৩ শ’২০ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়।
প্রকল্পটি ২০১৫ সালের ৩০ শে জুন শেষ হয়। ফলে ওই প্রকল্পে নিয়োজিত ৩শ’২০ শিক্ষকের বেতন-ভাতাদি বন্ধ হয়ে যায়। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ওই সকল শিক্ষকদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেন এবং তাদের বেতন-ভাতাদি প্রদানের ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গত ২০১৬ সালের ৭ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের সভাপতিত্বে একটি সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভা শেষে স্কিলস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় নিয়োগকৃত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর তা না করে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স পরিচালনার জন্য নতুন করে ডেইলি বেসিসে খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেয় এবং প্রস্তাব আকারে তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। এতে করে সমাপ্ত স্কিলস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় নিয়োগকৃত শিক্ষকবৃন্দের বকেয়া বেতন-ভাতাদি ও চাকরির ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এর কোন সুরাহা না করায় তারা হাইকোর্টে ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর একটি রিট মামলা দায়ের করেন ( যার রিট পিটিশন নং-১৩০৫২/২০১৬)। পরে হাইকোর্ট শিক্ষকদের বকেয়া বেতন-ভাতাদি প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন এবং চাকরিসহ সকল সুযোগ সুবিধা প্রদানের জন্য রুল জারি করেন। এর পরেও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর বকেয়া বেতন-ভাতাদি প্রদান না করে সুপ্রীম কোর্টে আপীল করেন। সুপ্রীমকোর্ট হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি রায় দেয়। যার সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপীল নং-৩৯৫৭/২০১৬। কিন্তু কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশনাকে অমান্য করে শিক্ষকদের বেতন প্রদান করেনি যা দেশের সর্বোচ্চ আদালত মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আদেশকে অসম্মান করা ও আদালত অবমাননার শামিল। ৩০ মাস বেতন-ভাতাদি না পেয়ে তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ব্যাপক অভাব-অনটন, ঋণগ্রস্থ, অসহায় হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এদিকে প্রতিষ্ঠানগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় , ৬শ’৬৪ টি শূন্য পদ খালি আছে। তারপরেও শিক্ষকদের স্থায়ী কোন নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা।



 

Show all comments
  • ১২ জানুয়ারি, ২০১৮, ৭:১৩ পিএম says : 0
    খুব সুন্দর হইছে।
    Total Reply(0) Reply
  • আফতাব উজ জামান ২৪ জুন, ২০২০, ৭:৫১ পিএম says : 0
    আদৌ এই শিক্ষকদের কি কোন স্হায়ী সমাধান হবে??????????
    Total Reply(0) Reply
  • আফতাব উজ জামান ২৪ জুন, ২০২০, ৭:৫১ পিএম says : 0
    আদৌ এই শিক্ষকদের কি কোন স্হায়ী সমাধান হবে??????????
    Total Reply(0) Reply
  • আফতাব উজ জামান ২৪ জুন, ২০২০, ৮:০০ পিএম says : 0
    আদৌ কোন সমাধান হবে কি???
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ